পল ডেভিড কলিংউড (ইংরেজি: Paul David Collingwood; জন্ম: ২৬ মে, ১৯৭৬) হলেন একজন ইংলিশ ক্রিকেটার। তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের টেস্টের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমের একদিনের আন্তর্জাতিকে অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ডারহাম কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়েও অধিনায়ত্ব করে থাকেন।[১][২][৩] কলিংউড হচ্ছেন মূলত একজন ব্যাটিং অল-রাউন্ডার; যিনি অসাধারণ ভঙ্গিমার সাথে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে থাকেন। এছাড়াও তিনি নিয়ন্ত্রত বলও করে থাকেন। তাকে একজন "প্রাকৃতিক ক্রীড়াবিদ" হিসাবে বর্ণনা করা যায়। এছাড়াও তিনি একজন সু-দক্ষ ফিল্ডারও বটে।[১][৪] সাধারণত তিনি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অথবা স্লিপে ফিল্ডিং করে থাকেন এবং তিনি দলের প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।
প্রারম্ভিক এবং ব্যক্তিগত জীবন
কলিংউড কনসেট এর কাছের শহর শর্টলি ব্রিডজ জন্ম গ্রহণ এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। তার পিতার নাম হল ডেভিড এবং মাতার নাম জেনিত।[৫] তার সাথে আরও আছেন বড় ভাই পিটার এবং তিনি ব্লাকফাইন কম্প্রেহেনসিভ স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন।[১] পল ক্রিকেটের সাথে পরিচিত হন "ব্লাকফাইননি কম্প্রেহেনসিভ স্কুল" থেকে মাত্র নয় বছর বয়সে ব্রিজ এর অধীনে অনূর্ধ্ব ১৩ দলের মধ্যে খেলার সুযোগ পান।[৬][৭]
তিনি বর্তমানে নর্থারমবার্ল্যান্ডে তার স্ত্রীর ভিকির সাথে বসবাস করছেন যাকে তিনি ২০০৫ সালে বিবাহ করেছিলেন কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং তাদের তিন মেয়ে শ্যানন (২০০৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন)[৮] কেইরা (জন্ম ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮,[৯]
এবং হান্নাহ মায়ে (জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১)।
পল কলিংউড ১৯৯৫ সালে স্থানীয় দল ডারহামের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন এবং প্রথম লিস্ট এ ক্রিকেট খেলেন।[১০]
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ দ্বিতীয় আসরে কলিংউড চুক্তিবদ্ধ হন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস তাদের দ্বিতীয় খেলোয়াড় নিলামের সময় $ ২৭৫.০০০ বিনিময়ে।[১১]
২০১১ সালের নিলামে রাজস্থান রয়াল তাকে মার্কিন $ ২৫০.০০০ কিনে নেয়।[১২] কিন্তু তিনি তার হাটুর সমস্যার কারণে আইপিএল ৪ আসলে অংশ নেননি।[১৩]
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
ইংল্যান্ড আত্মপ্রকাশ
২০০১ সালে ডারহামে ভাল খেলার সুবাদে তাকে একদিনের আন্তর্জাতিকে নির্বাচন করা হয় ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া এর বিরুদ্ধে।[১৪] ইংল্যান্ড দলের ১৬২তম খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেটে অভিষেক হয়।[১৫] কিন্তু তিনি তার অভিষেক খেলায় ভাল করতে পারেননি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে মাত্র ২ রান করেন এবং বল হাতে কোন উইকেট পাননি।[১৬] এবং সিরিজের বাকি খেলায় দুর্বল পারফরমেন্স দেখান (চার ইনিংসে মাত্র ২০ রান এবং কোন উইকেট পাননি)।[১৭]
এ্যাশেজ ২০০৫
২০০৫ সালের জুন ইংল্যান্ড দল ট্রেন্ট ব্রিজে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলায় কলিংউড ৮৬ বলে ১১২ রান করেন এবং ৩১ রান দিয়ে ৬ উইকেট লাভ করেন।[১৮] এটি ওয়ানডেতে একজন ইংরেজ খেলোয়াড়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বোলিং পরিসংখ্যান।[১৯] যাতে শতক সহ ৬ উইকেট লাভ করেন।[২০]
পাকিস্তান ও ভারতে সাফল্য
শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান ২০০৬
কলিংউড শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে প্রথম তিন টেস্টে তার জায়গা ধরে রাখেন।[২১] দূর্ভাগ্যবশত, তিনি প্রথম টেস্টের সময় দুটি ক্যাচ ছেড়ে দেন লর্ডস মাঠে,[২২][২৩] কিন্তু তিনি উক্ত ম্যাচে একটি অপরাজিত অর্ধশতক রানের ইনিংস খেলেন।[২৪]
এ্যাশেজ ২০০৬/০৭
বিশ্বকাপ ২০০৭
কোচিং
তিনি ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[২৫] পরবর্তী তে তিনি স্কটল্যান্ডের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন[২৬]
↑Andrew Baker (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "Collingwood: We can beat the best sides"। The Daily Telegraph। London। ২১ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।