ফরিদা ইয়াসমিন (জন্ম ১ জুন ১৯৬৩) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি।[৬] দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কর্মরত ইয়াসমিন এর পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[৫][৭][৮][৯] তিনি বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের উপদেষ্টা। এছাড়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফোরাম অ্যাগেনিস্ট ট্রাফিকিংয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মিডিয়াতে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করায় ২০১৭ সালের ৭ মে তারিখে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টটেটিভ থেকে তিনি বিশেষ কংগ্রেশনার রিকোগনিশন এবং নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট অফিস থেকে পেয়েছেন ‘কংগ্রেসনাল স্পেশাল সার্টিফিকেট’।
প্রারম্ভিক জীবন
ফরিদা ইয়াসমিনের জন্ম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দৌলতকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম সাখাওয়াৎ হোসেন ভুঁইয়া এবং মায়ের নাম জাহানারা হোসেন। ৫ বোন এবং ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। নরসিংদী জেলার শিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ইডেন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন ফরিদা ইয়াসমিন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। [১০]
কর্মজীবন
ফরিদা ইয়াসমিন ১৯৮৯ সালে বাংলার বানী পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার চাকুরী শুরু করেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন সময় থেকেই তিনি বিভিন্ন সাপ্তাহিক ম্যগাজিনে নিয়মিত কাজ করতেন। বাংলার বাণী ছাড়াও তিনি মুক্তকন্ঠেও কাজ করেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কর্মরত আছেন। ২০০১ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য হন ফরিদা ইয়াসমিন। ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[১১][১২][১৩] তিনি সাউথ এশিয়ান ওমেনস মিডিয়া ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এবং এ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১৪][১৫] ২০১৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। [১৬]
প্রকাশিত বই
- ভাষা আন্দোলন ও নারী, ২০০৫
- উজ্জ্বল নারীর মুখোমুখি, ২০০৫
- ইতিহাসের আয়নায় বঙ্গবন্ধু, ২০১৭
পুরস্কার ও সম্মাননা
পারিবারিক জীবন
ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী প্রখ্যাত সাংবাদিক নঈম নিজাম। এ দম্পতির এক ছেলে মাহির আবরার এবং এক কণ্যা নুজহাত পূর্ণতা।
তথ্যসূত্র