সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (জন্ম: ১৫ মার্চ ১৯৪৬; ছেলুন জোয়ার্দ্দার নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান।[২][১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের জন্ম ১৫ মার্চ ১৯৪৬ সালে পৈতৃক নিবাস চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা শহরের আরাম পাড়া এলাকায়। তার পিতার নাম মরহুম সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার এবং মাতা মরহুমা আছিয়া খাতুন। পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিক পাস করে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে উচ্চতর শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন
পেশায় ব্যবসায়ী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন।
ছাত্রজীবন হতেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা মহকুমার সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৩ সালে চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের সভাপতি, ৭৯ সালে আওয়ামী লীগের জেলা সেক্রেটারী ছিলেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভারত হতে ট্রেনিং নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গা রাইফেল ক্লাব, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দীর্ঘ সময়ের সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।[২]
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[২][৩]
২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ছাড়া নির্বাচনেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[৪][৫][২][৬][৭]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১][৮][৯][১০]
দুর্নীতি
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করার অভিযোগে দুদক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্ত্রী আক্তারি জোয়ার্দার, মেয়ে তাবশিনা জান্নাত ও তার নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন।[১১]
পারিবারিক জীবন
ছেলুন জোয়ার্দ্দার আক্তারি জোয়ার্দারকে বিয়ে করেন, এই দম্পতির মেয়ে তাবশিনা জান্নাত।[১১]
তথ্যসূত্র