ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার ও কেন্টের পক্ষে খেলেছেন। মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী টেরি অল্ডারম্যান সীমিত আকারের পেস দিয়ে নিখুঁত বোলিং করতেন।
প্রারম্ভিক জীবন
অল্ডারম্যান পার্থের অ্যাকুইনাস কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন।[২] ১৯৭৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এর মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাটিংয়ে বেশ দূর্বল ছিলেন অল্ডারম্যান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি কেবলমাত্র একবারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার গড় রান মাত্র আট। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে তিন মৌসুম খেলেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ মৌসুমে কেন্ট এবং ১৯৮৮ মৌসুমে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৮১ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য জাতীয় দলে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটে। অভিষেক টেস্টে ৯ উইকেটসহ সমগ্র সিরিজে তিনি ৪২ উইকেট লাভ করেন।[৩] ১৯৫৬ সালে জিম লেকারের ৪৬ উইকেটের পর তা সর্ববৃহৎ অর্জন। সিরিজে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ। ৪২ উইকেট লাভ করলেও সিরিজের কোন টেস্টেই তিনি ১০ উইকেট দখল করতে পারেননি।[৪]
১৯৮২ সালে কিম হিউজের নেতৃত্বে পাকিস্তান গমনের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে তাকে মনোনীত করা হয়।[৫] তৃতীয় টেস্টে তাকে পিটার স্লিপের স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[৬] ১৩ নভেম্বর, ১৯৮২ তারিখে পার্থেরওয়াকা গ্রাউন্ডে কাঁধে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তাকে এক বছরের অধিক সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়।[৭] ১৯৮৫-৮৬ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্ট্রেলিয়ার অনানুষ্ঠানিক সফরে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকাকমনওয়েলথের বর্ণবাদ বিরোধী নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দল ছিল। এরফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হন তিনি। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে দল থেকে বাদ পড়েন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবার পর অল্ডারম্যান পুনরায় অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে আসেন ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুনরায় সফলতা পান। ১৯৮৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ৪১ উইকেট দখল করেন। এরপর তার সর্বশেষ ১৯৯০-৯১ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ১৬ উইকেট দখল করেন। কিন্তু অন্যান্য দলের বিপক্ষে তিনি তেমন সফলতা অর্জন করতে পারেননি। ১৯৯০-৯১মৌসুমেওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি তার সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ১৭০টি টেস্ট উইকেট পান।