ইমার্জেন্সি ২০২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় হিন্দি ভাষার জীবনীমূলক চলচ্চিত্র, যা কঙ্গনা রানাওয়াত দ্বারা পরিচালিত ও প্রযোজিত। রানাওয়াতের গল্প অনুসারে চিত্রনাট্য লিখেছেন রিতেশ শাহ।[৫] ১৯৭৭ সালের ভারতীয় জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে, এতে রানাওয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৬][৭] চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, শ্রেয়াস তালপাড়ে, মহিমা চৌধুরী ও মিলিন্দ সোমান ।
এই চলচ্চিত্রে জি. ভি. প্রকাশ কুমার সুরারোপিত চারটি গান এবং অর্ক সুরারোপিত একটি গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চলচ্চিত্রের সুর সংকলন করেছেন সঞ্চিত বলহারা এবং অঙ্কিত বলহারা। গানগুলোর কথা লিখেছেন মনোজ মুনতাশির। প্রথম একক গান "সিংহাসন খালি করো" ২৬ আগস্ট ২০২৪-এ প্রকাশিত হয়।[১৬]
প্রধান চিত্রগ্রহণ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়েছিল।[১৭] এটি ২০২৩ সালের ৮ মার্চ সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর পর তার মরণোত্তর চলচ্চিত্রকে চিহ্নিত করে। ছবিটি ২৪ নভেম্বর ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।[১৮] তবে, চলচ্চিত্রটি ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পায়।
ইমারজেন্সি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।[১৯][২০] কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্তটি দুই দেশের বর্তমান কূটনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত, চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে নয়।[২১]
এই চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বানোয়াট চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট রাতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ধানমণ্ডি ৩২-এর নিজ বাসভবনের সিঁড়িতে শেখ মুজিবুর রহমানকে বুকে গুলি করে হত্যা করে।[২২][২৩] কিন্তু এই চলচ্চিত্রে, বঙ্গবন্ধুকে কিছু কালো পোশাক পরিহিত পুরুষকে দরজার সামনে মাথায় গুলি করতে দেখা যায়, যা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় এবং পরিচালক শ্যাম বেনেগালের জীবনীমূলক চলচ্চিত্র "মুজিব: একটি জাতির রূপকার"-এর সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈপরীত্যপূর্ণ।[২৪]
চলচ্চিত্রটির ইতিহাসগত সংবেদনশীল ঘটনা, বিশেষ করে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের চিত্রায়ণ, সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিরোধীরা দাবি করেছেন যে, প্রদর্শিত চিত্রটি বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটি ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে অবনতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।[২১]
চলচ্চিত্রটি গুরুতর সমালোচনার মুখে পড়েছে সিখ সংগঠনগুলির কাছ থেকে, বিশেষ করে শিরোমণি গুরুদ্বারা পরিচালনা কমিট, যারা অভিযোগ করেছে যে এটি ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা সম্পর্কিত ইতিহাস বিকৃত করেছে এবং শিখ সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছে। এই প্রতিবাদগুলোর প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের কিছু থিয়েটার এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[২৫]
As per the trade portals, Emergency is made in the budget of Rs 60 crores (Inclusive Print and Advertising costs).