হিউয়াসান্দাচিগে আসিরি প্রসন্ন বিশ্বনাথ জয়াবর্ধনে (সিংহলি: හේවාසන්දච්චිගේ ආසිරි ප්රසන්න විශ්වනාත් ජයවර්ධන; জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) একজন প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন থেকে ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব, সেবাস্টিয়ানিটিজ ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব এবং ইংল্যান্ডের মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন প্রসন্ন জয়াবর্ধনে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রসন্ন জয়াবর্ধনে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সেন্ট সেবাস্টিয়ানিটিজ কলেজের ছাত্র ছিলেন ও তিন বছর বিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেন। এন.সি.সি’র পক্ষে প্রথম বিভাগে ক্রিকেট খেলেন।
১৯৯৮ সালে ১৯ বছর বয়সী প্রসন্ন জয়াবর্ধনেকে ইংল্যান্ড গমনার্থে দলে রাখা হয়। কিন্তু ঐ সফরে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২০০০ সালে উদীয়মান প্রতিভাধর কুমার সাঙ্গাকারা’র উত্থানে তাকে বেশ ম্রিয়মান করে ফেলে। এরপর, রমেশ কালুবিতরাণা’র সাথে তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাসত্ত্বেও, শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে কয়েকটি খেলায় তিনি অংশ নিতে পেরেছিলেন। সাঙ্গাকারা’র সাথে তাকেও এপ্রিল, ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটান্নটি টেস্ট ও ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রসন্ন জয়াবর্ধনে। টেস্ট ক্রিকেটে দলের স্থায়ী উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ২৮ জুন, ২০০০ তারিখে ক্যান্ডিতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
কুমার সাঙ্গাকারাকে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানোর কারণে তাকে তিন নম্বর অবস্থানে সারাদিন খেলতে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলী টেস্ট খেলার জন্যে শুধুই উইকেট-রক্ষণে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাখতে চান। ফলে, তাদের উভয়কেই একই দলে রাখা হয়। সাঙ্গাকারাকে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ও জয়াবর্ধনেকে নিচেরসারিতে উইকেট-রক্ষণে খেলানো হয়।
জুন, ২০০০ সালে ক্যান্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। প্রথম তিনদিন বৃষ্টির কারণে খেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৬-০৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমন করেন ও নিজেকে টেস্ট দলে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ব্যাট হাতে নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন।
নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে সাঙ্গাকারা’র আঘাতপ্রাপ্তিতে গ্লাভস হাতে নামার সুযোগ পান। ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেন। দুইটি অর্ধ-শতরান ও নয়টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। ২৭ মে, ২০১১ তারিখে কার্ডিফের সলেক স্টেডিয়ামে ধৈর্য্যশীল ১১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা না করলেও এপ্রিল, ২০১৫ সালের পর থেকে তাকে আর খেলতে দেখা যায়নি।
পরিসংখ্যান
- প্রসন্ন জয়াবর্ধনের টেস্ট শতক
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