ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস (ইংরেজি: Douglas Fairbanks; জন্ম: ডগলাস এল্টন থমাস উলম্যান; ২৩শে মে, ১৮৮৩ - ১২ই ডিসেম্বর, ১৯৩৯) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার।[১] তিনি দ্য থিফ অব বাগদাদ, রবিন হুড এবং দ্য মার্ক অব জরো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধি অর্জন করেন।
ফেয়ারব্যাঙ্কস ১৯১০ ও ১৯২০ এর দশকের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে স্বীকৃত হলেও সবাক চলচ্চিত্রের বিকাশের ফলে তার কর্মজীবনে দ্রুত পতন দেখা দেয়। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল দ্য প্রাইভেট লাইফ অব ডন হুয়ান (১৯৩৪)।
জীবনী
প্রারম্ভিক জীবন
ডগলাস এল্টন থমাস উলম্যান ১৮৮৩ সালের ২৩শে মে ডেনভারেরকলোরাডোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হেজেকিয়াহ চার্লস উলম্যান (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৩৩ - ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৯১৫) এবং তার মাতা এলা অ্যাডিলেড (জন্মনাম: মার্শ, জন্ম ১৮৪৭)। তার এক ভাই ছিল, নাম রবার্ট পেইন উলম্যান (১৩ই মার্চ, ১৮৮২ - ২২শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) এবং দুইজন সৎভাই ছিল, জন ফেয়ারব্যাঙ্কস জুনিয়র (জন্ম ১৮৭৩) এবং নরিস উইলকক্স (২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৬ - ২১শে অক্টোবর, ১৯৪৬)।[৩] তার পিতা হেজেকিয়াহ পেনসিলভানিয়ার বেরিসবার্গে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু উইলিয়ামস্পোর্টে বেড়ে ওঠেন। তিনি একটি ইহুদি পরিবারের ছয় পুত্র ও চার কন্যার মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন। হেজেকিয়াহের পিতামাতা লাজারুস উলম্যান ও লিডিয়া আব্রাহাম ১৮৩০ সালে জার্মানিরবাডেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
প্রারম্ভিক কর্মজীবন
ফেয়ারব্যাঙ্কস ডেনভার মঞ্চে একজন আনাড়ি শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। তিনি এলিথ গার্ডেনস থিয়েটার ও অন্যান্য মার্গারেট ফিয়ালির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত কয়েকটি মঞ্চদলে কাজ করতেন। ফিয়ালি তখন ডেনভারে তরুণদের জন্য একটি অভিনয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। ফেয়ারব্যাঙ্কস ডেনভার ইস্ট হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং স্কুলের পিয়ানোর তার কাটার জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়।[৪]
তিনি ১৮৯৯ সালে ১৫ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করেন। তিনি কলোরাডো স্কুল ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন বলে দাবী করতেন, কিন্তু তার কোনো দাবীই সত্য নয়। তিনি ফ্রেডেরিক ওয়ার্ডের অভিনয় দলে যোগ দেন এবং ১৮৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে কয়েকটি দেশে সফরে যান। তিনি ওয়ার্ডের সাথে দুই মৌসুম সফর করেন, এবং অভিনেতা ও মঞ্চ সহকারী হিসেবে এই দলে কাজ করতেন।[৪]
↑"Douglas Fairbanks Sr. Biography"। The Douglas Fairbanks Museum (ইংরেজি ভাষায়)। মে ১৫, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।