২০১১ শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ছিল একটি টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট লিগ। ১৯ জুলাই হতে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সূচীতে নির্ধারিত থাকা এই লিগটি শ্রীলঙ্কার একটি নতুন ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার প্রথম আসর হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এর করা দুর্নীতি ও অসক্ষমতার অভিযোগের কারণে সৃষ্ট সমস্যার জন্য এটি ২০১২ সাল পর্যন্ত স্থগিত ছিল এবং পরবর্তীতে ২০১২ শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ভারতীয় খেলোয়াড়দের এই প্রতিযোগিতায় খেলার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[১][২][৩]
প্রস্তাবিত টুর্নামেন্টে ৭ টি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যেগুলো প্রত্যেকটি শ্রীলঙ্কার একেকটি প্রদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। দলগুলোর অধিনায়ক ছিলেনম জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করেছেন এমন ৬ জন এবং শ্রীলঙ্কা দলের একজন সাবেক সহ-অধিনায়ক। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই ধরনের লিগ এই প্রথম শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। এই টুর্নামেন্টে ৩০ এর অধিক বিদেশি খেলোয়াড়ের খেলার কথা ছিল।
অন্যান্য ক্রিকেট লিগের মত শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে কোন শহর নির্ভর দল ছিল না। বরং সেখানে প্রদেশ ভিত্তিক দল ছিল যাতে করে, পুরো প্রদেশ একত্রে দল গঠন করতে পারে এবং লিগে একটি বৃহৎ দর্শক সংখ্যা তৈরি হয়। সাতটি প্রদেশের সাতটি দল গঠন করা হয়েছিল যার তিনটি ২০১১ সালে তৈরি হয়েছিল। উত্তর মধ্যাঞ্চল এবং সবরাগামুয়া প্রদেশ দুটির জন্য প্রথম আসরে কোন দল ছিল না। ভবিষ্যতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রাখার জন্য দলের সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছিল।[৪]
টুর্নামেন্টের সকল ম্যাচ প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বোতে হওয়ার কথা ছিল
প্রতি দলে একজন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থাকবে, সনাথ জয়াসুরিয়া (রুহুনা), মাহেলা জয়াবর্ধনে (ওয়ায়াম্বা), কুমার সাঙ্গাকারা (কান্দুরাতা) এবং তিলকরত্নে দিলশান (বাসনাহিরা)। নাগেনহিরা ও উথুরার জন্য যথাক্রমে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি এবং সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি কে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
প্রতি দলে:[৫]
শ্রীলঙ্কার জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্য এবং ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ টুর্নামেন্টের জন্য প্রায় ৭০ জন শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়ের নিবন্ধনের কথা বলেন। এদের অনেকেই ছিলেন তরুণ। এছাড়াও পাকিস্তানের জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড়কেই এসএলপিএল খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর সঙ্গে ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন ব্রাভো, হার্শেল গিবস, ডেভিড ওয়ার্নার, লনয়াবো সতসবে, কেভিন ও'ব্রায়েন, ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান, কাইরন পোলার্ড, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি এবং শন টেইট এর মত আন্তর্জাতিক তারকার খেলার কথা ছিল। আইপিএল এর তুলনায় খেলোয়াড়দের মূল্য ছিল কম এবং সর্বোচ্চ মূল্য ছিল $৩০,০০০। তবে শহীদ আফ্রিদির মূল্য ছিল $৩৫,০০০। এসএলপিএল-এ অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের মধ্যে শোয়েব আখতার এর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তবে পরবর্তীতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি এসএলপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।[৬]
টুর্নামেন্টের ২৪টি ম্যাচই প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে সরাসরি সম্প্রচারের পরিকল্পনা ছিল।[১০]