পশ্চিমে গফুরগাও এর নিদ্দাচরও হটরয়াল্গী গ্রাম, উত্তরে নান্দাইল এর দেওয়ানগঞ্জ। পূর্ব ও দখিনে সিদলা ইউনিয়ন
ইতিহাস
প্রশাসনিক এলাকা
আয়তন ও জনসংখ্যা
শিক্ষা
শিক্ষার হার :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
দর্শনীয় স্থান
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
তালুকদার মোঃ আমজাদ আলি মৃধা
তিনি ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমায় হোসেনপুরের চরকাটিহারী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আনুমানিক ১৮৯০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মোঃ সবুজ মৃধা এর একমাত্র ছেলে ছিলেন তিনি। তখনকার যুগে এলাকায় কোন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না। তাই তার বাবা তাকে শিক্ষিত করার জন্য কলকাতা শহরে পাঠান। সেখান থেকে তিনি এন্ট্রান্স পাস করে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামের হাজার হাজার মানুষ তাকে দেখতে আসে। এই খবর ১৮ বাড়ির হিন্দু জমিদার এর কানেও পৌঁছে। জমিদার সাহেব তার এক চাচা বলেন, শুনলাম ভাতিজাকে পড়ালেখা করার জন্য কলকাতা পাঠিয়েছ, অনর্থক টাকা নষ্ট না করে এই টাকা দিয়ে কয়েকটি কলাগাছ লাগালে সারা বছর কলা খাওয়া যেত।" তখন কার জমিদারেরা চাইত
মুসলমানদের মধ্যে কেউ যেন শিক্ষিত না হউক। পরবর্তীতে ঐ হিন্দু জমিদার তাকে তালুক দেওয়ার জন্য বলে। তারা ৮ টি মৌজা বা গ্রাম তালুক হিসাবে পায়। গ্রাম গুলোর মধ্যে হলো, হোগলাকান্দি, বীরকাটিহারী, মেছেড়া, রানিকামার, কড়ইকান্দি, সাহেবেরচর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
তিনি সকল খাজনা থেকে শুরু করে সব কিছু দেখবাল করতেন। তিনি খবুই সাদামাটা ছিলেন, অন্যান্য তালুকদারের মতো অহংকারি বা অত্যাচারী ছিলেন না। কেউ খাজনা দিতে না পারলে কখনো জোর করতেন না, পারলে মাফ করে দিতেন। তিনি জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর সরকারি নায়েব হিসাবে কাজ করেন।তিনি ছিলেন বর্তমান হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়ের প্রথম নায়েব। তিনি ১৯৬২ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ছিলেন বর্তমানে জিনারী ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষিত ব্যক্তি।