বাংলাদেশে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অবস্থান। লাল বিন্দু সাংস্কৃতিক সাইট, সবুজ বিন্দু প্রাকৃতিক সাইট।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থাবিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হল সাংস্কৃতিক বা প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য অধিবেশনে বর্ণিত হয়েছে।[১] সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্মৃতিস্তম্ভ (যেমন স্থাপত্যকর্ম, স্মারক ভাস্কর্য, বা শিলালিপি), ভবন, এবং স্থান (প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট সহ) নিয়ে গঠিত। প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে (ভৌতিক এবং জৈবিক গঠনের সমন্বয়ে), ভূতাত্ত্বিক এবং ভৌতিক গঠন (প্রাণী ও উদ্ভিদের হুমকির সম্মুখীন প্রজাতির বাসস্থান সহ), এবং প্রাকৃতিক স্থান যা বিজ্ঞান, সংরক্ষণ বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলিকে প্রাকৃতিক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।[২] বাংলাদেশ ১৯৮৩ সালের ৩ আগস্ট কনভেনশনটি গ্রহণ করে, দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উপযুক্ত করে তোলে।[৩]
২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], বাংলাদেশে তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে এবং আরও পাঁচটি অস্থায়ী তালিকায় রয়েছে।[৩] ১৯৮৫ সালে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত প্রথম দুটি স্থান ছিল মসজিদের শহর বাগেরহাট এবং পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ।১৯৯৭ সালে প্রাকৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে সুন্দরবন তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।[৩]২০২১ সালে কেরানিগঞ্জের দোলেশ্বর হানিফিয়া জামে মসজিদ এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি
তালিকার স্থান, অবস্থান, মানদণ্ড, এলাকা, বছরের চিহ্নের উপর ক্লিক করে এই তালিকাকে বর্ণানুক্রমে ও উল্টো বর্ণক্রমে সাজানো যাবে।
স্থান; বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কমিটির অফিসিয়াল নামানুসারে (ইংরেজিতে)[৪]
অবস্থান; শহর, আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক স্তর এবং ভূ স্থানাঙ্ক
মানদণ্ড; বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কমিটি দ্বারা সংজ্ঞায়িত[৫]
এলাকা; হেক্টর এবং একর অনুসারে। উপলব্ধ হলে, বাফার জোনের মাপসহ উল্লেখ করা হয়েছে। মান শূন্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে ইউনেস্কো কর্তৃক কোন তথ্য প্রকাশিত হয়নি
বছর; কোন সময়ে স্থানটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী তালিকায় তালিকাভুক্ত করা হয়
বিবরণ; স্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য, যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে একটি বিপন্ন সাইট হিসাবে যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার কারণ সহ
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কমিটির বিবেচনায় বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে নির্বাচিত হবার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সম্ভব্য স্থান সমূহের তালিকা সংরক্ষণ করার অনুমতি দেয় এবং চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্যে নিদৃষ্ট স্থানকে অবশ্যই সম্ভব্য তালিকায় থাকতে হবে।[৯] ২০১৪ এর নিবন্ধন অনুসারে, নিম্নের ৫টি স্থান সম্ভব্য স্থান হিসাবে সংযুক্ত হয়।[১০]
↑"The World Heritage Convention"। UNESCO World Heritage Centre। ২৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৯।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑ কখগ"Bangladesh"। UNESCO World Heritage Centre। ১৬ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২২।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)