তাহের আহমেদ |
---|
জন্ম | (১৯৫০-১২-০১)১ ডিসেম্বর ১৯৫০
|
---|
মৃত্যু | ৪ জুলাই ২০২০(2020-07-04) (বয়স ৬৯) |
---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
---|
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
---|
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
---|
তাহের আহমেদ (১ ডিসেম্বর ১৯৫০ – ৪ জুলাই ২০২০) ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।[১] স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। [২][৩]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
তাহের আহমেদ'র পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নিজ ভাওরে গ্রামে। তার বাবার নাম সাইদুর রহমান এবং মায়ের নাম তহুরুন নাহার, স্ত্রী: আনজুমা আখতার।
কর্মজীবন
১৯৭১ সালে তাহের আহমেদ ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করতেন। স্বাধীনতার পর তাহের আহমেদ সেনাবাহিনীতেই থেকে যান। ১৯৮০ মেজর পদ থেকে অবসর নেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের কাছে বুরেরচরের যুদ্ধে তাহের আহমেদ যথেষ্ট রণকৌশল প্রদর্শন করেন। তার নেতৃত্বে সেখানে জামালপুরের বেগুনবাড়ি সেতু ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একদল মুক্তিযোদ্ধা অবস্থান নিয়েছিলেন সেখানে। সেই সময় ট্রেনে একদল পাকিস্তানি সেনা আসলে তিনি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনামতো বেলা ১১টায় তারা একযোগে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করেন এবং বিকেল পর্যন্ত যুধের পর পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে নদীর পাড়ে সমবেত হয়। এই সময় তাহের আহমেদ একটি কৌশল প্রয়োগ করেন। তাহের আহমেদের নির্দেশে কয়েকজন গ্রামবাসী নৌকায় করে পাকিস্তানি সেনাদের পার করে দেওয়ার অভিনয় করেন, নৌকা মাঝনদীতে যাওয়ামাত্র গ্রামবাসীরা তার সঙ্কেতে জলে ডুব দেন। তখন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালালে পাকিস্তানি সেনারা এই অতর্কিত আক্রমণে নিহত হয়।[৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
পাদটীকা