২০১৬ এশিয়া কাপ ক্রিকেট এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতার ১৩তম আসর। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়।[১] এ নিয়ে বাংলাদেশে পঞ্চমবারের মতো ও ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায়। পূর্বে এ প্রতিযোগিতাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবার কথা ছিল।[২] এশিয়া কাপের এ আসরে প্রথমবারের মতো টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ববর্তী চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। এ প্রতিযোগিতায় টেস্টখেলুড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ মূল প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে ১৯-২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের মাধ্যমে উত্তীর্ণ সংযুক্ত আরব আমিরাত সহযোগী দেশ হিসেবে অংশ নেয়।[৩][৪] মূলতঃ ২০১৬ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতিমূলক খেলা হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
চূড়ান্ত খেলায় বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে আট উইকেটে পরাজিত হয়।[৫] সম্প্রচারসত্ত্বজনিত কারণে প্রতিযোগিতাটি মাইক্রোম্যাক্স এশিয়া কাপ ২০১৬ নামে পরিচিতি পায়।[৬]
পরিচালক: রবি শাস্ত্রী
আঘাতের কারণে মোহাম্মদ শমী পুরোপুরি আরোগ্য লাভ না করায় ভুবনেশ্বর কুমার তার স্থলাভিষিক্ত হন।[১২] মাংসপেশীর টান পড়ায় এমএস ধোনি'কে সহায়তার লক্ষ্যে পার্থিব প্যাটেল অন্তর্ভুক্ত হন।[১৩] ২০১৬ সালের পাকিস্তান সুপার লীগে বাবর আজম ও রুম্মান রইস আঘাত পাওয়ায় মোহাম্মদ সামি ও শারজিল খান পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[১৪][১৫] শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা চলাকালে মুস্তাফিজুর রহমান আহত হন। তার পরিবর্তে প্রতিযোগিতার বাকী খেলাগুলোয় তামিম ইকবাল অংশগ্রহণ করেন।[১৬] শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে লাসিথ মালিঙ্গাকে রাখা হলেও তিনি কেবলমাত্র তাদের প্রথম খেলায় অংশ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খেলায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং চতুর্থ খেলায় দিনেশ চান্দিমাল শেষ খেলায় অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
এপ্রিল, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্ষমতা সঙ্কুচিত করলে ঘোষণা করা হয় যে, আসন্ন এশিয়া কাপে আইসিসি’র পরিচালনায় ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে বিশ্বকাপের সাথে মিল রেখে ওডিআই ও টি২০আই প্রতিযোগিতা হবে।[১৭][১৮][১৯] এরফলে ২০১৬ সালের প্রতিযোগিতাটি ২০১৬ সালের টুয়েন্টি২০ ও ২০২০ সালের সালের প্রতিযোগিতাটি ২০২০ সালে টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে টি২০আই অনুযায়ী এবং ২০১৮ ও ২০২২ সালের প্রতিযোগিতাগুলো ২০১৯ ও ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে ওডিআই অনুযায়ী হবে।[১৯] একই সময়ে ঘোষিত হয় যে, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের প্রতিযোগিতায় চারটি টেস্টভূক্ত দেশ ও দু’টি সহযোগী সদস্য দেশ বাছাইপর্বের মাধ্যমে অংশ নিবে।
২০১৬ এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করে।
ফাইনালে অগ্রসর হয়।