সৈয়দ সদরুজ্জামান (জন্ম: ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫০) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সৈয়দ সদরুজ্জামান জন্ম জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ (সাহেব বাড়ি) গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ বদরুজ্জামান এবং মায়ের নাম সৈয়দা খোদেজা জামান। তার স্ত্রীর নাম সৈয়দা সাহানা জামান। তার এক ছেলে, দুই মেয়ে। [২]
কর্মজীবন
১৯৭১ সালে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন সৈয়দ সদরুজ্জামান। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। মা-বাবার অনুমতি নিয়েই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ১১ নম্বর সেক্টরের মহেন্দ্রগঞ্জ সাব সেক্টরের একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কামালপুরসহ আরও কয়েক স্থানের যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ও তার দলের মুক্তিযোদ্ধারা সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে যুদ্ধ করেন। তার দলের বেশ কয়েকজন সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য খেতাবও পেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর প্রান্তে ধানুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত উঠানিপাড়ায় সৈয়দ সদরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক দল মুক্তিযোদ্ধা সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য অ্যামবুশ তৈরি করে। ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা উঠানিপাড়ায় অ্যামবুশ আক্রমনে যোগ দেন। দিনের বেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ভারত থেকে এসে অবস্থান নিল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ সদরুজ্জামান। অদূরে ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান। সেই অবস্থানকে ঘিরে অবস্থান নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের আরও কয়েকটি দল। রাতে সৈয়দ সদরুজ্জামানের দলের অবস্থানের দিকে এগিয়ে এল এক দল পাকিস্তানি সেনা এবং শুরু হলো যুদ্ধ। ১০ মিনিটের বেশি সময় সম্মুখযুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা পেছনে ফিরতে শুরু করি। কামালপুরে মোট ১৮ বার আক্রমণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪ বার আক্রমণে ছিলেন সৈয়দ সদরুজ্জামান। সেদিন যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ২৭ জন হতাহত হয়। [৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
পাদটীকা
বহি:সংযোগ