প্যাট্রিশিয়া তৃস লডারডেল নামীয় এক রমণীকে বিয়ে করেন শন পোলক। জিমা এবং জর্জিয়া নাম্নী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। লডারডেল নব্বুইয়ের দশকের শুরুতে মিস সাউথ আফ্রিকাসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ও বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার টেলিকম কোম্পানী এমটিএনে কর্মরত আছেন।[৫]
খেলোয়াড়ী জীবন
ফাস্ট-মিডিয়াম সিম বোলার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় তার দৃপ্ত পদচারণা ছিল। সঠিকভাবে দ্রুত বল করার পাশাপাশি সুইং করার সক্ষমতায় পারদর্শী ছিলেন পোলক। প্রবাদপ্রতীম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গ্রেইম পোলকের নাতি এবং সাবেক ফাস্ট বোলারপিটার পোলকের সন্তান শন পোলক ১৯৯৫/৯৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন। কয়েকটি খেলায় চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন ও অ্যালান ডোনাল্ডের সাথে বোলিং জুটি গড়েন। ডোনাল্ডের অবসরের পূর্ব পর্যন্ত উভয়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বোলিং স্তম্ভ।
হার্ড-হিটিং ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত ছিলেন পোলক। সচরাচর ৭ কিংবা ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামতেন। টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ছিল ত্রিশের উপরে এবং ওডিআইয়ে পঁচিশের ঊর্ধ্বে। হানসি ক্রনিয়ের ক্রিকেট জীবনে নিষেধাজ্ঞা নেমে আসলে এপ্রিল, ২০০০ সালে তাকে অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়।[৬] পাতানো খেলার কেলেঙ্কারী থেকে দলকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হন। তার নেতৃত্বে দল শুরুতে ভাল করলেও বেশ কয়েকটি সিরিজে হেরে যায় দল। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ ফলাফলের দরুন অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এ প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে মনে করা হয়েছিল।
জুন, ২০০৭ সালে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা একাদশ বনাম এশিয়া একাদশের খেলায় তার ভূমিকা ছিল পেশাদার ব্যাটসম্যানের ন্যায়। ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩০ রান করেন যা এ অবস্থানে থেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।[৭] কিন্তু এ রেকর্ডটি বেশীদিন টিকেনি। পরবর্তী সিরিজেই মহেন্দ্র সিং ধোনি তা ভেঙ্গে দেন।
১১ জানুয়ারি, ২০০৮ সালে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার কথা ঘোষণা করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত ৩০৩তম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাই ছিল তার শেষ খেলা।[৮]
সম্মাননা
ক্রিকেট খেলায় অসামান্য অবদান রাখায় পোলক উইজডেন কর্তৃক ২০০৩ সালের সংস্করণে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।