কলেজটিতে ইনটার্নশিপ-সহ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ২৫০ জন এমবিবিএস ও ডেন্টাল ইউনিটের বিডিএস কোর্সে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে।[৫] এছাড়াও এখানে বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.ডি., এম.এস., এমফিল, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।[৬]
ইতিহাস
১৯০১ সালে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়, যেখানে চার বছর মেয়াদী এলএমএফ ডিগ্রি প্রদান করা হতো। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই কলেজের উদ্বোধন করেন। ডা. আলতাফ উদ্দীন আহমেদ এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হিসেবে সেবা প্রদান করত। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এই কলেজে তিনটি বিভাগ ছিল: অ্যানাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণরসায়ন।
শুরুতে মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ চালু ছিল। ১৯৬৯ সালে বর্তমান সাততলা ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে ওই বছরই এটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯০ সালে ডেন্টাল ইউনিট চালু হয় এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী (বিডিএস) প্রোগ্রাম শুরু হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শয্যাসংখ্যা ২,২০০।[৭] ২০০৭ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং(MRI), কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং চালু হয়।[৮]
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সংযুক্ত হাসপাতাল। এটি উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ব্যবহারিক শিক্ষার প্রয়োগের ক্ষেত্র। হাসপাতালটি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ ও চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজসহ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি নার্সিং কলেজ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বর্তমানে হাসপাতালটি ২২০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতাল।[৯]
'শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তন' নামে এই প্রতিষ্ঠানের একটি মিলনায়তন রয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম শাহ আলমের নামে এই মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এটি এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। আধুনিক মিলনায়তনের মতো এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাজঘর, লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে।[১০]