মোহাম্মদ জুনায়েদ খান, বিশ্বব্যাপী পরিচিত জুনায়েদ খান (পশতু: جنید خان; জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৮৯) হলেন একজন পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জুনায়েদ বা-হাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে বোলিং এবং ডানহাতি লো অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেে জাতীয় দলে নিয়মিত একজন ক্রিকেটার হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। তিনি পাকিস্তানের সোয়াবী থেকে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম খেলোয়াড়[১] এবং তার চাচাত ভাই লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ পরবর্তীকালে একই পথ অনুসরণ করেন।[২] ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রাক্কালে সোহেল তানভীর আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার জায়গায় জুনায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন অভিজ্ঞতার ছাড়াই তার বদলি হিসেবে দলে ডান পান। কিন্তু তিনি উক্ত টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের এপ্রিলে ওয়ানডে ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছরে জুন মাসে তিনি ইংরেজি ঘরোয়া ক্রিকেট দল "ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব" এর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।
প্রারম্ভিক ঘরোয়া খেলোয়াড়ী জীবন
খান ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি মাত্র ১৭ বছর বয়সে এবোটাবাদ দলের হয়ে মুলতানের বিরুদ্ধে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম উইকেট ছিল মাজিদ। উক্ত খেলাটি ড্র এর মাধ্যেমে শেষ হলেও জুনায়েদ ৫৭ রান খরচ করে চার উইকেট গ্রহণ করেন।[৩]
পাকিস্তান দলে নির্বাচন
সোহেল তানভীর এর হাঁটুর আঘাতজনিত কারণে জুনায়েদ ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াড তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[৪] তিনি টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি এবং তাকে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিল। এপ্রিল ও মে মাসে পাকিস্তানের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে এবং ১টি টি২০ ম্যাচের জন্য পাকিস্তান স্কোয়াডে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২১ এপ্রিল তিনি টি২০ আত্মপ্রকাশ করেন এবং উক্ত ম্যাচে তিনি উইকেটশূন্য ছিলেন।[৫] দুই দিন পরে জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ সালমান, এবং হাম্মাদ আজম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন। উদ্বোধনী বোলার হিসেবে ওয়াহাব রিয়াজ বল করলেও খান ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট লাভ করেন।[৬]
বোলিং এর ধরন
খান তার সহযোগী বা-হাতি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম এর বোলিং এ্যাকশন মডেল হিসেবে নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ইমরান খান এর বোলিং দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।[৭] তার নিজের ভাষায, খান হলেন একজন "লাইন এবং লেন্থ বোলার" এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, "যদি তুমি সঠিক মাপে বল করতে পার এবং সংকুচিত লাইনে বল কর তবে উইকেট পাবে"। খান সাধারণত প্রায় ১৪০ থেকে ১৪২ কিমি/ঘ (৮৭ থেকে ৮৮ মা/ঘ) গতিতে বল করে থাকেন।[৮] তিনি একজন ব্যাটসম্যানের ভিতরে এবং বাইরে উভয় থেকে বল সুইং করাতে পারেন।[৯]
কাউন্টি ক্রিকেট
বোলিং রেকর্ড
মৌলিক
তারিখ – তারিখ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। টেস্ট ম্যাচ শুরুর তারিখ।
ওভার – ইনিংসে বল করা ওভার সংখ্যা
রান – রান দিয়েছেন
উইকেট – গৃহীত উইকেটের সংখ্যা
ব্যাটসম্যান – পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকা
গড় – [ বোলিং ইকোনমি হার (গড় ওভার প্রতি রান)
ইনিংস – ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকা
ফলাফল – পাকিস্তান দলের হয়ে উক্ত ম্যাচের ফলাফল
– জুনায়েদ খানকে ম্যাচের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল
শুরুতে আসিফ আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ দলের সদস্য ছিলেন না। পরবর্তীতে চূড়ান্ত দলে তারা আবিদ আলী, ফাহিম আশরাফ ও জুনায়েদ খানের পরিবর্তে অন্তর্ভূক্ত হন।
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!