২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি উক্ত নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের একটি তালিকা।
এর আগে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ১৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে রেডিও ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া সরাসরি ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।[১][২][৩] ঘোষণা অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।[৪] একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানায়।[৫] একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানায়, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে বাধ্য। তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হবে বলে আশা প্রকাশ করে।”[৬] অন্যতম বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তফসিল ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনের এই আয়োজনকে ‘ভোটরঙ্গ’ আখ্যায়িত করে।[৭] বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[৮] বিএনপি ও তাদের সমমনা জোট থেকে বেরিয়ে শীর্ষ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম বিএনপির পদত্যাগকারী ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যিনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন লাভ করেন।[৯] এছাড়াও জোটের অন্যতম শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমও নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।[১০] এর পাশাপাশি বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।[১১][১২][১৩] ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুর কারণে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে উক্ত আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, যেটি পরে অনুষ্ঠিত হয়।[১৪]
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অসহযোগ আন্দোলনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হয়।[১৫]
সংসদ সদস্য
- রঙের ব্যাখা
সংরক্ষিত মহিলা আসন
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র