সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ
ডিএসসিএসসি
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
ধরনসামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্থাপিত১৯৭৭
ঠিকানা, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
অধিভুক্তিবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
মানচিত্র

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি, যা ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ কলেজে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচিত মধ্যপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ পেশাগত সামরিক শিক্ষা লাভ করেন। দেশ-বিদেশের সামরিক কর্মকর্তাগণও এখানে অধ্যয়ন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল পদের একজন অফিসার কম্যান্ড্যান্ট থাকেন।[]

ইতিহাস

ইনস্টিটিউটটি ব্রিটিশ সামরিক একটি দলের সহায়তায় ২০ ডিসেম্বর ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রথম দিকে একজন প্রধান প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ সামরিক উপদেষ্টা দল প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম পরিচালনা করতেন। উদ্বোধনী ব্যাচে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের তিনটি বিভাগ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী ছিল।[]

প্রাথমিক বছরগুলিতে ছয় মাস মেয়াদি যৌথ কোর্স চালু ছিল। ১৯৮০ সালে কোর্সের মেয়াদ দশ মাস করা হয় এবং বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৮০ একটি পৃথক এয়ার উইংও চালু হয়ে করা হয়ে এবং বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়ে। ১৯৮২ সালে পৃথক নেভাল উইং চালু করা হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। ৪৪ সপ্তাহের কোর্স সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীদের মাস্টার অব ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।[]

প্রশিক্ষণের পাঠক্রম

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের পাঠ্যসূচির ৪০% যৌথ শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে এবং ৬০% এককভাবে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অধ্যয়নের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।[]

  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিস্তৃত জ্ঞান এবং তাতে সামরিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা;
  • সশস্ত্র বাহিনীতে সদস্য নিয়োগের নীতি সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান এবং পাল্টা আক্রমণ থেকে শুরু করে বিক্ষিপ্ত যুদ্ধে সামরিক আক্রমণ পরিচালনার সামগ্রিক বিষয়ে জ্ঞান লাভ;
  • শান্তি ও যুদ্ধাবস্থায় সেনা পরিচালনা ও এতদসংক্রান্ত কার্যক্রমের নীতি ও কৌশল আয়ত্ত করা;
  • ছাত্রদের মৌখিক ও লিখিতভাবে মত প্রকাশের ক্ষমতা অর্জন করতে হয়;
  • ছাত্রদের বিভিন্ন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দানের এবং গবেষণার সুযোগ দেওয়া হয়;
  • সেনা পরিচালনা ও নেতৃত্ব দান।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও দপ্তরসমূহ"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৯ আগস্ট ২০১৯। ৩১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৯ 
  2. শেখ আমিনুর রহমান (২০১২)। "ডিফেন্স সার্ভিসেস কম্যান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!