নারী দেবতাদের দেবী বলা হয়।[১] দেবীদের সৌন্দর্য, প্রেম, মাতৃত্ব এবং উর্বরতা (প্রাগৈতিহাসিক যুগে মাতৃ-দেবী সংস্কৃতি) এর মতো গুণের সাথে যুক্ত করা হয়েছে এবং এসবের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়। তাঁরা যুদ্ধ, সৃষ্টি এবং মৃত্যুর মতো ধারণার সাথেও যুক্ত।
কিছু ধর্ম-বিশ্বাসে নারী সত্ত্বা প্রার্থনা এবং পূজার কেন্দ্রে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, শাক্তধর্মে নারীশক্তির পূজা করা হয়। এটি হিন্দু ধর্মের তিনটি প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি।
সেমিটিক অঞ্চলের একেশ্বরবাদী বা প্রায়-একেশ্বরবাদী ধর্মসমুহের মহান দেবীদের ইব্রাহিমীয় ঈশ্বরের পুর্বরূপ হিসাবে মনে করা হয় যা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে একেশ্বরবাদের উত্থানের সাথে সম্পর্কিত।
বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্মসমুহ, এমনকি সংস্কারবাদীগণসহ, একাধিক দেবী ও দেবকে সম্মান করে এবং তাদের আলাদা আলাদা সত্ত্বা হিসাবে মনে করে। কোন দেবতা সর্বমন্দিরের দেবতা হতে পারেন যাকে সব অঞ্চলের লোক পূজা করে কিংবা বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ দেবতাদের পূজা করা হতে পারে।
বাংলায় দেবী শব্দটি তৎসম। পুরুষবাচক দেব এর সাথে ঈ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে দৈবী গঠিত হয়— √দিব্+অ(অচ্)+ঈ(ঙীষ্)। উল্লেখ্য যে দেব এর ব্যুৎপত্তি হলো √দিব্+অ(অচ্)।[২] ইংরেজিতে জার্মান শব্দ God এর সাথে ল্যাটিনীয় -ess প্রত্যয় যুক্ত হয়ে Goddess বিশেষ্যটি তৈরি হয়। ইংরেজি Goddess শব্দটি প্রথম মধ্য ইংরেজিতে ১৩৫০ সালে দেখা যায়। মিশরীয়, ধ্রপদী গ্রিক, একাধিক সেমিটিক ভাষায় যেভাবে নিজ নিজ ভাষায় দেবতা শব্দের শেষে নারীবাচক প্রত্যয় যুক্ত করা হয়, সেই নজির অনুসারেই ইংরেজিতেও God এর সাথে নারীবাচক প্রত্যয় যুক্ত করে Goddess শব্দটি তৈরি করা হয়েছে।