এই মন্দিরে শিব অরুণাচলেশ্বর বা অন্নামলাইয়ার নামে এবং লিঙ্গের প্রতীকে পূজিত হন। সেই কারণে এই লিঙ্গটি ‘অগ্নিলিঙ্গম’ নামে পরিচিত। শিবের পত্নী পার্বতী এখানে পরিচিত উন্নামলৈ আম্মান নামে।[২][৩] খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে নায়নার নামে পরিচিত তামিল সন্ত কবিদের লেখা প্রামাণ্য শৈব ধর্মগ্রন্থ তেবারমে এই মন্দিরের অধিষ্ঠাতা দেবতাকে বন্দনা করা হয়েছে এবং মন্দিরটিকে পাদল পেত্র স্থলম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীর শৈব সন্ত কবি মণিক্কবসাগর এখানেই তিরুবেমপাবই রচনা করেন।
অরুণাচলেশ্বর মন্দির চত্বরটি ভারতের বৃহত্তম মন্দির চত্বরগুলোর অন্যতম। ১০ হেক্টর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই মন্দির চত্বর।[৪] মন্দির চত্বরে ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পূর্বদিকের এগারোতলা গোপুরমটি উচ্চতম। এটির উচ্চতা ৬৬ মিটার (২১৭ ফু)। নায়ক্কর রাজবংশের সেবাপ্পা নায়ক্কর কর্তৃক নির্মিত ভারতের বৃহত্তম গোপুরমগুলোর অন্যতম।[৪] মন্দিরের মধ্যে অনেকগুলো পূজাবেদী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অরুণাচলেশ্বর ও উন্নামলাই আম্মানের পূজাগারটি সর্বপ্রধান। মন্দির চত্বরে অনেকগুলো সভাকক্ষও রয়েছে; যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সভাকক্ষটি হল বিজয়নগর যুগে নির্মিত সহস্র স্তম্ভবিশিষ্ট একটি কক্ষ।
অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের প্রস্তরনির্মিত বর্তমান গঠনটি খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে চোল রাজবংশের আমলে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে সঙ্গম রাজবংশ (১৩২৬-১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দ), সলুব রাজবংশ ও তুলুব রাজবংশের (১৪৯১-১৫৭০ খ্রিস্টাব্দ) বিজয়নগর শাসকদের হাতে মন্দির চত্বর আরও সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে তামিলনাড়ু সরকারের হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি বিভাগ এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত।
মন্দিরে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দৈনিক ছয়টি ধর্মীয় কৃত্য অনুষ্ঠিত হয় এবং মন্দিরের নিজস্ব পঞ্জিকা অনুযায়ী বারোটি বাৎসরিক উৎসব আয়োজিত হয়। কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে আয়োজিত কার্তিগৈ দীপম উৎসবে পাহাড়ের চূড়ায় একটি বিরাট অগ্নি প্রজ্বালিত করা হয়। আশেপাশের কয়েক মাইল দূর থেকে দৃশ্যমান এই অগ্নিশিখাটি এক গগনচুম্বী শিবলিঙ্গের প্রতীক।[৫] ত্রিশ লক্ষ তীর্থযাত্রী এই উৎসবে যোগ দেন। প্রত্যেক পূর্ণিমার পূর্বদিবসে তীর্থযাত্রীরা ‘গিরিবলম’ নামক এক অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে মন্দিরের ভিত্তি ও অরুণাচল পাহাড় প্রদক্ষিণ করেন। এই ধর্মকৃত্যটি প্রতি বছর দশ লক্ষ তীর্থযাত্রী পালন করে থাকেন।[৪][৫][৬]
কিংবদন্তী
হিন্দু পুরাণে আছে, একবার কৈলাশের শিখরে একটি পুষ্পবনে শিবপত্নী পার্বতী খেলাচ্ছলে স্বামীর চোখ দু’টি চেপে ধরেন। দেবতাদের ক্ষেত্রে তা এক মুহুর্তের ঘটনা হলেও এর ফলে সমগ্র মহাবিশ্ব থেকে আলো অপসারিত হয় এবং পৃথিবী বহু বছরের জন্য অন্ধকারে ডুবে যায়। পার্বতী তখন অন্যান্য শিবভক্তকে সঙ্গে নিয়ে তপস্যায় বসেন।[৭] তখন শিব অরুণাচল পাহাড়ে আগুনের এক প্রকাণ্ড স্তম্ভের রূপে দেখা দিয়ে পৃথিবীকে আলো ফিরিয়ে দেন।[৮] তারপর তিনি পার্বতীর দেহে প্রবেশ করে অর্ধনারীশ্বর (অর্ধেক শিব ও অর্ধেক পার্বতী) মূর্তি ধারণ করেন।[৯] এভাবেই অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের পিছনে অরুণাচল পাহাড়টি মন্দিরের সঙ্গে দৈবসূত্রে জড়িত।[৩] সমগ্র পাহাড়টিকেই একটি শিবলিঙ্গ জ্ঞানে পবিত্র বলে মনে করা হয়।[১০]
অপর এক কিংবদন্তি অনুযায়ী, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হলে শিব এক অগ্নিশিখারূপে আবির্ভূত হয়ে দুই জনকে সেই অগ্নিশিখার উৎস খুঁজে বের করতে আহ্বান জানান।[১১][১২] ব্রহ্মা এক রাজহংসের রূপ ধারণ করে শিখার উপরিভাগের সন্ধানে আকাশে উড়ে যান এবং বিষ্ণু বরাহের রূপ ধরে সেই শিখার ভিত্তি খুঁজতে শুরু করেন।[১১] ‘লিঙ্গোদ্ভব’ নামে পরিচিত এই দৃশ্যটি অধিকাংশ শিবমন্দিরের গর্ভগৃহের পশ্চিম প্রাচীরে খোদিত থাকে।[১১] ব্রহ্মা বা বিষ্ণু কেউই সেই অগ্নিশিখার উৎস খুঁজে পাননি।[১১]
ইতিহাস
