ওড়িশার উত্তরে ঝাড়খণ্ড, উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমে ছত্তিশগড় অবস্থিত।
জলবায়ু
ওড়িশা রাজ্যে চারটি আবহাওয়া সংক্রান্ত ঋতু লক্ষ্য করা যায়: শীত (জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি), প্রাক-মৌসুমি (মার্চ–মে), দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি (জুন–সেপ্টেম্বর) এবং উত্তর-পূর্ব মৌসুমি (অক্টোবর–ডিসেম্বর). তবে বঙ্গের মতো ওড়িশায় স্থানীয়ভাবে একটি বছরকে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত–এই ছয়টি ঋতুতে ভাগ করা হয়।[১০]
বিভিন্ন আবহাওয়া স্টেশনের গড় তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ[১১]
ভুবনেশ্বর (১৯৫২–২০০০)
বালেশ্বর (১৯০১–২০০০)
গোপালপুর (১৯০১–২০০০)
সম্বলপুর (১৯০১–২০০০)
সর্বোচ্চ (সেলসিয়াস)
সর্বনিম্ন (সেলসিয়াস)
বৃষ্টিপাত (মিমি)
সর্বোচ্চ (সেলসিয়াস)
সর্বনিম্ন (সেলসিয়াস)
বৃষ্টিপাত (মিমি)
সর্বোচ্চ (সেলসিয়াস)
সর্বনিম্ন (সেলসিয়াস)
বৃষ্টিপাত (মিমি)
সর্বোচ্চ (সেলসিয়াস)
সর্বনিম্ন (সেলসিয়াস)
বৃষ্টিপাত (মিমি)
জানুয়ারি
28.5
15.5
13.1
27.0
13.9
17.0
27.2
16.9
11.0
27.6
12.6
14.2
ফেব্রুয়ারি
31.6
18.6
25.5
29.5
16.7
36.3
28.9
19.5
23.6
30.1
15.1
28.0
মার্চ
35.1
22.3
25.2
33.7
21.0
39.4
30.7
22.6
18.1
35.0
19.0
20.9
এপ্রিল
37.2
25.1
30.8
36.0
24.4
54.8
31.2
25.0
20.3
39.3
23.5
14.2
মে
37.5
26.5
68.2
36.1
26.0
108.6
32.4
26.7
53.8
41.4
27.0
22.7
জুন
35.2
26.1
204.9
34.2
26.2
233.4
32.3
26.8
138.1
36.9
26.7
218.9
জুলাই
32.0
25.2
326.2
31.8
25.8
297.9
31.0
26.1
174.6
31.1
24.9
459.0
আগস্ট
31.6
25.1
366.8
31.4
25.8
318.3
31.2
25.9
195.9
30.7
24.8
487.5
সেপ্টেম্বর
31.9
24.8
256.3
31.7
25.5
275.8
31.7
25.7
192.0
31.7
24.6
243.5
অক্টোবর
31.7
23.0
190.7
31.3
23.0
184.0
31.4
23.8
237.8
31.7
21.8
56.6
নভেম্বর
30.2
18.8
41.7
29.2
17.8
41.6
29.5
19.7
95.3
29.4
16.2
17.6
ডিসেম্বর
28.3
15.2
4.9
26.9
13.7
6.5
27.4
16.4
11.4
27.2
12.1
4.8
সরকার ব্যবস্থা ও রাজনীতি
১৯৪৬ সালে রাজ্যের গঠনের পর প্রারম্ভিক ৩০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল। বর্তমানে বিজু জনতা দল ২০০০ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে।
রাজ্যে ২১টি লোকসভা আসন রয়েছে। তারমধ্যে ১২টি আসন বিজু জনতা দলের অধীনে। ৮টি ভারতীয় জনতা পার্টি-র দখলে এবং একটি কংগ্ৰেস।
২০১৯-এ ১৪৭ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের পর ১১২টি আসন বিজু জনতা দলের অধীনে এবং ২৩টি ভারতীয় জনতা পার্টি-র দখলে।
ওড়িশাতে মাছ সর্বগৃহীত প্রধান খাদ্য। মিষ্টি জাতীয় খাবার ওড়িশার বেশ জনপ্রিয়।
নৃত্য
ওডিসি (ওড়িসি) নাচ এবং সংগীত শাস্ত্রীয় শিল্পের ফর্ম। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে ওডিসি ভারতের প্রাচীনতম বেঁচে থাকা নাচের রূপ [১৩]। ওডিসির ২,০০০ বছরের দীর্ঘ ও অবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে । ভারতমুনির নাট্যশাস্ত্রে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ব্রিটিশ আমলে নাচের রূপটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। কয়েকজন গুরু দ্বারা ভারতের স্বাধীনতার পরে এর পুনরুদ্ধার করা হয়।
নৃত্যের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রয়েছে ঘুমুরা নৃত্য, মহারী নৃত্য, ডালখাই এবং গোটিপুয়া।
বালি শিল্প
ওড়িশার উপকূলীয় অংশে বালুশিল্প বিশ্বজোড়া প্রসিদ্ধ। পুরী সমুদ্র উপকূলে মূলত এই শিল্পের ব্যাপক চলন রয়েছে। ওড়িশার বিখ্যাত বালুশিল্পীর একজন সুদর্শন পট্টনায়েক। ২০১৪ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী পেয়েছেন। পুরীতে গড়েছেন তার ‘স্যান্ড আর্ট ইনস্টিটিউট’। এখানে বালুশিল্পের ওপর পড়াশোনা করানো হয়। ওড়িশা পর্যটন দফতর আয়োজিত কোণার্ক সূর্য মন্দির-এর কাছে আন্তর্জাতিক বালু শিল্প উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দেয় ৯টি দেশের অন্তত ৭০ জন প্রতিনিধি। [১৪]
চলচ্চিত্র
ওড়িয়া ভাষায় পূর্বে শব্দহীন কথাচিত্ৰ নিৰ্মাণ করা হত । মোহন সুন্দর দেব গোস্বামীর নির্দেশনায় রামায়ণের কাহিনীর উপর নির্ভর করে ১৯৩৬ সালে নির্মিত হয় প্ৰথম ওড়িয়া কথাছবি সীতা বিবাহ। এটির গল্প কামপাল মিশ্ৰ রচিত একটি নাটক থেকে নেয়া হয়েছিল । মাত্ৰ ৩০,০০০ টাকায় নিৰ্মীত এই ছবিতে ১৪ টি গান ছিল ।
↑"CyberOrissa.com :: Orissa"। cyberorissa.com। ২০১১। ২৯ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২। State Flower
↑"Orissa State Symbols"। mapsofindia.com। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২। the state tree is the imposing ‘Ashwatha’ tree
↑Patel, C.B (এপ্রিল ২০১০)। Origin and Evolution of the Name ODISA(পিডিএফ)। Bhubaneswar: I&PR Department, Government of Odisha। পৃষ্ঠা 28, 29, 30। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Administrative Unit"। Revenue & Disaster Management Department, Government of Odisha। ২১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৫।