শিবগঞ্জ উপজেলার নামকরণ নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়না। তবে এই এলাকার পূর্ব নাম ছিল শেরগঞ্জ। সম্রাট শের শাহের নামানুসারে এই নামকরণ হয়। মতান্তরে, হিন্দু সম্প্রদায় তাদের অন্যতম দেবতা ‘শিব’ এর পূজার জন্য শিবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করে এবং শিবপুজা ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। শিব পুজার ব্যাপকতা বা শিব মন্দিরের প্রচারেই এই এলাকার নাম শেরগঞ্জ থেকে শিবগঞ্জ হয়। শিবগঞ্জ উপজেলার নামকরণ নিয়ে আর একটি জনশ্রুতি রয়েছে, এ অঞ্চলে শিবরঞ্জন মুখোপাধ্যায় নামে একজন প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি বাস করতেন। উক্ত ব্যক্তির প্রভাব প্রতিপত্তি চতূর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে এ অঞ্চল শিবগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে।
জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ৫৯১১৭৮ জন (প্রায়) এর ভিতরে পুরুষ ২৯৫৩৩৮ জন (প্রায়) এবং মহিলা ২৯৫৮৪০ জন (প্রায়)
শিক্ষা
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৩৬টি
বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪টি
জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৫ টি
উচ্চ বিদ্যালয়(সহশিক্ষা ৪৭টি
উচ্চ বিদ্যালয়(বালিকা) ১৯ টি
দাখিল মাদ্রাসা ৪০ টি
আলিম মাদ্রাসা ৫ টি
ফাজিল মাদ্রাসা ৫ টি
কামিল মাদ্রাসা ১টি
কলেজ(সহপাঠ) ১৬টি
কলেজ(বালিকা) ২টি
শিক্ষার হার ৬২.০৭ %
এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
শিবগঞ্জ উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটা বড় অংশ আবর্তিত হয় আম ও আম বাগানকে কেন্দ্র করে। মে মাস হতে জুলাই মাস পর্যন্ত আমকে কেন্দ্র করে সমগ্র শিবগঞ্জ যেন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় জেগে ওঠে। কেউ নিজে চাষ করেন আবার কেউ বাগান মালিক হতে লিজ নিয়ে বাগান পরিচর্যা করে আম উৎপাদন করেন। কানসাটের বিখ্যাত আমের বাজারে আম মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা হতে নানা জাতের আম বেচা কেনা হয়। এক মৌসুমে দেশের এই বৃহৎ আমের বাজারে প্রায় শত কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়।
মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আমকে কেন্দ্র করে শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আমের বাজার চালু হয়। এ সমস্ত বাজারে ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলে। প্রতিটি বাজারে কয়েক মাসের জন্যে গড়ে ওঠে আমের আড়ত। এসমস্ত আড়ত আম কিনে পাঠিয়ে দেয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। হাজার হাজার মানুষ জড়িত হয়ে পড়ে আম ব্যবসার সঙ্গে। যেহেতু আমকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষের সমাবেশ ঘটে সেহেতেু ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যান্য সেক্টর যেমন- রেস্টুরেন্ট, পরিবহন ইত্যাদিতে তেজীভাব পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া আমের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনের আয় উপার্জন ও বেড়ে যায় বিধায় তাদের ক্রয়ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যবসা বাণিজ্যের সকল সেক্টরে। শিবগঞ্জের কানসাট আমের বাজার বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ আমের বাজার। এ বাজার থেকে আম প্রেরণ করা হয় সমগ্র বাংলাদেশে। তাছাড়া শিবগঞ্জ, খাসেরহাট, চামাবাজার, রাণীহাটি প্রভৃতি জায়গায়ও বসে আমের বাজার। মূলত আমের মৌসুমে শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি মোড়ে বসে আমের আড়ত।
স্বাস্থ্য
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১ টি
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৪ টি
বেডের সংখ্যা ৫০ টি
ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ১১ টি
সহকারী নার্স সংখ্যা ১৪ জন
দর্শনীয় স্থান
শিবগঞ্জ উপজেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো:[৩]
আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, বিশিষ্ট ইসলামিক দ্বায়ী।
তথ্যসূত্র
↑বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শিবগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৪।
↑বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ইউনিয়ন সমূহ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
↑"উপজেলার দর্শনীয় স্থান"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫।