এ কে এম শামীম ওসমান (জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১)[১] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ, যিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।[২][৩][৪]
কর্মজীবন
১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অবস্থান হারানোর পরে, তিনি ভারত এবং কানাডায় আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। [২] প্রায় আট বছর পর, ২০০৯ সালের এপ্রিলে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসেন, যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দল ক্ষমতায় ফিরেছিল। [২] ২০১১ সালে, তিনি সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র নির্বাচন হেরে যান। [৫] ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনের জন্য দলটি ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচিত কবরী সরোয়ারকে বাদ দিয়েছিল। [২][৬] তিনি নারায়ণগঞ্জ -৪ আসন থেকে সপ্তম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৭]
পারিবারিক জীবন
ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন। [৮] তার ছোট ভাই সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য। [৯] তাদের বাবা এ. কে. এম. শামসুজ্জোহা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ সদস্য এবং তাদের দাদা এম ওসমান আলী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। [১০] ছাত্র জীবনে সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়া করাকালীন মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত সালমা ওসমান লিপির সাথে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১১ জুলাই ১৯৮৭ সালে সালমা ওসমান লিপির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের পুত্র অয়ন ওসমান ও কন্যা অঙ্গনা ওসমান ।[১১]
সমালোচনা
নারায়ণগঞ্জে ২০১৩ সালের ৮ মার্চ ১৮ বছর বয়সী ছাত্র তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী নিখোঁজ হয়েছিল। নিখোঁজ হওয়ার দু'দিন পরে নিহতের বাবা রফিউর রাব্বি শামীম ওসমানের পরিবারের বিরুদ্ধে(নাসিম ওসমান এর পুত্র একেএম আজমেরী ওসমান) সহ তার। তার পুত্র হত্যার অভিযোগ আনে। [১২] ২৫ মার্চ, হাইকোর্ট ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের আগাম জামিন প্রত্যাখ্যান করে। [১৩] ১৩ জুলাই ২০২৩ সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বি.এন.পি প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন শামীম ওসমান।[১৪]
তথ্যসূত্র