জ্যঁ-পল ডুমিনি (ইংরেজি: Jean-Paul Duminy; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯৮৪) কেপ টাউনের স্ট্যান্ডফন্টেইনে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সংক্ষেপে তিনি জেপি ডুমিনি নামে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত।[১]
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বামহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি অফ স্পিন বোলার হিসেবে খেলে থাকেন। কেপে জন্মগ্রহণ করলেও বড় হয়েছেন ওয়েস্টার্ন কেপে।[১] বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজ রাজ্য দল কেপ কোবরাজে খেলছেন।
ক্রীড়া জীবন
শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানরূপে ডুমিনি সফলতা লাভ করেছেন, দক্ষ ফিল্ডার ও কার্যকর পরিবর্তিত বোলাররূপে পরিচিত পেয়েছেন। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হয়েছেন। আঘাতপ্রাপ্ত সহ-অধিনায়ক অ্যাশওয়েল প্রিন্সের পরিবর্তে ডুমিনির টেস্ট অভিষেক ঘটে ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে পার্থের ওয়াকায়। অপরাজিত অর্ধ-শতকের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসের জয়সূচক রানটি আসে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে অবিচ্ছিন্ন জুটি বেঁধে। পরের টেস্টে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। বক্সিং ডে টেস্টের খেলাটিতে ২০০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট পড়ে যায়। এ অবস্থায় ডেল স্টেইনকে (৭৬) সাথে নিয়ে ১৮০ রান করেন। এর মাধ্যমে গ্রেইম ও পিটার পোলকেরঅস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সৃষ্ট রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬২ রানে এগিয়ে থেকে ৯ উইকেটের বিজয় অর্জন করে। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করে। পাশাপাশি ১৬ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া নিজ মাটিতে প্রথমবারের মতো হারে।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেন ডুমিনি।[৪] ধারাবাহিকভাবে তিনি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, নুয়ান কুলাসেকারা ও থারিন্ডু কৌশলকে আউটের মাধ্যমে দুই ওভারের সমন্বয়ে গড়া একদিনের আন্তর্জাতিকের ৩৮তম হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন।[৫] এরফলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের কোন খেলা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ হয়ে যায়।[৬] তার দল ৯ উইকেটেব ব্যবধানে জয়সহ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে জয় পায়।[৭]