ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ
প্রাক্তন নাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত১৯৯২; ৩২ বছর আগে (1992)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডা. দিলরুবা জেবা[]
শিক্ষার্থী৯০০
অবস্থান,
২৩°৩৫′১৯″ উত্তর ৮৯°৫০′০৭″ পূর্ব / ২৩.৫৮৮৬০১৯১০১০৫৮৯৭° উত্তর ৮৯.৮৩৫৩৪২৭২৯৪০৯৪৬° পূর্ব / 23.588601910105897; 89.83534272940946
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ভাষাইংরেজী
মানচিত্র

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজ। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে বর্তমানে ২০০টি আসন রয়েছে।

১৫ জুন ২০১৭ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম নতুন এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়। নতুন ক্যাম্পাসটি পশ্চিম খাবাসপুর, বরিশাল রোডে অবস্থিত। কলেজটির সাথে ৫০০ শয্যার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে।

ইতিহাস

১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে বাংলাদেশ সরকার চিকিৎসা শিক্ষাকে উন্নত করার জন্য কয়েকটি মেডিকেল কলেজ তৈরির পরিকল্পনা করে। তার মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ তখন প্রস্তাবনায় ছিল। কিছুদিন পরে প্রস্তাবনা বাতিল করা হয় এবং ১৯৮০-৮১ এর দিকে কার্যক্রম শুরু করার আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের তৎকালীন চালু ৮টি মেডিকেল কলেজে স্থানন্তর করা হয়।

দেশের স্বল্প কয়েকটি মেডিকেল কলেজ থেকে চাপ কমানোর জন্য এবং পরিপূর্ণ চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ১৯৯২-৯৩ এর দিকে সরকার নতুন কয়েকটি মেডিকেল কলেজ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সরকার ফরিদপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, খুলনা, ও কুমিল্লায় নতুন ৫ টি মেডিকেল কলেজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়।

সেই প্রস্তাবনায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে হাসপাতালের একটি অংশে কার্যক্রম শুরু হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই “মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেইনিং স্কুল” (ম্যাটস) এর ভবনে কার্যক্রম স্থানান্তরিত করা হয়। ১৫ জুন ২০১৭ সালে মেডিকেল কলেজের সকল কার্যক্রম নতুন এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজ কার্যক্রম চলছে।

এপ্রিল ২০২১ সালে, সরকার ‘ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ’ ও ‘ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর’ নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর।[]

২০২৪-এর ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা) এর প্রজ্ঞাপনের দ্বারা কলেজটির নাম পুনরায় "ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ" হয়।[]

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট। দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পূর্বে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৫০ শয্যা ছিল, ২০১৩ সালে ৭ তলা একটি ভবনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহ আরও ২৫০ শয্যা সেট মোট ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উদ্ভোধন করা হয়।

অনুষদ ও বিভাগ

প্রি-ক্লিনিক্যাল

ক্লিনিক্যাল

  • মেডিসিন বিভাগ
  • সার্জারি বিভাগ
  • কার্ডিওলজি বিভাগ
  • পেডিএট্রিক্স বিভাগ
  • নাক কান গলা (অটোরাইনোল্যারিংগোলজি) বিভাগ
  • এনেস্থিওলজি বিভাগ
  • অপথালমোলজি বিভাগ
  • গাইনোকোলজি ও অবসটেট্রিক্স বিভাগ
  • গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগ
  • রেডিওলজি বিভাগ
  • দন্তচিকিৎসা বিভাগ
  • ব্লাড ট্রাসনফিউশন বিভাগ
  • স্কিন ও ভিডি বিভাগ
  • অর্থোপেডিক্স বিভাগ
  • ইউরোলজি বিভাগ
  • রেসপাইরেটরি মেডিসিন বিভাগ
  • ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ
  • মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিভাগ[]

ছাত্রাবাস

আবাসন ব্যবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ছেলেদের জন্য একাডেমিক ভবন থেকে অদূরে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে যা ৬ তলা বিশিষ্ট। মেয়েদের জন্য হাসপাতাল সংলগ্ন স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশে দুটি মহিলা ছাত্রাবাস করা হয়েছে। ইন্টার্নী ছাত্রাবাসের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, ছাত্রদের নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে একটি মসজিদ যা "মেডিকেল কলেজ জামে মসজিদ" নামে পরিচিত ।

সংগঠন

এই কলেজে বর্তমানে ৬টি ক্লাব ও সংগঠন রয়েছে ।

  • চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত সোসাইটি
  • বিএসএমএমসি যুব গবেষক ক্লাব

তথ্যসূত্র

  1. "ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিলরুবা জেবা"banglanews24.com। ২০২৪-০৪-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৪ 
  2. "ফরিদপুর মেডিকেলের নাম পরিবর্তন"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১২ 
  3. "৬ মেডিকেল কলেজের নাম বদল, বঙ্গবন্ধু–হাসিনার নাম বাদ"প্রথমআলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-৩১ 
  4. "Departments – Faridpur Medical College" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯ 

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!