মনোজ নালিত্য শ্যামালান[১] (মালয়ালম: മനോജ് നെല്ലിയാട്ട് ശ്യാമളന്, তামিল: மனோஜ் நெல்லியட்டு ஷியாமளன்; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৭০) ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।[২] চলচ্চিত্র অঙ্গণে তিনি এম নাইট শ্যামালান নামে পরিচিত। সমসাময়িক সমাজ সংস্কৃতিতে অতিপ্রাকৃত উপাদান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তিনি সুপরিচিত। তার ছবিগুলো একটি জটিল এবং প্যাঁচালো কাহিনীর মাধ্যমে শেষ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরপেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহর এবং এর আশেপাশের অঞ্চলকে চলচ্চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্নভাবে। তার অধিকাংশ চলচ্চিত্রেই তাকে একটি গৌণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। একে মূল ধারার অভিনয় না বলে ক্যামিও অ্যাপিয়ারেন্স বলাই অধিক যুক্তিসঙ্গত। তিনি মেজর ফিল্ম স্টুডিওতে কাজ করেন।
শ্যামালানের সবচেয়ে প্রশংসিত চলচ্চিত্রগুলো হল অতিপ্রাকৃত ভীতিপ্রদ থ্রিলার দ্য সিক্স্থ সেন্স (১৯৯৯), সুপারহিরো থ্রিলার আনব্রেকেবল (২০০০), বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক ভীতিপ্রদ সাইন্স (২০০২) এবং ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র দ্য ভিলেজ (২০০৪)। শ্যামালানের পরবর্তীতে কল্পনাধর্মী চলচ্চিত্র লেডি ইন দ্য ওয়াটার (২০০৬), ভীতিপ্রদ থ্রিলার দ্য হ্যাপেনিং (২০০৮), দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার (২০১০) এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক আফটার আর্থ (২০১৩)। এই চলচ্চিত্রগুলো জন্য শ্যামালান নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেন, কিন্তু কয়েকটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। আফটার আর্থ ছবির বাণিজ্যিক ব্যর্থতার পর শ্যামালান ভীতিপ্রদ দ্য ভিজিট (২০১৫) এবং মনস্তাত্ত্বিক ভীতিপ্রদ স্প্লিট (২০১৬) দিয়ে সফল হন। ২০১০ সালে তিনি ডেভিল চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।
↑"Padma Shri Awardees"। india.gov.in। National Informatics Centre, Government of India। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে Night Shyamalan সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।