টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ৬৫ জন (৬২টি সাধারণ, ২টি FF কোঠা এবং ১টি আদিবাসিদের জন্য সংরক্ষিত) শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।[১]
অবস্থান
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় অবস্থিত।
ইতিহাস
১৯৭৪ সালে টাঙ্গাইল জেলায় একটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সাধারণ হাসপাতাল স্থাপনের পর একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি উঠে। ২০১২ সালের ৩০ জুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের একটি জনসভায় শেখ হাসিনা একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারকে মেডিকেল কলেজ ভবন হিসেবে অনুমোদন করে ছাত্র ভর্তির অনুমতি দেওয়া মাধ্যমে এই মেডিকেল কলেজটি চালু করা হয়।[২] শুরুতে কলেজটির নাম টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ রাখা হয়। ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটির নাম শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব আনেন জাতীয় সংসদে ও পরে প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।[৩][৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিলের সভায় নামকরণে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত নামানুসারে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামকরণ করা হয় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
২০২৪-এর ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা) এর প্রজ্ঞাপনের দ্বারা কলেজটির নাম পুনরায় "টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ" হয়।[৫]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