বাংলাদেশের ৮৭,৩১৯ টি গ্রামের মধ্যে ছাতিরচর একটি গ্রাম। গ্রামটি নিকলী উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। গ্রামীণ ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, প্রায় ২০০ বৎসরেরও অধিক পূর্বে অত্র গ্রামটি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। দেশের বিভিন্ন উপজেলা-জেলা থেকে এসে সাধারণ মানুষেরা এখানে বসতি গড়ে তুলেন। গ্রামের চতুর্দিকে বিশেষ করে পূর্ব দিকে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড় জনসাঁই আর পশ্চিম দিকে গ্রামের গাঁ ঘেঁষে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী ঘোড়াউত্রা। গ্রামের পশ্চিমে গুরুই ইউনিয়ন, উত্তর পশ্চিমে নিকলী উপজেলা, পূর্বে বিশাল হাওড়, দক্ষিণে বাজিতপুর উপজেলা।
এখানকার মানুষেরা নদীতে মাছ শিকার, কৃষিকাজ এবং অন্যান্য কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষা মওসুমে মৎস শিকার করে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তাদের সংসার পরিচালনা করে থাকেন।
প্রশাসনিক এলাকা
ইহা কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নিকলী উপজেলার একটি গ্রাম, একটি ইউনিয়ন। অত্র গ্রামের ৯টি ওয়ার্ডে ০৯ জন সাধারণ ইউপি মেম্বার, ০৩ জন মহিলা মেম্বার এবং ০১ জন চেয়ারম্যান রয়েছেন। পূর্বে ছাতিরচর গ্রামটি গুরুই ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আয়তন ও জনসংখ্যা
ছাতিরচর গ্রামের বর্তমান জনসংখ্যা আনুমানিক ১৬ হাজার। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার।
শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষার হার :
ছাতিরচর ইউনিয়নের শিক্ষার হার মোটামুটি সন্তোষজনক। বর্তমানে শিক্ষার হার প্রায় ৬০%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
অত্র ইউনিয়নে অনেক গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তন্মধ্যে
২টি ক্বওমী মাদরাসাঃ
ছাতিরচর ইমদাদিয়া দারুল উলুম মাদরাসা।
ছাতিরচর ফাতিমাতুজ্জহুরা মহিলা মাদরাসা
১টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি দাখিল মাদরাসা
ছাতিরচর উচ্চ বিদ্যালয়
ইমাম আল হাসান আল হোসাইন দাখিল মাদরাসা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৩ টি
দর্শনীয় স্থান
এই জায়গাটি নিকলি উপজেলার হাওড়ে অবস্থিত একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে ঘোড়াউত্রা নদী, কইয়া নদী এবং কহেরা নদী অবস্থিত। বর্ষায় বা জলমগ্ন অবস্থায় এটি পানিতে ডুবো ডুবো থাকে। এখানে থাকা গাছ বা বনগুলোকে তখন সুন্দরবন মতো মনে হয়। মিনি রাতারগুল নামেও খ্যাতি আছে এর।