নাক্কিয়ার (খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী বা খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দী, কপিলার ও পরনারের (১২৫-২২৫ খ্রিস্টাব্দ) ন্যায় প্রাচীন তামিল পণ্ডিতেরা অন্নামলৈতে সেখানকার অধিষ্ঠাতা দেবতার একটি উপাসনালয়ের কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন।[১৩] খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর নায়নার সন্ত সম্বন্দর ও অপ্পার তেবারম কাব্যে এ মন্দিরের কথা লিখেছিলেন। পেরিয়াপুরাণমের রচয়িতা সেক্কিঝর লিখেছেন যে, অপ্পার ও সম্বন্দর দু’জনেই মন্দিরে অরুণাচলেশ্বরকে পূজা করেছিলেন।[১৪] ৮৫০ থেকে ১২৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চারশো বছরেরও বেশি সময় চোল রাজারা এই অঞ্চল শাসন এবং এই মন্দিরের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। অভিলেখগুলো থেকে জানা যায় যে, চোল রাজারা বিভিন্ন রাজ্য জয় করার পর বিজয়ের স্মৃতিরক্ষায় মন্দিরে ভূমি, মেষ, গরু ও তেল দান করতেন।[১৫] ১৩২৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে হৈসল রাজারা তিরুবন্নামলৈকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।[১২][১৬] সঙ্গম রাজবংশের (১৩৩৬-১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দ) ৪৮টি অভিলেখ, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সলুব রাজবংশের ২টি অভিলেখ ও তুলুব রাজবংশের (১৪৯১-১৫৭০ খ্রিস্টাব্দ) ৫৫টি অভিলেখ থেকে বোঝা যায় এ সকল শাসকেরাও অরুণাচলেশ্বর মন্দিরে উপহার প্রদান করতেন।[১৭] বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের শাসনকালের (১৫০৯-১৫২৯ খ্রিস্টাব্দ) সমসাময়িক অভিলেখও পাওয়া যায়; যা থেকে অনুমান করা হয় ঐ যুগেও মন্দিরটি রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করত।[১৮] বিজয়নগর অভিলেখগুলোর অধিকাংশই তামিলে লেখা; কয়েকটি অবশ্য কন্নড়ে ও সংস্কৃতেও লেখা হয়েছিল।[১৯] অরুণাচলেশ্বর মন্দিরে বিজয়নগর রাজাদের অভিলেখগুলোতে প্রশাসনিক বিষয় ও স্থানীয় সমস্যাগুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা তিরুপতির ন্যায় অন্যান্য মন্দিরে একই শাসকবর্গের অভিলেখগুলোতে পাওয়া যায় না। উপহার-সংক্রান্ত অধিকাংশ অভিলেখই ভূমিদানের প্রেক্ষিতে খোদিত হয়, এর পরেই আসে দ্রব্য, অর্থ প্রদান, গরু ও প্রদীপ জ্বালানোর তেল প্রদান-সংক্রান্ত অভিলেখগুলো।[১৮] তিরুবন্নামলৈ শহর বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সমসাময়িককালে একটি কৌশলগতভাবে এমন এক পথের সংযোগস্থলে ছিল যা তীর্থস্থান ও সামরিক পথগুলোকে সংযুক্ত করত।[২০] বিভিন্ন অভিলেখ থেকে জানা যায় যে, প্রাক্-ঔপনিবেশিক যুগেই মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় একটি শহর গড়ে উঠেছিল।[২০][২১]
সপ্তদশ শতাব্দীতে মন্দিরসহ তিরুবন্নামলৈ শহরটি কর্ণাটকের নবাবের অধীনে আসে। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর নবাব শহরটির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারান। ১৭৫৩ সালের পর এখানে অরাজক অবস্থা চলতে থাকে।[৮] এরপর এই মন্দিরের হিন্দু ও মুসলমান তত্ত্বাবধায়কের যুগ শুরু হয়। এই সময় মুরারু রায়, কৃষ্ণ রায়, ম্রিথিস আলি খান ও বুরকত উল্লা খান একে একে মন্দিরটি দখল করেন। ইউরোপীয়দের উপদ্রব শুরু হলে তিরুবন্নামলৈ আক্রমণ করে ফরাসি সউপ্রাইসেস, স্যামব্রিনেট ও ইংরেজ ক্যাপ্টেন স্টিফেন স্মিথ। এদের মধ্যে কয়েকজন পরাজিত ও বিতাড়িত হয়, কিন্তু কেউ কেউ বিজয়ী হয়। ১৭৫৭ সালে শহরটি ফরাসিরা দখল করে। এরপর ১৭৬০ সালে মন্দিরসহ সমগ্র শহরটি ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে আসে।[১৫] ১৭৯০ সালে টিপু সুলতান (রাজত্বকাল ১৭৫০-১৭৯৯) তিরুবন্নামলৈ জয় করেন।[৮] ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে মন্দিরসহ শহরটি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে আসে।[১৫] ১৯৫১ সাল থেকে হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি আইন বলে মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে তামিলনাড়ু সরকারের হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি পর্ষদ।[১৪] ২০০২ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ মন্দিরটিকে একটি জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্মারক ঘোষণা করে এটির তত্ত্বাবধানের ভার স্বহস্তে গ্রহণ করেছিল। যদিও সর্বব্যাপী প্রতিবাস ও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ মন্দিরটিকে আবার হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি পর্ষদের হাতে ফিরিয়ে দেয়।[২২][২৩]
স্থাপত্য
চত্বর ও গোপুরম
