পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত ১২.৫-কিলোমিটার দৈর্ঘ্য (৭.৮ মা) বিশিষ্ট একটি আট লেন-প্রশস্ত এভিনিউ এক্সপ্রেসওয়ে।[১] এই এক্সপ্রেসওয়ে পূর্বাচলকে ঢাকার পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে।
ইতিহাস
পূর্বাচল নতুন শহরের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ২০০৫ সালে পাস হয়। ওই প্রস্তাবে আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তহবিল স্বল্পতার কারণে ২০১৩ সালে চার লেন সড়ক দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শুরু করে রাজউক। ৩০০ কোটি টাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে রাজউক। ২০১৫ সালে একনেক দ্বারা বিশদ এলাকা পরিকল্পনা পাস হয়। ওই পরিকল্পনায় কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সংযোগ সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট খাল নির্মাণের ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছিল ৫ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। বিদ্যমান প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার পরে,[২] প্রকল্পটি নভেম্বর ২০১৮ সালে ৮-লেন এক্সপ্রেসওয়েতে রাস্তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনার সাথে সংশোধন করা হয়েছিল। প্রকল্পের বাজেট সংশোধন করে করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।[৩] সংশোধিত নকশা অনুসারে খাল নির্মাণের জন্য ৩০০ ফুট সড়কের বদলে নির্মাণ করা হবে ২৩৫ ফুট।[৪] এক্সপ্রেসওয়েটি রাজউকের পরিবর্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।[৫]
বৈশিষ্ট্য
১৩-কিলোমিটার (৮.১ মা) খাল, ১৩-কিলোমিটার (৮.১ মা) রাস্তা, ৩৯-কিলোমিটার (৩৯ কিমি) ওয়াকওয়ে, চারটি আইলুপ, খালের উপর 13টি সেতু, চারটি এক্সপ্রেসওয়ে ফুট ওভার ব্রিজ এবং পাঁচটি স্লুইস গেট নির্মাণাধীন। একটি পাম্প হাউস ছাড়াও, ১২টি ওয়াটার বাস স্টপ এবং একটি ৪.৮-কিলোমিটার (৩.০ মা) স্টর্ম স্যুয়ার লাইন নির্মাণ করা হবে।[৬]
গাজীপুর-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নামে একটি নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সংযুক্ত করবে।[৭]
তথ্যসূত্র