লিসা ক্যাপ্রিনি স্থলেকর (মারাঠি: लिसा स्थळेकर; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৭৮ মহারাষ্ট্রেরপুণেতে (পূর্বতন পুনা) জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধারাভাষ্যকার ও প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন থেকে ২০১০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া দলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি সিক্সার্সের মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন লিসা স্থলেকর।
শৈশবকাল
জন্মকালীন তিনি লায়লা নামধারী ছিলেন। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে লিসা স্থলেকরের জন্ম। তার অভিভাবকের আর্থিক সঙ্কট থাকায় তাকে পুনের সাসুন হাসপাতালের সাথে যুক্ত শ্রীবৎস অনাথ আশ্রমে রেখে আসেন। বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী হারেন ও ইংরেজ সু নাম্নী রমণী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাস করতেন। তারা শ্রীবৎস পরিদর্শনে আসেন ও তাদের পরিবারের জন্যে দত্তক বালকের সন্ধান করেন। চলে যাবার সময় লায়লা’র সাথে সাক্ষাৎ হয়। বাদামী বর্ণের চক্ষু তাদেরকে আকৃষ্ট করে। প্রয়োজনীয় বৈধ নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে তারা নাম পরিবর্তন করে লিসা রাখেন।[১]
জন্মের তিন সপ্তাহ পর তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। খ্রিস্টান মিশনারিতে কাজের সূত্র হারেন এক পর্যায়ে কেনিয়া যান। পরবর্তীতে পরিবারটি সিডনিতে বসবাস করতে থাকে।[২] ৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে লিসা স্থলেকর শ্রীবৎস পরিদর্শনে আসেন।[৩]
বাড়ীর পিছনের উঠানে পিতার সাথে লিসা স্থলেকরের ক্রিকেট খেলায় হাতেখড়ি ঘটে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, আমি সকল ভারতীয়দের মাঝে ক্রিকেট খেলায় আগ্রহ দেখেছি।[৪] শুরুতে ছেলেদের সাথে খেলতেন। তার পিতা নর্থ সিডনি ওভালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার মহিলাদের টেস্ট খেলা দেখতে নিয়ে যান। এরপূর্বে তিনি জানতেনই না যে মহিলারা ক্রিকেট খেলে। এরপর তিনি সিডনির উত্তরাঞ্চলের গর্ডন ক্লাবে যোগ দেন। সপ্তাহ শেষে বিকেলে মহিলাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পূর্বে সকালে ছেলেদের সাথে খেলতেন।[৪]
চেরিব্রুক পাবলিক স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এ পর্যায়ে তিনি ওয়েস্ট পেনান্ট হিলস চেরিব্রুক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলতেন। চেরিব্রুক টেকনোলজি হাই স্কুলের পর সিডনির উত্তর উপকূলীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাঙ্গলিকান প্রতিষ্ঠান বার্কার কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে মনোবিজ্ঞান ও ধর্মশিক্ষা বিষয়ে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন।[২]
ঘরোয়া ক্রিকেট
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের শেষ দিক থেকে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। মূলতঃ তিনি বোলার হিসেবে খেলা শুরু করেন। এ পর্যায়ে তিনি নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। নিজস্ব প্রথম খেলায় ছয় ওভারে ০/১৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। খেলায় নিউ সাউথ ওয়েলস পাঁচ উইকেট জয় পায় ও তাকে ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি। পাঁচ খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলাগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথম খেলায় দশ ওভারে ১/২২ লাভ করেন। ঐ খেলায় তার দল ছয় উইকেটে জয় পায়। নিজস্ব চতুর্থ খেলায় বড়দের পর্যায়ে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। দ্বিতীয় চূড়ান্ত খেলায় মাত্র পাঁচ ওভার বোলিং করে ০/২৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। অপরাজিত ছয় রান করে নিউ সাউথ ওয়েলস দল চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে। এরফলে, ডব্লিউএনসিএল সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে উপর্যুপরী দ্বিতীয়বার শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখায়।[৫] ঐ সিরিজে ২৫.০০ গড়ে ২৫ রান ও ওভার প্রতি ৩.০০ গড়ে ১২০.০০ গড়ে এক উইকেট পান।[৫]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের শেষদিকে ওম্যানস ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগে (ডব্লিউএনসিএল) মূলতঃ বোলার হিসেবে লিসা স্থলেকরের অভিষেক ঘটে। তবে, খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ঐ খেলায় তিনি ১/১২০ পান। পরবর্তী দুই মৌসুমে তার খেলার উত্তরণ ঘটতে থাকে। ৮ ও ১৫ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ঐ তিন বছরে তিনি মোটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। সর্বোচ্চ করেছিলেন ৩৩ রান।
২০০০-০১ মৌসুমের ডব্লিউএনসিএলে ১১ উইকেট ও ১১২ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দলে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বোলার হিসেবে খেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়। ব্রিটিশ আইলস গমন করে পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে পাঁচ উইকেট পান।
২০০১-০২ মৌসুমে লিসা স্থলেকর নিজেকে সম্মুখসারির ব্যাটসম্যানে রূপান্তর করেন। নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। সবমিলিয়ে ঐ মৌসুমে চারটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল তার। সর্বমোট ৩৪৭ রান তুলেন। এ সংখ্যাটি পূর্ববর্তী চার মৌসুমের চেয়েও অধিক ছিল। এছাড়াও, ১১ উইকেট নিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসকে উপর্যুপরী ছয়বার ডব্লিউএনসিএলের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। তবে, পরবর্তী দুই মৌসুমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে নিয়ে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু, ব্যাট হাতে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে বেশ মেলে ধরেছিলেন। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে তিনটিতে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ২০০৩ সালের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ১২০ রানের অপরাজিত অভিষেক সেঞ্চুরির সন্ধান পান। পাশাপাশি, দুই টেস্ট থেকে কেবলমাত্র তিন উইকেট লাভ করেছিলেন।