পূর্বমুখী অরুণাচলেশ্বর মন্দিরটি অরুণাচল পাহাড়ের পাদদেশে ২৫ একর জমির উপর অবস্থিত। মন্দির চত্বরের পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত প্রাচীরের দৈর্ঘ্য ৭০০ ফু (২১০ মি), দক্ষিণ দিকের প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ১,৪৭৯ ফু (৪৫১ মি) এবং উত্তরের প্রাচীরের দৈর্ঘ্য ১,৫৯০ ফু (৪৮০ মি)। মন্দিরের বর্তমান পাথরের কাজ ও শিখরগুলো নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে। একটি অভিলেখ থেকে জানা যায়, সমসাময়িককালের চোল রাজারা এগুলো নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।[১২][২৪] অন্যান্য অভিলেখ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, নবম শতাব্দীর পূর্বে তিরুবন্নামলৈ কাঞ্চীপুরম থেকে রাজ্যশাসনকারী পল্লব রাজাদের অধীনস্থ ছিল।[১৮] মন্দির চত্বরের চারপাশে রয়েছে চারটি শিখরযুক্ত প্রবেশদ্বার বা ‘গোপুরম’। পূর্ব দিকের গোপুরম বা ‘রাজগোপুরম’টি ছিল মন্দিরের উচ্চতম গোপুরম। রাজগোপুরমের ভিত্তিটি নির্মিত হয়েছিল গ্র্যানিট পাথরে, এটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ১৩৫ ফু (৪১ মি) ও ৯৮ ফু (৩০ মি)।[১৪] বিজয়নগর রাজ্যের রাজা কৃষ্ণদেব রায় (১৫০৯-২৯ খ্রিস্টাব্দ) এটির নির্মাণকার্য শুরু করেন এবং সমাপ্ত করেন সেবাপ্পা নায়ক (১৫৩২-৮০ খ্রিস্টাব্দ)।[২৫][১৫][১২] অভিলেখ ইঙ্গিত করে যে, ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে শিবনেস ও ভ্রাতা লোকনাথের আদেশে এই গোপুরমের নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয়।[২৬] দক্ষিণ দিকের গোপুরমটির নাম ‘তিরুমঞ্জনগোপুরম’ এবং পশ্চিমের গোপুরমটির নাম ‘পেগোপুরম’। অম্মানি অম্মান গৌরামী উত্তর দিকে অবস্থিত। নায়কদের শাস্ত্র রঘুনাথাভ্যুদয়ম্ ও সংগীতসুধাতে গোপুরমগুলোর বর্ণনা পাওয়া যায়।[২৬] তঞ্জবুরী অন্ধ্র রাজ চরিতামু গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে যে, কৃষ্ণদেবরায় গোপুরম ও মন্দিরের বাইরের প্রাচীরবেষ্টিত প্রাঙ্গনটি নির্মাণ করেছিলেন।[২৬] সমগ্র মন্দিরে মোট পাঁচটি প্রাচীরবেষ্টিত প্রাঙ্গন রয়েছে[২৭] এবং প্রতিটি প্রাঙ্গনে শিবের পবিত্র বৃষ নন্দীর একটি করে প্রকাণ্ড মূর্তি রয়েছে। অন্যান্য গোপুরমগুলোর মধ্যে বল্লাল মহারাজ গোপুরম ও কিলি (তোতা) গোপুরমের নাম উল্লেখযোগ্য।
পূজাগৃহ
অরুণাচলেশ্বরের প্রধান পূজাগৃহটি পূর্বমুখী, এই ঘরে নন্দী ও সূর্যেরও মূর্তি রয়েছে। এটিই মন্দিরের প্রাচীনতম পূজাগৃহ।[২৭] গর্ভমন্দিরের দেয়ালের পিছনে বিষ্ণুর অবতার বেণুগোপালস্বামীর (কৃষ্ণ) একটি মূর্তি রয়েছে। গর্ভমন্দিরটিকে ঘিরে রয়েছে সোমস্কন্দ, দুর্গা, চন্দ্রেশ্বর, গজলক্ষ্মী, অরুমুগস্বামী (কার্তিকেয়), দক্ষিণামূর্তি, স্বর্ণভৈরব, নটরাজ ও লিঙ্গোদ্ভবের ভাস্কর্য। দেবতাদের বিশ্রামকক্ষ পল্লিইয়ারাই গর্ভমন্দিরকে ঘিরে থাকা প্রথম প্রাঙ্গনে অবস্থিত। অরুণাচলেশ্বরের পত্নী অন্নামলৈ আম্মানের পূজাগৃহটি দ্বিতীয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এখানে দেবীমূর্তিকে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়। ধ্বজাদণ্ড ও বলিপীঠের (হাঁড়িকাঠ) উত্তরে সম্বন্ত বিনায়গরের (গণেশ) পূজাগৃহটি অবস্থিত।[২৮] সহস্র স্তম্ভযুক্ত সভাকক্ষের দক্ষিণে সুব্রহ্মণ্যের (কার্তিকেয়) একটি ছোটো পূজাগৃহ ও একটি বড়ো পুষ্করিণী রয়েছে।[৫] কথিত আছে, অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের ভূগর্ভস্থ লিঙ্গ পাতাললিঙ্গমের পূজাগারে রমণ মহর্ষি (১৮৭৯-১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ) তপস্যা করেছিলেন।[২৯][৩০] শিবগঙ্গা পুষ্করিণীর উত্তর পাড়ে শিবগঙ্গৈ বিনায়গরের (গণেশ) পূজাগৃহটি অবস্থিত।[২৮]
সভাকক্ষ
ষোলোটি স্তম্ভযুক্ত দীপ দর্শন মণ্ডপম বা আলোর সভাকক্ষ তৃতীয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এখানকার মন্দিরবৃক্ষ মাগিঝাকে পবিত্র ও ঔষধিগুণসম্পন্ন মনে করা হয়। নিঃসন্তান দম্পতিরা সন্তানকামনায় এই গাছের ডালে ছোটো ছোটো দোলনা বেঁধে দিয়ে যায়। বেদে আছে, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় মন্দিরের ধ্বজাদণ্ডটি পৃথিবী ও আকাশকে পৃথক করেছিল।[৩১] বিজয়নগর শৈলীতে নির্মিত কল্যাণ মণ্ডপম বা বিবাহ সভাকক্ষটি প্রাঙ্গনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। মন্দিরের বাইরের একটি বেদিতে খোলা আকাশের নিচে একটি পাথরের ত্রিশূল পোঁতা আছে। ত্রিশূল ও পবিত্র বৃক্ষ দুইই বর্তমানে রেলিং দিয়ে ঘেরা।[৩২] তৃতীয় প্রাঙ্গনে বসন্ত মণ্ডপম নামক সভাকক্ষে মন্দিরের কার্যালয় ও কালহাতীশ্বরারের পূজাগৃহ অবস্থিত।[৩৩] চতুর্থ প্রাঙ্গনে একটি নন্দীমূর্তি, ব্রহ্মাতীর্থম, মন্দিরের পুষ্করিণী ও যনৈ তিরৈ কোন্ড বিনায়গের পূজাগৃহ অবস্থিত। এখানে বল্লাল মহারাজ একটি সভাকক্ষে ছয় ফুট লম্বা নন্দীমূর্তি স্থাপন করেছিলেন।[২৮]
