হীরেন ভট্টাচার্য (অসমীয়া: হীৰেন ভট্টাচার্য) অসমের একজন খ্যাতিসম্পন্ন কবি। তার রচিত ১৩টি অসমীয়া ভাষায় কবিতা প্রকাশিত ও ২টি বাংলা ভাষায় কবিতা অনূদিত হয়েছে। এছাড়াও অসমের বিভিন্ন পত্রিকায় তার রচিত কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯২ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। অসমীয়া কবিতা প্রেমীর জন্য তার পরিচিত নাম হীরুদা। তিনি সুগন্ধি পখিলার কবি এবং প্রেম ও রোদালির কবি নামে অসমীয়া সাহিত্য জগতে নামাঙ্কিত হয়েছেন।
জন্ম
১৯৩২ সালে অসমেরযোরহাট নগরে হীরেন ভট্টচার্যের জন্ম হয়। তার পিতার নাম তীর্থনাথ ভট্টাচার্য ও মাতার নাম স্নেহলতা ভট্টাচার্য। তার পিতা জেইলার ছিলেন। পরিবারের সহিত বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর হওয়ায় তার শিক্ষাজীবন ডিব্রুগড় থেক গুয়াহাটি, ব্রহ্মপুত্র নদীর দুইপারের বিভিন্ন স্থানে অতিবাহিত হয়েছে।[৩]
সাহিত্যিক অবদান
খুব কম বয়সে কবিতা লেখা আরম্ভ করা হীরেন ভট্টাচার্যের প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় ১৯৫৭ সালে। মোর দেশ মোর প্রেমর কবিতা নামক তার রচিত প্রথম কবিতা পুস্তকটি ১৯৭২ সালে প্রকাশ পায়। পরবর্ত্তী সময়ে তার রচিত বিভিন্ন দিনর কবিতা, কবিতার রোদ, তোমার গান ইত্যাদি কবিতা প্রকাশ পায়। কবির সুগন্ধি পখিলা, শইচর পথার মানুহ, মোর প্রিয় বর্ণমালা, ভালপোয়া বোকামাটি ইত্যাদি তার রচিত কবিতার উজ্জ্বল দিক।[৩] চিত্রবন, মনন ও আন্তরিক নামক তিনটি অসমীয়া কাগজে তিনি সম্পাদনা করেছিলেন।
অন্যান্য অবদান
মেক্সিম গর্কীর শতবার্ষিকে, জ্যোতিপ্রসাদ দিবসে, বিষ্ণুপ্রসাদ রাভার আরোগ্য কামনায়, পুনরায় রাভার বিয়গে, পাবলো নেরুদার স্মরণে তিনি কবিতা রচনা করেছেন। তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এই সময়ে তিনি হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা ইত্যাদি জ্ঞানী ব্যক্তির সহিত পরিচিত হন।[৪]।
১৯৮৬ সালে তিনি অসম সাহিত্য সভানগাঁও, কামপুরের মাধব কন্দলি ক্ষেত্র কবনি সন্মিলনে সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যু
২০১২ সালে ৪জুলাই তারিখে গুয়াহাটির দিসপুর চিকিৎসালয়ে হীরেন ভট্টাচার্য মৃত্যুবরণ করেন।