মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার বা মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার বা মগবাজার-মৌচাক উড়ালসেতুটি একটি মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগের সমন্বিত উড়ালসেতু। রাজধানীঢাকারমগবাজার, মৌচাক, বাংলামটর, রাজারবাগ, মালিবাগ, শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে এ উড়ালসড়ক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
বিবরন
চার লেনের এ ওড়ালসড়কটি প্রায় ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ১৫ স্থানে উঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে - এগুলো হলো তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও শান্তিনগর মোড়। এ ওড়ালসড়কটির প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার।
২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা ওড়ালসড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এর পরে ধাপে ধাপে নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে এ প্রকল্পের।[১] প্রথমে ২০১৪ সালের মধ্যে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দ্বিতীয় ধাপে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কিন্তু তাতেও প্রকল্পটি সম্পন্ন না হওয়ায় সর্বশেষে ব্যয় দাড়ায় ১২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।[২]
এ ওড়ালসড়কটির কাজ তিন ভাগে শেষ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশের উদ্বোধন করেন। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীখন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর ১৭ মে ২০১৭, খুলে দেওয়া হয় ফ্লাইওভারটির এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত কারওয়ান বাজারমুখী অংশ। সবশেষে ২৬শে অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবারদুপুর সাড়ে ১২টায় একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওড়ালসড়কটির উদ্বোধন করে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেন।[৩] পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগে প্রায় ৬ বছর।