বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপকথায় আছে, এ এলাকায় একসময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশমুখে ছড়ার পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃ্দ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে ম্যাঅকছি ছড়া নামে । অর্থাৎ মারমা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ বানর আর ছি অর্থ বাঁধ। কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে। বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। তবে মারমা ভাষায় বান্দরবানের নাম রদ ক্যওচি ম্রো।[৩]
প্রশাসনিক এলাকা
১৯২৩ সালে বান্দরবান সদর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে বান্দরবান সদর উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।[২] এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ বান্দরবান সদর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বান্দরবান সদর থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বান্দরবান সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৮৮,২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৭,৬৮৭ জন এবং মহিলা ৪০,৫৯৫ জন। মোট পরিবার ১৮,৯৩৪টি।[১] মোট জনসংখ্যার ৪২.৪৯% মুসলিম, ৭.৭৬% হিন্দু, ৪২.৭৫% বৌদ্ধ, ৪.৪৭% খ্রিস্টান এবং ২.৫৩% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[২]
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বান্দরবান সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,১১,০৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৮,১৯১ জন এবং মহিলা ৫২,৯০৫ জন। মোট পরিবার ১৮,৯৩৪টি।[১] মোট জনসংখ্যার ৪৫.৭৭% মুসলিম, ৭.৮৫% হিন্দু, ৩৬.৪৯% বৌদ্ধ, ৫.৮৩% খ্রিস্টান এবং ৪.০৭% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বান্দরবান সদর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৩%।[১] এ উপজেলায় ২টি সরকারি কলেজ, ১টি স্কুল এন্ড কলেজ, ১টি কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজ, ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, ৭টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[২]
↑ কখগঘ"ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য"(পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৯।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)