জোহানেস আলবার্তু মরকেলl (জন্ম: ১০ জুন ১৯৮১), আলবি মরকেল নামে পরিচিত, হলেন একজন সাউথ আফ্রিকান জাতীয় ক্রিকেটার। তিনি একজন অল-রাউন্ডার হিসেবে বল করে থাকেন ডান-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট এবং ব্যাটিং করে থাকেন বা-হাতে। তিনি ছোটবেলা থেকে নতুন ‘ল্যান্স ক্লুজনার’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন এবং তার ছয় মারার ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। এলবের পিতা আলবার্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাদেশিক ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়াও তার ভাই মরনে মরকেল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট
তিনি গ্রিকুল্যান্ড ওয়েস্টের বিরুদ্ধে ইস্টার্নের হয়ে ৩৬ উইকেট নেন ছয় ম্যাচে বোলিং করে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার প্রথম পর্বে বেশ চিত্তাকর্ষক ছিলেন। কিন্তু ২০০৪/০৫ মৌসুমে তিনি টাইটানসের হয়ে বোলিং প্রচেষ্টার আরো বেশি উইকেট নিতে হবে বলে আশা করা করলেও, তিনি ২০ উইকেট লাভ করেন বোলিং গড় ছিল ৪০.৬৫।
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
তার পরিসংখ্যানে ৪৮ রানে দুই উইকেট হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফরে তার আন্তর্জাতিক আত্মপ্রকাশ ম্যাচে খুব চিত্তাকর্ষক ছিলনা, কিন্তু তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জিম্বাবুয়ের সফরে বেশ সস্তায় পাঁচটি উইকেট লাভ করেন।
ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগ
আলবি একজন অল-রাউন্ডার হিসেবে অত্যন্ত সফল টুর্নামেন্ট খেলোয়াড় ছিলেন, যেখানে তিনি ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধনী পর্বের পর থেকে চেন্নাই সুপার কিংস দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি বিদেশী চারজন নিয়মিত খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন। মরকেলের মারকুটে স্বভা এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ বোলিং পারফরমেন্স এর জন্য ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে সুপার কিংসের একজন অন্যতম সফল ক্রিকেটার হিসেবে মর্যাদা পান।
তিনি ২০১৪ সালের মৌসুমের জন্য খেলোয়াড়দের নিলামে মার্কিন ডলার ২,৪০,০০,০০০ এর বিনিময়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালরু দল তাকে কিনে নেয়।
ব্যক্তিগত জীবন
আলবি আফ্রিকার হেইলস পরিবার থেকে বড় একজন ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে এসেছেন। তিনি তিন সন্তানের দ্বিতীয় হিসাবে আলবার্ট ও মারিয়ানা মর্কেলের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন; মরনে সর্বকনিষ্ঠ ভাই; এছাড়াও তার বড় ভাই মালান ক্রিকেট খেলেছেন। এলবে তার শৈশব বান্ধবী মারথামারিকে বিয়ে করেন। তাদের পুত্র সন্তান আলবার্টাস জোহানেস "এজে" মর্কেল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাদের কন্যা সন্তান ক্যারা মরকেল ২০১১ সালের ৪ জুন জন্মগ্রহণ করেন।[১]