আলেক্সি আলেকসেইভিচ রোদিওনোভ (রুশ: Родионов, Алексей Алексеевич; জন্ম: ২৭ মার্চ, ১৯২২ - মৃত্যু: ১৮ মে, ২০১৩) রাশিয়ার মস্কোয় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সোভিয়েত-ইউক্রেনীয়কূটনীতিবিদ ছিলেন।:৮৩[১] ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্নায়ুযুদ্ধের পর ১৯৯১-৯২ সময়কালে কানাডায় ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবন
রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাকিস্তানে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে তিনি জড়িত হয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত গোপন বার্তা রাষ্ট্রপতিইয়াহিয়া খানের কাছে হস্তান্তর করেন। ঐ বার্তায় ইয়াহিয়া খানকে পূর্ব পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকল্পে ভারতের সাথে সংঘাতপূর্ণ অবস্থান থেকে বিরত থাকার কথা তুলে ধরা হয়।:২৩১[২]
রোদিওনোভ বার্তা
বর্তমানে শ্রেণীবিহীন রোদিওনোভ বার্তায় পাকিস্তানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল যে, সংঘাতপূর্ণ অবস্থানটি আত্মঘাতিমূলক কার্যকলাপ হবে ও ধীরে ধীরে উপমহাদেশে উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে।:part-৩[৩]
ইন্দো-সোভিয়েত চুক্তি অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খানের সাথে সোভিয়েত চুক্তিতে তিক্ততামূলক সংঘাতের কথা জানান। ইয়াহিয়া খান সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা চালিয়ে যাবার কথা জানালে তিনি এ মন্তব্য করেন।:৭২-৭৩[৪]
সফলতা
তার সময়কালে ইয়াহিয়া খানের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্ক নিস্তেজ হলেও ১৯৭১ সালে ভুট্টো সরকারের সাথে সম্পর্ক মজবুতের চেষ্টা চালান। পাকিস্তান স্টিল মিলস প্রতিষ্ঠায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।:১৬[৫] ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে করাচীতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণবার্তা হস্তান্তর করেন যা ১৯৭৪ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।:১৬[৫]
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
১৯৭৪ সালে পাকিস্তান থেকে রোদিওনোভকে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত সারভার এ. আজিমোভ তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।:১১[৬] স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর রোদিওনোভ ইউক্রেনের নাগরিক হন। এরপর তাকে ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে কানাডায় কর্মরত ছিলেন।:৬-৭[৭]
তথ্যসূত্র
↑Radio Liberty Dispatch (ইংরেজি ভাষায়)। Radio Liberty Committee। ১৯৭১। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৬।
↑Service, British Broadcasting Corporation Monitoring (১৯৭১)। Summary of World Broadcasts: Far East (ইংরেজি ভাষায়)। London, UK: Monitoring Service of the British Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৬।