প্রথম গোপুরমের দ্বার ও পঞ্চম প্রাঙ্গনের ভিতরে পরবর্তী বিজয়নগর যুগে একটি সহস্র স্তম্ভযুক্ত সভাকক্ষ নির্মিত হয়।[৫] কৃষ্ণদেব রায় এই সভাকক্ষটি নির্মাণ করেন এবং এর উল্টোদিকের পুষ্করিণীটিও খনন করান।[৫][৩৪] এ সভাকক্ষের স্তম্ভগুলোতে নায়ক ক্ষমতার প্রতীক যালি নামক এক পৌরাণিক পশুর চিত্র খোদিত রয়েছে। এই যালির শরীর সিংহের এবং মস্তক হস্তীর ন্যায়।[৩৫] কল্যাণলিঙ্গসুন্দরেশ্বর মণ্ডপমের ডানদিকে অরুণগিরিনাথর মণ্ডপম এবং বল্লাল গোপুরমের উপরে উঠে যাওয়া একটি প্রশস্ত পাথরের সিঁড়িপথের বাঁদিকে গোপুরাতিলয়নর পূজাগৃহ অবস্থিত।[৩৩]
পূজা ও উৎসব
কার্তিগৈ দীপম উৎসবের সময় মন্দির
উৎসব উপলক্ষ্যে মন্দিরে রথযাত্রা
মন্দিরের পুরোহিতেরা প্রতিদিন মন্দিরে পূজা করেন। উৎসবের দিনে বিশেষ পূজা আয়োজিত হয়। তামিলনাড়ুর অন্যান্য শিবমন্দিরের মতো অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতেরাও শৈব ব্রাহ্মণ বর্ণের অন্তর্ভুক্ত। মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ছয়বার পূজা অনুষ্ঠিত হয়; ভোর সাড়ে পাঁচটায় উষাকালম পূজা, সকাল আটটায় কালশান্তি পূজা, সকাল দশটায় উচিকালম পূজা, সন্ধ্যা ছ’টায় সয়রক্ষৈ পূজা, রাত আটটায় ইরন্দমকালম পূজা এবং রাত্রি দশটায় অর্ধযামম পূজা।[৩৬] প্রতিটি অনুষ্ঠানে অরুণাচলেশ্বর ও উন্নামুলৈ আম্মানের পূজায় চারটি কৃত্য পালন করা হয়: অভিষেকম (পবিত্র স্নান), অলংকারম (অঙ্গসজ্জা), নৈবেদ্যম (নৈবেদ্য নিবেদন) ও দীপ আরাধনৈ (আরতি)। পূজা চলাকালীন নাগস্বরম (বাঁশি-জাতীয় বাদ্যযন্ত্র) ও তাবিল (তালবাদ্য)সহ গীতবাদ্যের আয়োজন করা হয়, পুরোহিতেরা বেদ পাঠ করেন এবং পুণ্যার্থীরা মন্দিরের ধ্বজাদণ্ডের সম্মুখে প্রণাম জানান। নিত্যপূজা ছাড়াও সোমবারম (সোমবার) ও শুক্রবারমের (শুক্রবার) ন্যায় সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান, প্রদোষমের ন্যায় পাক্ষিক উৎসব এবং অমাবস্যৈ (অমাবস্যা), কৃত্তিকা, পূর্ণিমা ও চতুর্থীর ন্যায় মাসিক উৎসবেরও আয়োজন করা হয়।[৩৬]
সারা বছরে মন্দিরে বেশ কতকগুলো বাৎসরিক উৎসব পালিত হয়।[৩৭] বছরে চারটি প্রধান উৎসব বা ‘ব্রহ্মোৎসবম’ অনুষ্ঠিত হয়। এগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উৎসবটি তামিল পঞ্জিকা অনুযায়ী ‘কার্তিকৈ’ (নভেম্বর-ডিসেম্বর) মাসে দশ দিন ধরে আয়োজিত হয়। এ উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানটিই ‘কার্তিকৈ দীপম’ নামে পরিচিত। এ উপলক্ষ্যে অরুণাচল পাহাড়ের চূড়ায় একটি হাঁড়িতে তিন টন ঘিয়ের এক বিশাল প্রদীপ জ্বালা হয়।[৫][৩৮] এ উৎসব উপলক্ষ্যেই অরুণাচলেশ্বরের উৎসবমূর্তিকে কাঠের রথে চড়িয়ে পাহাড়ের চারিদিকে ঘোরানো হয়।[১৩] অভিলেখগুলো ইঙ্গিত করে যে চোল যুগেও (খ্রিস্টীয় ৮৫০-১২৮০ অব্দ) এ উৎসব পালিত হত এবং বিংশ শতাব্দীতে তা দশ দিনের উৎসবে পরিণত হয়।[২৭]
প্রত্যেক পূর্ণিমায় লক্ষাধিক তীর্থযাত্রী নগ্নপদে অরুণাচল পাহাড়কে প্রদক্ষিণ করে অরুণাচলেশ্বরকে পূজা করেন।[৫] ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মা) পথ পরিক্রমার এই প্রদক্ষিণের নাম ‘গিরিবলম’।[৬][৩৯] হিন্দুদের বিশ্বাস, এ প্রদক্ষিণের ফলে পাপনাশ ও ইচ্ছাপূরণ হয় এবং এটি জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মানুষকে মুক্তিলাভে সহায়তা করে।[১৪] মন্দিরের পুষ্করিণী, পূজাগৃহ, স্তম্ভযুক্ত ধ্যানকক্ষ, ঝোরা ও পাহাড়ের গুহাগুলোতে পূজা দেওয়া হয়।[৩] সারা মাস ধরেও প্রদক্ষিণের আচারটি পালিত হয়। প্রতি বছর তামিল পঞ্জিকা অনুযায়ী ‘চিত্রা পৌর্ণমি’ (চৈত্র পূর্ণিমা) তিথিতে সহস্রাধিক তীর্থযাত্রী পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকে তিরুবন্নামলৈ আসেন অরুণাচলেশ্বরকে পূজা করতে। এই উপলক্ষ্যে যে শোভাযাত্রা আয়োজিত হয় তাতে যোগ দেয় মন্দিরের চারটি রথ বা ‘থের’।[১৪]
প্রতি বছর তামিল ‘তাই’ মাসের প্রথম সপ্তাহে (জানুয়ারির মধ্যভাগ) তিরুবূদল নামে আরেকটি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারির মধ্যে ‘মাটু পোঙ্গল’ অনুষ্ঠানের দিন সকালে নন্দীর মূর্তিকে ফল, শাকসবজি ও মিষ্টান্নের মালা দিয়ে সাজানো হয়। অরুণাচলেশ্বর ও উন্নমুলৈ আম্মানের উৎসবমূর্তিকে মন্দিরের বাইরে তিরূদল পথে আনা হয় সেই সন্ধ্যায় উভয়ের ‘উদল’ বা প্রণয় কলহের ঘটনা পুনরাভিনয় করার জন্য।[১৪][৪০]
ধর্মীয় গুরুত্ব
