২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপ পর্বেই দলের ফলাফল বিপর্যয়ের পর কয়েকজন উদীয়মান তরুণদের একজন হন চিনা। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই ব্যর্থ হওয়ায় টেস্টসহ ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্যে প্রদর্শন ও পাকিস্তান এ দলের সাফল্যে পুনরায় ২০০৪ সালে দলে ফিরে আসেন।
২০০৫ সালে ওডিআইয়ে ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা থাকলেও বোলিংয়ে পারঙ্গমতা দেখান। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে হাফিজ সেঞ্চুরি করেন। উপযুক্ত উদ্বোধনী জুটির সন্ধানে টেস্টে তাকে ডেকে নেয়া হয় ও ইংল্যান্ডে যান। ওভালে ৯৫ রান করেন। নভেম্বরে নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। প্রথম দুই টেস্টে তেমন ভাল না করলেও করাচীতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে তার দ্বিতীয় শতক তুলে নেন। তারপরও ধারাবাহিকতার অভাবে পরবর্তী ৫ বছর টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে অনিয়মিত দেখা যায়।
অধিনায়কত্ব
মে, ২০১২ সালে পাকিস্তান টি২০ দলের অধিনায়করূপে মনোনীত হন। এছাড়াও, মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন ওডিআই এবং টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কত্ব করে আসছেন। সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে পাকিস্তান সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেও স্বাগতিক দলের কাছে হেরে যায়। প্রতিযোগিতা শেষে সাবেক অল-রাউন্ডারআব্দুল রাজ্জাকের সাথে কিছুটা বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পিসিবি'র সাথে তার মতানৈক্য ঘটে। কিন্তু কোচডেভ হোয়াটমোরের কাছ থেকে সমর্থন পান তিনি এবং অনেক খেলোয়াড়ের দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর কথা তুলে ধরেন। পিসিবি কমিটি হাফিজের নৈপুণ্যতাকে আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।[২]
শুরুতে আসিফ আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ দলের সদস্য ছিলেন না। পরবর্তীতে চূড়ান্ত দলে তারা আবিদ আলী, ফাহিম আশরাফ ও জুনায়েদ খানের পরিবর্তে অন্তর্ভূক্ত হন।