ডেভ হোয়াটমোর সিলনে (বর্তমান - শ্রীলঙ্কা) জন্মগ্রহণ করেন। কলম্বোর রয়েল প্রিপারেটরী স্কুলে শিক্ষালাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ও তার পরিবারঅস্ট্রেলিয়ায়অভিবাসিত হন। মেলবোর্নের কাছাকাছি মেনটোনে বসবাস করতে থাকেন। সেখানকার মেনটোন গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[১]
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে সিরিজ পরাজয়বরণের পর দল নির্বাচকমণ্ডলী পিটার টুহি, ব্রুস ইয়ার্ডলি ও ফিল কার্লসনকে দল থেকে বাদ দেয়ার চিন্তা করেন। তাদের পরিবর্তে ডেভ হোয়াটমোর, ট্রেভর লাফলিন ও পিটার স্লিপকে দলে নেয়া হয়।[২] এরপর অবশ্য লাফলিন নাম প্রত্যাহার করে নেন ও ওয়েন ক্লার্ককে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ দলের প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। বেশকিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দলের বিপক্ষে সফলকাম হয়। ২০০৫ সালের শুরুতে বাংলাদেশ তাদের ১ম টেস্ট ম্যাচ জয় করে।[৩] ঐ বছরই শীর্ষস্থানের অধিকারী অস্ট্রেলিয়া দলকে হারিয়েছিল যার ফলে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব তাজ্জব বনে যায়।[৪] এছাড়াও, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শীর্ষস্থানীয় প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাসহভারতকে পরাভূত করে সুপার এইট পর্বে পৌঁছেছিল। বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের খেলা সমাপ্তির পর তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ২৯ মে নিজ দেশে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাকালীন সময় পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পরিচালনা করেন।[৫]
৪ মার্চ, ২০১২ তারিখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা পিসিবি হোয়াটমোরকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি অস্থায়ী কোচ মোহসীন খানের স্থলাভিষিক্ত হন। দুই বছর মেয়াদের জন্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তার প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফলকাম হয় দলটি। ২০১২ সালেরএশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান দল।
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃক তাকে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৬] চুক্তি শেষ হবার ৯ মাস পূর্বেই তাকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়।[৭] তার পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকান মাখায়া এনটিনিকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৮]
↑"SPORTS SECTION."। The Canberra Times। ৬ মার্চ ১৯৭৯। পৃষ্ঠা 1 Section: SPORTS SECTION। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।