অরুণাচলেশ্বর মন্দিরটি হল পঞ্চ মহাভূতের (প্রকৃতির পাঁচ স্বাভাবিক উপাদান: ক্ষিতি, অপ, মরুৎ, ব্যোম ও অগ্নি) প্রতীক পাঁচটি শিবমন্দির পঞ্চভূত স্থলমের অন্যতম।[৪১] কথিত আছে, অরুণাচলেশ্বর মন্দিরে শিব আগুনের একটি প্রকাণ্ড স্তম্ভের রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন; এ স্তম্ভের শীর্ষভাগ ও তলদেশ ব্রহ্মা ও বিষ্ণুও খুঁজে বের করতে পারেননি। মন্দিরের প্রধান শিবলিঙ্গটিকে ‘অগ্নিলিঙ্গম’ নামে অভিহিত করা হয়। এ লিঙ্গ কর্তব্য, সদ্গুণ, আত্মত্যাগ ও অগ্নিকল্পের অন্তে সন্ন্যাসজীবনের মাধ্যমে মুক্তির প্রতীক।[৪২]
‘আতর স্থলম’ হলো ঐ সকল শিবমন্দির যেগুলোকে মানবদেহে অবস্থিত তান্ত্রিক চক্রগুলোর প্রকাশিত ব্যক্তিরূপ মনে করা হয়। অরুণাচলেশ্বর মন্দিরটিকে বলা হয় ‘মণিপুরগ স্থলম’[৩৩] এবং এটি সৌর নাভিকুণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ‘মণিপুরগ’ (মণিপুর) চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।[৪৩]
সাহিত্যে উল্লেখ
খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর তামিল শৈব কবি তিরুজ্ঞান সম্বন্দর তেবারমে দশটি শ্লোকে অরুণাচলেশ্বর ও উন্নামলৈ আম্মানকে বন্দনা করেছেন, এগুলো প্রথম তিরুমুরৈ নামে সংকলিত হয়।[৪৪] সম্বন্দরের সমসাময়িক অপ্পার তেবারমে দশটি শ্লোকে অরুণাচলেশ্বরকে বন্দনা করেন, এগুলো সংকলিত হয় পন্দম তিরুমুরৈ নামে।[৪৫] তেবারমে এই মন্দিরের বন্দনা থাকায় এটিকে পাদল পেত্র স্থলম অর্থাৎ শৈব প্রামাণ্য ধর্মশাস্ত্রে উল্লিখিত ২৭৬টি মন্দিরের অন্যতম গণ্য করা হয়।[৪৬]
খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীর তামিল সন্ত-কবি মণিকবসাগর নিজ রচনায় অরুণালেশ্বরকে ‘অন্নামলৈ’ নামে বন্দনা করেছিলেন।[৪৭] এই মন্দিরে বসেই তামিল ‘মার্গঝি’ মাসে তিনি তিরুবেমপবৈ রচনা করেছিলেন।[৪৮] পঞ্চদশ শতাব্দীর তামিল কবি অরুণগিরিনাথর তিরুবন্নামলৈ শহরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন দাঙ্গাবাজ ও নারীলোলুপ ব্যক্তি। কথিত আছে, অসুস্থ হয়ে তিনি উত্তরের গোপুরম থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু মুরুগনের (কার্তিক) কৃপায় রক্ষা পান।[৪৯] এরপর তিনি একনিষ্ঠ ভক্তে পরিণত হন এবং মুরুগনের মাহাত্ম্যকীর্তন করে তামিল স্তোত্রাবলি রচনা করেন। এগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি হল তিরুপুগঝ।[১৫][৫০]
বিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য জগৎ তিরুবন্নামলৈ সম্পর্কে জানতে পারে রমণ মহর্ষির (১৮৭৯-১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ) রচনাকর্মের মাধ্যমে।[২][৫১] যে গুহায় রমণ মহর্ষি তপস্যা করতেন সেটি অরুণাচল পাহাড়ের নিম্নবর্তী ঢালে অবস্থিত। পাহাড়ের আরও নিম্নবর্তী অংশে রমণ মহর্ষির আশ্রমও রয়েছে।[৩০][৫২] মন্দিরের মধ্যে একটি উত্তোলিত সভাকক্ষের ভিত্তিকক্ষে ‘পাতাললিঙ্গম’ অবস্থিত। কথিত আছে, এখানেই রমণ মহর্ষি পরম জ্ঞান লাভ করেছিলেন, ঐ সময় পিঁপড়েরা রমণের মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।[৫২] স্থানটি ‘মুক্তিস্থলম’ বা মুক্তিক্ষেত্র নামেও পরিচিত। শেষাদ্রি স্বামিগল, গুগৈ নামচিবয়র ও যোগী রামসুরতকুমারের ন্যায় সন্তেরা এই মন্দিরটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।[২৯]
"অরুণাচলেশ্বর টেম্পল রিচুয়ালস" [অরুণাচলেশ্বর মন্দিরের অনুষ্ঠানসমূহ]। অরুণাচলেশ্বর মন্দির। ২০১১। ১২ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১২।
"তিরুবন্নামলৈ – অ্যাবাউট দ্য টাউন" [তিরুবন্নামলৈ – শহর প্রসঙ্গে]। তিরুবন্নামলৈ পৌরসভা। ২০১১। ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
"তিরুবন্নামলৈ – প্লেসেস অফ ইন্টারেস্ট" [তিরুবন্নামলৈ – দর্শনীয় স্থানসমূহ]। তিরুবন্নামলৈ পৌরসভা। ২০১১। ২৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
"তিরুবন্নামলৈ হিস্টোরিক্যাল মোমেন্টস" [তিরুবন্নামলৈ ঐতিহাসিক মুহুর্তসমূহ]। তিরুবন্নামলৈ পৌরসভা। ২০১১। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
"তিরুবন্নামলৈ টেম্পল – গিরিবলম ডিটেইলস" [তিরুবন্নামলৈ মন্দির – গিরিবলমের বিবরণ]। তিরুবন্নামলৈ মন্দির প্রশাসন। ২০১১। ২৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
অব্রাম, ডেভিড; এডওয়ার্ডস, নিক; ফোর্ড, মাইক; জেকবস, ড্যানিয়েল; মেঘজি, শাফিক; সেন, দেবদান; টমাস, গেভিন (২০১১), দ্য রাফ গাইড টু ইন্ডিয়া [রাফ ভারত সহায়িকা], রাফ গাইডস, আইএসবিএন978-1-84836-563-6উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
