ডানকান ফ্লেচার

ডানকান ফ্লেচার
২০১৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ডানকান ফ্লেচার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ডানকান অ্যান্ড্রু গোয়েন ফ্লেচার
জন্ম (1948-09-27) ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
সলিসবারি, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাকোচ
সম্পর্কঅ্যালান ফ্লেচার (ভাই)
অ্যান গ্র্যান্ট (বোন)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
৯ জুন ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২০ জুন ১৯৮৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৪ - ১৯৮৫ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৬৯ - ১৯৮০রোডেশিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১১১ ৫৩
রানের সংখ্যা ১৯১ ৪,০৯৫ ১,১১৯
ব্যাটিং গড় ৪৭.৭৫ ২৩.৬৭ ২৮.৬৯
১০০/৫০ ০/২ ০/২০ ১/৭
সর্বোচ্চ রান ৭১* ৯৩ ১০৮
বল করেছে ৩০১ ১২,৩৫২ ২,৪২২
উইকেট ২১৫ ৭০
বোলিং গড় ৩১.৫৭ ২৮.০৩ ২৩.৬০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৪২ ৬/৩১ ৪/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৭৫/– ২০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ডানকান অ্যান্ড্রু গোয়েন ফ্লেচার, ওবিই (ইংরেজি: Duncan Fletcher; জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮) সলিসবারিতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকোচ[][][] এছাড়াও, তিনি ভারতীয় জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭-২০০৭ মেয়াদকালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন ডানকান ফ্লেচারটেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের দুরবস্থাকে দূরে ঠেলে পুণরুজ্জীবন ঘটাতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন

ডানকান ফ্লেচার দক্ষিণ রোডেশিয়ার সলিসবারিতে জন্মগ্রহণ করেন যা বর্তমানে জিম্বাবুয়ের হারারে এলাকায় অবস্থিত। রোডেশিয়ার কৃষক পরিবারের সন্তান ফ্লেচারের আরও চার ভাই রয়েছে। তার বোন অ্যান গ্র্যান্ট মস্কোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে জিম্বাবুয়ের প্রমিলা হকি দলের অধিনায়কত্ব করেন ও দলকে স্বর্ণপদক প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন। এছাড়াও, অ্যালান ফ্লেচার নামীয় এক ভাই রোডেশিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে ১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

ফ্লেচার ১৯৮২ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ী জিম্বাবুয়ে দলের সদস্য ছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডানকান ফ্লেচার। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। ঐ সময়ে জিম্বাবুয়ে দলের টেস্ট খেলার মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটেনি।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। ৯ জুন, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। আলী শাহ, গ্র্যান্ট প্যাটারসন, অ্যান্ডি পাইক্রফট, ডেভিড হটন, জ্যাক হেরন, কেভিন কারেন, ইয়ান বুচার্ট, পিটার রসন, জন ট্রাইকোসভিন্স হগের সাথে একযোগে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার।[] ২০ জুন, ১৯৮৩ তারিখে বার্মিংহামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

কোচিং

২০০০-২০০৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দলকে দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশ কয়েকটি সিরিজ জয় করিয়েছেন। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড ধারাবাহিকভাবে ৮টি টেস্ট জয় করে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ১৮ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ জয় করানো। এরফলে তিনি এর স্বীকৃতিস্বরূপ অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) উপাধিতে ভূষিত হন।

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ তারিখে দীর্ঘ ৫ বছর অপেক্ষার পর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভ করেন। যদিও তার পিতা-মাতা এবং অন্যান্য পূর্ব-পুরুষগণ জাতিগতভাবে ইংরেজ ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চার্লস ক্লার্ক তাকে নাগরিকত্বপ্রাপ্তির এ পুরস্কার প্রদান করেন।[]

তথ্যসূত্র

  1. "Players / Zimbabwe / ODI caps"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯ 
  2. "Zimbabwe ODI Batting Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯ 
  3. "Zimbabwe ODI Bowling Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯ 
  4. "prudential world cup, 1983: Scorecard of third ODI, Australia vs Zimababwe"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৩, ২০১৯ 
  5. Fletcher granted British citizenship, Cricinfo. Retrieved 19 November 2007

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!