ভয়েজার ১ কর্তৃক আবিষ্কৃত হওয়ার সময় থেকে সার্টে বেশ কয়েকটি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। আইয়োতে অগ্ন্যুৎপাত আবিষ্কারের পর ১৯৭৯ সালের ১১ জুন পৃথিবী-ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সার্টে প্রথম অগ্ন্যুৎপাতটি পর্যবেক্ষণ করেন। এই অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল ভয়েজার ১ ও ভয়েজার ২ ফ্লাইবাইগুলির মধ্যবর্তী সময়ে।[২][৫] ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে যখন ভয়েজার ২ বৃহস্পতির পরিমণ্ডলে এসে পৌঁছায় ততদিনে সেই অগ্ন্যুৎপাত থেমে গিয়েছিল। কিন্তু সার্টের আশেপাশে একটি নতুন ও ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মা)-চওড়া আগ্নেয় স্তম্ভের সঞ্চয় দৃষ্ট হয়।[৪] এই আগ্নেয় স্তম্ভের সঞ্চয়টি দু’টি ভয়েজার অভিযানের মধ্যবর্তী সময়ে সার্টে একটি সক্রিয় পেলে-জাতীয় আগ্নেয় স্তম্ভের ইঙ্গিত বহন করে।[২] সেই সঙ্গে প্যাটারার পূর্বার্ধের মধ্যে অন্ধকার বস্তুও লক্ষিত হয়, যাকে অগ্ন্যুৎপাতের সময় উদ্গীরণ-জাত লাভা মনে করা হয়েছিল।[৫] ১৯৯৬ সালে গ্যালিলিও মহাকাশযানটি প্রথম ছবি তোলা শুরু করে তখন সার্ট ও তার আশেপাশের এলাকার চেহারা বদলে গিয়েছিল, যা একটি স্বল্পমেয়াদী অগ্ন্যুৎপাতেরই ইঙ্গিতবাহী।[৩]
২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সার্টে আবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। এই অগ্ন্যুৎপাতটি ছিল পর্যবেক্ষিত অগ্ন্যুৎপাতগুলির মধ্যে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণের (ওয়াটে) ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী।[৬] এই অগ্ন্যুৎপাতের সময় সার্টে মোট উৎপাদিত শক্তির পরিমাণ (৭.২-৮.৪ × ১০১৩ওয়াট) ছিল আইয়োর সকল আগ্নেয়গিরির দ্বারা উৎপাদিত গড় মোট শক্তির সমতুল্য। এমন হয় ভয়ংকর অগ্ন্যুৎপাত সত্ত্বেও ছয় মাস পরে গ্যালিলিও কর্তৃক গৃহীত আলোকচিত্রে পৃষ্ঠভাগের অল্প কিছু পরিবর্তনই ধরা পড়ে, যা থেকে অনুমান করা হয় পরিবর্তনগুলি প্রধানত মুছে গিয়েছিল।[৩] ২০০১ সালের অগস্টে গ্যালিলিও কর্তৃক গৃহীত আলোকচিত্রে সার্টের উত্তরপূর্ব দিকে নতুন, সালফার-সমৃদ্ধ, লালচে সঞ্চিত পদার্থ দেখা গিয়েছিল।