আপ্পার (২০০৪), ঐন্তম তিরুমুরই(পিডিএফ), অনলাইন: প্রোজেক্ট মাদুরাইউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
আয়েঙ্গার, কৃষ্ণস্বামী এস. (১৯৯১), সাউথ ইন্ডিয়া অ্যান্ড হার মহামেডান ইনভেডারস [দক্ষিণ ভারত ও সেখানে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানেরা], নতুন দিল্লি: এশিয়ান এডুকেশনাল সার্ভিসেস, আইএসবিএন81-206-0536-5উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
বাজওয়া, জাগির সিং; কৌর, রবীন্দর (২০০৮), ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট [পর্যটন ব্যবস্থাপনা], নতুন দিল্লি: এস. বি. নাঙ্গিয়া, আইএসবিএন978-81-313-0047-3উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
ব্লাভাৎস্কি, হেলেনা পেত্রোভনা (১৮৯২), দ্য থিওসফিক্যাল গ্লসারি [থিওসফিক্যাল শব্দকোষ], লন্ডন: দ্য থিওসফিক্যাল পাবলিশিং সোসাইটিউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
ব্র্যাডনক, রোমা; ব্র্যাডনক, রবার্ট (২০০৯), ফুটপ্রিন্ট ইন্ডিয়া [ভারত পদচিহ্ন], যুক্তরাষ্ট্র: প্যাড্রিক ডওসন, আইএসবিএন978-1-904777-00-7উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
এবার্ট, গ্যাব্রিয়েলে (২০০৬), রমণ মহর্ষি: হিজ লাইফ [রমণ মহর্ষি: জীবনী], লুলু.কম, আইএসবিএন1-4116-7350-6উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
এলগুড, হিথার (১৯৯৯), হিন্দুইজম অ্যান্ড দ্য রিলিজিয়াস আর্টস [হিন্দুধর্ম ও ধর্মীয় শিল্পকলা], নিউ ইয়র্ক: ব্রিটিশ লাইব্রেরি ক্যাটালগিং-ইন-পাবলিকেশন ডেটা, আইএসবিএন0-304-70739-2উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
গুডম্যান, মার্টিন (২০০২), অন সেক্রেড মাউন্টেইনস [পবিত্র পর্বতের উপর], যুক্তরাজ্য: হার্ট অফ অ্যালবিয়ন প্রেস, আইএসবিএন1-872883-58-3উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
হান্টার, স্যার উইলিয়াম (১৯০৮), ইম্পিরিয়াল গেজেটিয়ার অফ ইন্ডিয়া: প্রভিন্সিয়াল সিরিজ, ভলিউম ১৮ [ভারতের সাম্রাজ্যিক গেজেটিয়ার: প্রাদেশিক ধারাবাহিক, খণ্ড ১৮], কলকাতা: গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং-এর সুপারইনটেন্ডেন্টউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
কমলাবাস্করন, ঈশ্বরী (১৯৯৪), দ্য লাইট অফ অরুণাচলেশ্বরার [অরুণাচলেশ্বরারের আলো], অ্যাফিলিয়েটেড ইস্ট-ওয়েস্ট প্রেস প্রা. লি.উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
কিংসবেরি, ফ্রান্সিস; ফিলিপস, গডফ্রে এডওয়ার্ড (১৯২১), হিমস অফ দ্য তামিল শৈবাইট সেইন্টস [তামিল শৈব সন্তদের স্তোত্রাবলি], নিউ ইয়র্ক: বিশপ অফ ডোরনাকালউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
মেল্টন, জে. গর্ডন (২০০২), দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়াস ফেনোমেনা [ধর্মীয় ঘটনা কোষ], মিশিগান: ভিজিবল ইংক প্রেস, আইএসবিএন1-57859-209-7উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
নারায়ণস্বামী, বেঙ্কটরাম (১৯৯২), তিরুবন্নামলৈ, মাদ্রাজ: মণিবসাগর নূলাগমউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
রামস্বামী, বিজয় (২০০৭), হিস্টোরিক্যাল ডিকশনারি অফ দ্য তামিলস [তামিলদের ঐতিহাসিক অভিধান], যুক্তরাষ্ট্র: স্কেয়ারক্রো প্রেস, আইএনসি., আইএসবিএন978-0-470-82958-5উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
সিং, সারিনা; ব্রাউন, লিন্ডসে; এলিয়ট, মার্ক; হার্ডিং, পল; হোল, অ্যাবিগেইল; হর্টন, প্যাট্রিক (২০০৯), লোনলি প্ল্যানেট ইন্ডিয়া [নির্জন গ্রহ ভারত], অস্ট্রেলিয়া: লোনলি প্ল্যানেট, আইএসবিএন978-1-74179-151-8উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
সাউদার্ন সার্কেল (১৯০৩), এপিগ্রাফি, মাদ্রাজ: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
স্পিয়ার, হেইডি (২০১১), দি এভরিথিং গাইড টু চক্র হিলিং: ইউজ ইয়োর বডি’জ সাটেল এনার্জিস টু প্রোমোট হেলথ, হিলিং অ্যান্ড হ্যাপিনেস [চক্র চিকিৎসাপদ্ধতির সামগ্রিক সহায়িকা: স্বাস্থ্য, আরোগ্যলাভ ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে আপনার শরীরের সূক্ষ্ম শক্তিগুলিকে ব্যবহার করুন], যুক্তরাষ্ট্র: অ্যাডামস মিডিয়া, আইএসবিএন978-1-4405-2649-7উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
তিরুজ্ঞানাসম্বাদর (২০০৪), মুতল তিরুমুরই(পিডিএফ), অনলাইন: প্রোজেক্ট মাদুরাইউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
ভি., মীনা (১৯৭৪)। টেম্পলস ইন সাউথ ইন্ডিয়া [দক্ষিণ ভারতের মন্দিরসমূহ] (১ম সংস্করণ)। কন্যাকুমারী: হরিকুমার আর্টস।
