চীনের মানচিত্রে সিছুয়ান প্রদেশ-এর অবস্থান দেখানো হচ্ছে
নামকরণের কারণ
川峡四路 chuānxiá sìlù ছুয়াংশিয়া সিলু-এর সংক্ষিপ্ত রূপ আক্ষরিক অর্থে " নদী ও গিরিখাতের চার সার্কিট"; সোং রাজবংশের শাসনামলের চারটি সার্কিটকে নির্দেশ করছে।
প্রাচীনকালে সিছুয়ান অঞ্চলে পা এবং শু নামক দুইটি রাজ্য অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে ছিন রাজ্য এগুলিকে বিজয় করে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে এবং চীনের প্রথম সম্রাটের চীন একত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তিন রাজ্যের শাসনামলে লিউ পেইয়ের শু-এর ভিত্তি ছিল সিছুয়ান। ১৭শ শতকে ছাং শিয়েনচুং-এর বিদ্রোহে অঞ্চলটির ব্যাপক ধ্বংসসাধন হয়। কিন্তু মাঞ্চুরা অঞ্চলটি দখল করার পর ১৯শ শতকে এসে প্রদেশটি চীনের সবচেয়ে উৎপাদনশীল অঞ্চলে পরিণত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ছুংছিং তৎকালীন চীন প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী রাজধানী ছিল, ফলে জাপানিরা এর উপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। চীনের গৃহযুদ্ধের সময় সিছুয়ান প্রায় সবার শেষে সাম্যবাদীদের করায়ত্ত হয়। একে চার ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। ১৯৫৯-৬১ সালে চীনের মহাদুর্ভিক্ষ পর্যায়ে সিছুয়ানের অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু তখনও এটি চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে ছোংছিং পৌরসভাটিকে প্রদেশ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।
সিছুয়ানের লোকেরা ম্যান্ডারিন ভাষার একটি স্থানীয় উপভাষা সিছুয়ানীয় ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলে। এই ভাষাটি মিং রাজবংশের শাসনামলে ধীরে ধীরে রূপ পায় এবং বর্তমানে এতে প্রায় ১২ কোটি লোক কথা বলে (বিশ্বের ১০ম সর্বাধিক কথিত ভাষা হতে পারত)। সিছুয়ানের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। এখানকার লোকেরা ঝালযুক্ত রান্না খেতে পছন্দ করে। আধুনিক কালে এসে সিছুয়ানের নিজস্ব মরিচের পরিবর্তে মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত মরিচ দিয়ে রান্না করা হয়। সিছুয়ান রন্ধনপ্রণালীর সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত দুইটি পদ হল কুং পাও মুরগী এবং মাপো তোফু।
↑"Doing Business in China - Survey"। Ministry Of Commerce - People's Republic Of China। ৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৩।