তেজোদীপ্ত অল-রাউন্ডার লিসা স্থলেকর মারমুখী ব্যাটিং ও অফ স্পিন বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্রেকার্সকে এগারো বছরের মধ্যে তাদের নবম শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। চূড়ান্ত খেলায় তিনি ৮৩ রান তুলেছিলেন। গর্ডন ক্লাবে খেলতেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট, একশত পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও চুয়ান্নটি টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন লিসা স্থলেকর। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২২ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম টেস্ট শতরানের সন্ধান পান। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে টেস্টে বিশেরও কম গড়ে উইকেট লাভ করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনে দূর্দান্ত ছন্দে নিজেকে তুলে ধরতেন। ২০০৬ সালে অ্যাডিলেড ওভালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/৩০ দাঁড় করান। দ্বিতীয় ইনিংসে তার বোলিংয়ের কল্যাণে তার দল ইনিংস ও চার রানে বিজয়ী হয়। ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সহঃঅধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
নিউ সাউথ ওয়েলস ও ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। ১৫.৬৯ গড়ে ১৩ উইকেট লাভ করেন তিনি। তবে, ব্যাট হাতে তাকে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল। ১৪.০০ গড়ে ৭০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া দল পরাভূত হয়। ২০১০ সালের শুরুরদিকে নিজস্ব ১০০তম খেলায় ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ৫/৩৫ লাভ করেছিলেন তিনি। আটটি ওডিআইয়ে সবকটিতেই নিউজিল্যান্ড দলকে পরাভূত করে অস্ট্রেলিয়া দল ও স্থলেকর বল হাতে ব্যাপক সাফল্য পান। সাত খেলায় ১২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আগস্ট, ২০২০ সালে তাকে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬]
ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ
২০০৩-০৪ ও পরের মৌসুমে লিসা স্থলেকর ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন ও উভয় মৌসুমেই ২৫০ রানের কোটা স্পর্শ করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি বল হাতে নিয়ে ছন্দ ফিরে পান ও ওডিআইয়ে গড়ে একের অধিক উইকেট লাভ করেন। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রত্যেক খেলাতেই অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া দল অপরাজিত থেকে শিরোপা জয় করে। সবমিলিয়ে তিনি সাত উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, চূড়ান্ত খেলায় ভারতের বিপক্ষে ৫৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ শেষে অস্ট্রেলিয়া দল ব্রিটিশ আইলস গমন করেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম ওডিআই শতরানের ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে সাত উইকেট পান। অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পথে ভারতের বিপক্ষে ৭২ ও ৫/৩০ লাভ করে দলকে ইনিংস ব্যবধানের জয়ে ভূমিকা রাখেন।
২০০৬-০৭ মৌসুমে ব্যাট হাতে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। ৬৭.১১ গড়ে ৬০৪ রান তুলেন। অংশগ্রহণকৃত ১২ ইনিংসের মধ্যে ৯টিতেই ৪০ ঊর্ধ্ব রান তুলেন। তবে, বল হাতে সুবিধে করতে পারেননি। ৪১.০০ গড়ে ১০ উইকেট পান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র খেলায় ৯৮ রানে আউট হন। ফলে, দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন তিনি। ঐ মৌসুমের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উপর্যুপরী ওডিআই অর্ধ-শতরান করেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার লাভ করেন।[৭] পরবর্তী গ্রীষ্মের শুরুতেই ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৩ ও ১০৪ রান সংগ্রহ করেন। পরের খেলায় ৪/২০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ওডিআই সিরিজে নিরঙ্কুশতা বজায় রাখেন।
২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি শিরোপা লাভে নিউ সাউথ ওয়েলসকে নেতৃত্ব দেন। এ পর্যায়ে ব্যাট হাতে ৪০ ঊর্ধ্ব গড়ে রান ও বল হাতে ২০-এর অল্প গড়ে উইকেট পান। ১৪০০-এর অধিক রান তুলেন ও ৬০ উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি। ২০০৯-১০ মৌসুমে ডব্লিউএনসিএলে প্রথম শতরানের সন্ধান পান। এরপূর্বে পাঁচ বছরে দুইবার নব্বুইয়ের কোটায় অপরাজিত অবস্থায় ছিলেন।
অর্জনসমূহ
আইসিসি র্যাঙ্কিং প্রথা প্রবর্তনের পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অল-রাউন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে এক হাজার রান ও একশত উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন।
২০০৬ সালে অধিনায়ক কারেন রোল্টনকে এক ভোটে পরাস্ত করে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। এরপর, একই সালে আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে রাখা হয়। তবে, এ পুরস্কারটি কারেন রোল্টন লাভ করেছিলেন। ২০০৮ সালে বর্ষসেরা মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। ২৩ আগস্ট, ২০২০ তারিখে আইসিসি হল অব ফেমেজ্যাক ক্যালিস ও জহির আব্বাসের সাথে তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০১৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা বিজয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।[৮]
তথ্যসূত্র
↑Lele, Sunandan (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "लिसाची अद्भुत कहाणी"। सकाळ सप्तरंग (Marathi ভাষায়)। Pune: Sakal। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)