Share to: share facebook share twitter share wa share telegram print page

মিজানুর রহমান (বীর প্রতীক)

মিজানুর রহমান
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

মিজানুর রহমান (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

মিজানুর রহমানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবদুল খালেক খান এবং মায়ের নাম মাহফুজা খানম। তার স্ত্রীর নাম নূরজাহান খানম। তার দুই ছেলে, তিন মেয়ে। []

কর্মজীবন

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘বি’ কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিজানুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে যোগ দেন। প্রতিরোধ যুদ্ধকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় যুদ্ধ করেন। পরে ৩ নম্বর সেক্টর এস ফোর্সের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে রেল যোগাযোগের জন্য আখাউড়া ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক স্টেশন। আখাউড়ার কাছেই ভারতের গুরুত্বপূণ সীমান্তবর্তী শহর আগরতলা। এছাড়া এ সময়ে আখাউড়ায় ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শক্তিশালী এক প্রতিরক্ষা অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে আখাউড়া দখলের জন্য মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সেখানে সমাবেত হয়। যৌথ বাহিনীর পরিকল্পনা ছিল মুক্তিবাহিনীর এস ফোর্স ও মিত্রবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশন তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে আখাউড়া দখলের। মুক্তিবাহিনীর এস ফোর্স ও ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর দিক থেকে আখাউড়ার দিকে অগ্রসর হন। এস ফোর্সের বি (ব্রাভো) কোম্পানির একটি প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধারা ১ ডিসেম্বর আখাউড়ার কাছে সমবেত হওয়া মাত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ওপর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ শুরু করে; বিমান হামলাও চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা দমে যাননি। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন কয়েকটি দলে বিভক্ত। তারা অবস্থান নিচ্ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থানের কাছে। একটি দলে ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি একটি উপদলের দলনেতা ছিলেন। সে সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আক্রমণ করল। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। রক্তক্ষয়ী সম্মুখযুদ্ধে তার চোখের সামনে হতাহত হলেন কয়েকজন সহযোদ্ধা। একটানা কয়েক দিন চলা যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা জয়ী হলেন। ৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে মিজানুর রহমানেরা পাল্টা অভিযান শুরু করেন এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আখাউড়ার বিরাট এলাকা দখল করতে সক্ষম হন। আখাউড়ায় ৫ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। এরপর গোটা আখাউড়া এলাকা মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে। []

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ২৯-০২-২০১২[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ৩৬৯। আইএসবিএন 9789843351449 
  3. একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা পৃ ২৬৭। আইএসবিএন 9789849025375 

পাদটীকা

বহিঃসংযোগ

Prefix: a b c d e f g h i j k l m n o p q r s t u v w x y z 0 1 2 3 4 5 6 7 8 9

Portal di Ensiklopedia Dunia

Kembali kehalaman sebelumnya