ভি., বৃদ্ধগিরিশন (১৯৯৫), নায়কস অফ তাঞ্জোর [তাঞ্জোরের নায়কগণ], নতুন দিল্লি: এশিয়ান এডুকেশনাল সার্ভিসেস, আইএসবিএন81-206-0996-4উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
ভি. কে., সুব্রহ্মণ্যম (২০০৭), ১০১ মিস্টিকস অফ ইন্ডিয়া [ভারতের ১০১ অতিন্দ্রীয়বাদী], নতুন দিল্লি: অনুভব পাবলিকেশনস, আইএসবিএন978-81-7017-471-4উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
Georges SpeicherGeorges Speicher en 1932InformationsNom de naissance Georges Jean SpeicherNaissance 8 juin 190720e arrondissement de ParisDécès 24 janvier 1978 (à 70 ans)Maisons-LaffitteNationalité françaiseÉquipes amateurs 1924-19261927-193019301931Club sportif de PantinCASGClignancourt sportifVélo Club de LevalloisÉquipes professionnelles 1930-1931Thomann-Dunlop et Alcyon-Dunlop1932Thomann-Dunlop 1933-1934 Alcyon-Dunlop1935Alcyon-Dunlop et France Sport-Dunlop1936-1938 Alcyon-Du...
Các đế quốc thực dân trên thế giới vào năm 1898, trước khi nổ ra Chiến tranh Tây Ban Nha–Mỹ và Chiến tranh Boer Các đế quốc thực dân trên thế giới vào năm 1800 Các đế quốc thực dân trên thế giới vào năm 1945 Chỉ số phát triển con người của Liên Hợp Quốc năm 2010. Dưới 0,5 là mức thấp và trên 0,8 là mức cao. 0.900 và hơn 0.850–0.899 0.800–0.849 0.750
Ця стаття потребує додаткових посилань на джерела для поліпшення її перевірності. Будь ласка, допоможіть удосконалити цю статтю, додавши посилання на надійні (авторитетні) джерела. Зверніться на сторінку обговорення за поясненнями та допоможіть виправити недоліки. Мат...
Petre Condrat Datos personalesNacimiento 6 de junio de 1981 (42 años)Carrera deportivaRepresentante de Rumania RumaniaDeporte Piragüismo Medallero Piragüismo en aguas tranquilas masculino Evento O P B Campeonato Mundial 2 1 2 Campeonato Europeo 1 2 2 [editar datos en Wikidata] Petre Condrat (6 de junio de 1981) es un deportista rumano que compitió en piragüismo en la modalidad de aguas tran...
Railway station in Fukuoka, Japan This article needs additional citations for verification. Please help improve this article by adding citations to reliable sources. Unsourced material may be challenged and removed.Find sources: Nishitetsu Fukuoka (Tenjin) Station – news · newspapers · books · scholar · JSTOR (August 2017) (Learn how and when to remove this template message) Nishitetsu Fukuoka (Tenjin) Station西鉄福岡(天神)駅General informat...
Konfernesi Waligereja FilipinaSingkatanKWFStatusKonferensi WaligerejaKantor pusatManila, FilipinaPresidenSocrates B VillegasSitus webcbcpwebsite.com Peta Filipina yang menunjukkan provinsi gerejawi berbeda Peta Filipina yang menunjukkan vikariat apostolik berbeda Konferensi Waligereja Filipina (singkatan: KWF; Filipina: Kapulungan ng mga Katolikong Obispo ng Pilipinas; bahasa Cebu: Hugpong sa mga Obispo nga Katoliko sa Pilipinas; Hiligaynon: Komperensya sang mga Obispo nga Katoliko sa...
2006 studio album by Against All AuthorityThe Restoration of Chaos & OrderStudio album by Against All AuthorityReleasedMay 9, 2006 (2006-05-09)GenreSka punkLength37:37LabelHopelessProducerJoe Williams, Against All AuthorityAgainst All Authority chronology Common Rider/Against All Authority Split(2005) The Restoration of Chaos & Order(2006) Professional ratingsReview scoresSourceRatingAbsolutePunk.net(70%)[1]NeuFutur(7.4/10)[2]Rebel Punk[3]...
Tournoi de tennis de Brisbane Généralités Sport Tennis Création 1960 Disparition 2020 Autre(s) nom(s) Brisbane International Organisateur(s) Tennis Australia Catégorie WTA 500 ATP 250 Périodicité Annuelle Participants 32 joueurs/joueuses en simple16 équipes de double Statut des participants Professionnel Surface Dur (Plexicushion) Directeur Cameron Pearson Dotation 1 434 900 $ (2020) 527 880 $ (2019) Site(s) Queensland Tennis Centre Brisbane Site web officiel ...
