১৮৯২-৯৩ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাদের প্রথম খেলায় অংশ নেয়। সফররত ইস্টার্ন স্টেটসের বিপক্ষে দুইটি খেলায় অংশগ্রহণের পর অ্যাডিলেড ওভালেসাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়।[১] এরপর, এমসিসিজিতে ১ এপ্রিল, ১৮৯৩ তারিখে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলে।[২] তখন ঐ দলে হার্বার্ট অর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দলটি সাউথ অস্ট্রেলিয়া, ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করতে থাকে। এছাড়াও, ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে অন্তর্ভুক্ত হবার পূর্ব-পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বিদেশ থেকে আগত সফররত দলের বিপক্ষে খেলতে থাকে। শুরুরদিকে প্রত্যেক মৌসুমে দলটি একে-অপরের বিপক্ষে কেবলমাত্র একবার মোকাবেলা করতো। এরপর, ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে অন্যান্য দলের ন্যায় তারাও প্রত্যেক রাজ্যের বিপক্ষে দুইবার করে খেলতে শুরু করে।
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে যোগদানের পর থেকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল ১৫বার প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করে। ঐ সময়ে কেবলমাত্র নিউ সাউথ ওয়েলসের পর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে।[৩] একদিনের কাপে দলটি বিজয়ের দিক থেকে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। তাদের ১২ জয়ের বিপরীতে নিউ সাউথ ওয়েলস দল আটবার জয় করতে সমর্থ হয়।
জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে ২০১২ সালের শেষদিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্যে মনোনীত করা হয়। তিনি একই সঙ্গে পার্থ স্কর্চার্সের কোচের দায়িত্বে থাকেন। এ পর্যায়ে প্রায় এক দশক সফলতার বাইরে থাকার পর বেশ সাফল্য পায়। ল্যাঙ্গারের পরিচালনায় ওয়ারিয়র্স দল ২০১৪-১৫ মৌসুমে ওয়ান-ডে কাপের শিরোপা জয় করে; অন্যদিকে দলটি ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের রানার্স-আপ হয়। স্কর্চার্স দল ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লীগে পিছনে যেতে থাকে।
↑Inc., Western Australian Cricket Association। "WACA | Home of Cricket in Western Australia"। waca.com.au। ২০১৬-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑Inc., Western Australian Cricket Association। "WACA | Home of Cricket in Western Australia"। waca.com.au। ২০১৬-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৫।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)