WahdanaAlbum studio karya Wafiq AzizahDirilis25 Mei 2002 2007 2015 (rilis ulang)Direkam2002GenreQosidah, Religi, GambusLabelMulti Arts ProductionKronologi Wafiq Azizah Mohon Ampun/Istighfar (2000) Ya Muhaemin (2003)Ya Muhaemin2003 Wahdana Wahdana adalah sebuah album ke-4 karya Wafiq Azizah yang dirilis pada tahun 2002. Setelah sukses dengan album sebelumnya, kini Wafiq Azizah membuat karya Album dengan bergenre Qosidah. Di album tersebut, yang bertindak dalam meng-arransemen lagu dalam al...
Herodes Agrippa I., Münze aus Caesarea Maritima Herodes Agrippa I. (eigentlich Marcus Iulius Agrippa; * 10 v. Chr.; † 44 n. Chr.) war während der Regierungszeit des römischen Kaisers Caligula ab 37 n. Chr. Tetrarch von Ituräa, Gaulanitis und Trachonitis und unter Caligulas Nachfolger Claudius von 41 n. Chr. bis zu seinem Tod König von Judäa und Samaria. Das römische Imperium in der Zeit des Kaisers Tiberius (14–37 n. Chr.) Inhaltsverzeichnis 1 Herkunft 2 Leben 3 Tod 4 Nachkommen 5 ...
Pemerintah ProvinsiDaerah Khusus Ibukota JakartaDasar hukumUU Nomor 29 Tahun 2007Kepala daerahGubernurHeru Budi Hartono (Penjabat)Dewan perwakilan rakyat daerahKetuaPrasetyo Edi MarsudiPerangkat daerahSekretariat daerahJoko Agus Setyono Sekda (Sekretaris Daerah)Sekretariat DPRDDrs. Firmansyah, M.Pd (Sekretaris DPRD)InspektoratSyaefuloh Hidayat, S.S.T., M.AP (Inspektur)Jumlah dinas-Jumlah badan-Pembagian administratifJumlah kota administrasi5Jumlah kabupaten administrasi1Jumlah kecamatan44Apar...
Australian rugby league footballer This article uses bare URLs, which are uninformative and vulnerable to link rot. Please consider converting them to full citations to ensure the article remains verifiable and maintains a consistent citation style. Several templates and tools are available to assist in formatting, such as reFill (documentation) and Citation bot (documentation). (September 2022) (Learn how and when to remove this template message) Reed MahoneyPersonal informationBorn (1998-04...
This article is about the hotel in Vienna. For the hotel in Salzburg, see Hotel Sacher Salzburg. For the 1939 film, see Hotel Sacher (film). Luxury hotel in Vienna, AustriaHotel SacherGeneral informationTypeLuxury hotelClassification Superior [1]LocationPhilharmonikerstraße 4, Innere Stadt, Vienna, AustriaOpened1876OwnerGürtler family (since 1934)[2]ManagementSacher Hotels Betriebsgesellschaft mbHAffiliationThe Leading Hotels of the WorldDesign and constructionDeveloperEduar...
This article needs additional citations for verification. Please help improve this article by adding citations to reliable sources. Unsourced material may be challenged and removed.Find sources: List of rail trails in South Carolina – news · newspapers · books · scholar · JSTOR (June 2014) (Learn how and when to remove this template message) Triple C Rail Trail passing under SC Hwy 97 in Smyrna, South Carolina This List of rail trails in South Carolina...
Constituency of Bangladesh's Jatiya Sangsad Dhaka-15Constituencyfor the Jatiya SangsadDistrictDhaka DistrictDivisionDhaka DivisionElectorate340,480 (2018)[1]Current constituencyCreated2008Parliamentary PartyBangladesh Awami LeagueMember of ParliamentKamal Ahmed MajumderCity Council areaDhaka North City CorporationPrev. ConstituencyDhaka-14Next ConstituencyDhaka-16 Dhaka-15 is a constituency in the Jatiya Sangsad (National Parliament) of Bangladesh. It has been represented since 2008 b...
Chapter of the New Testament Colossians 4← chapter 31 Thessalonians 1 →A page showing the Greek text of Epistle to the Colossians 4:17-18 (end) on Codex Claromontanus from ca. AD 550.BookEpistle to the ColossiansCategoryPauline epistlesChristian Bible partNew TestamentOrder in the Christian part12 Colossians 4 is the fourth (and last) chapter of the Epistle to the Colossians in the New Testament of the Christian Bible. Traditionally, it is believed to have been written for the c...
Lingkaran spiral Art Deco di Gedung Chrysler di New York, dibangun pada 1928–1930. Roemah Passir, sebuah villa Art Deco di Knokke-Heist (Belgia barat) Art Deco adalah gaya hias yang lahir setelah Perang Dunia I dan berakhir sebelum Perang Dunia II yang banyak diterapkan dalam berbagai bidang, misalnya eksterior, interior, mebel, patung, poster, pakaian, perhiasan dan lain-lain dari 1920 hingga 1939,[1] yang memengaruhi seni dekoratif seperti arsitektur, desain interior, dan desain i...
Village development committee in Kosi Zone, Nepal Village development committee in Kosi Zone, NepalBudi Morang बुढी मोरङVillage development committeeBudi MorangLocation in NepalCoordinates: 26°55′N 87°20′E / 26.91°N 87.34°E / 26.91; 87.34Country NepalZoneKosi ZoneDistrictDhankuta DistrictPopulation (1991) • Total3,602Time zoneUTC+5:45 (Nepal Time) Budi Morang is a village development committee in Dhankuta Distri...
Three parts of the Universe in Jainism Fourteen Rajaloka or Triloka depicted as cosmic man. Miniature from 17th century, Saṁgrahaṇīratna by Śrīcandra, in Prakrit with a Gujarati commentary. Jain Śvetāmbara cosmological text with commentary and illustrations. Part of a series onJainism Jains History Timeline Index Philosophy Anekantavada Cosmology Ahimsa Karma Dharma Mokṣa Kevala Jnana Dravya Tattva Brahmacarya Aparigraha Gunasthana Saṃsāra EthicsEthics of Jainism Mahavratas (maj...