সড়ক পথ- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হইতে সম্পূর্ণ পাকা সড়ক পথে ১৯ কি.মি. চলার পর শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ তারপর আবার সড়ক পথে ১১ কি.মি. চলার পর অত্র বিনোদপুর ইউনিয়নে আসা যায়।
নদী পথ- মহানন্দা ও পাগলা নদী পথে অত্র ইউনিয়নে আসা যায়।
প্রশাসনিক এলাকা
বিনোদপুর ইউনিয়নে গ্রামের সংখ্যা ২৩টি, মৌজার সংখ্যা ১২টি।
গ্রামসমূহঃ
সাধারীটোলা
কবিরাজটোলা
এরাদত বিঃ টোলা
জমিনপুর
কালিগঞ্জ
টাপ্পু
রাধানগর
রসুনচক
খোন্দা
একবরপুর
পাঁকাটোলা
আইরামারী
বিশ্বনাথপুর
কিরনগঞ্জ
সাতরশিয়া
লছমানপুর
কামাত
চাঁদশিকারী
ইতিহাস
একসময় লাক্ষার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বর্ধিষ্ণু গ্রাম বিনোদপুরকে বলা হতো ‘সোনার বিনোদপুর’। এখানকার লাক্ষাচাষিদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ঈর্ষা করত আশপাশের গ্রামের লোকজন। নানা গল্প প্রচলিত ছিল বিনোদপুরের লাক্ষাচাষিদের ‘টাকার গরম’ নিয়ে।
বিনোদপুরে চাষিদের দেখাদেখি পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়াতে থাকে লাক্ষার চাষ। চাহিদা বৃদ্ধি ও লাক্ষার অপার সম্ভাবনা দেখে ১৯৬১ সালে কৃষি বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০ বিঘা জমির ওপর লাক্ষা বীজের খামার স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৫ সালে স্থাপন করে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্র। কিন্তু চারপাশে আমবাগানে কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি ও লাক্ষা বিপণনের ক্ষেত্রে চোরাচালানের অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে চাষি হয়রানির কারণে ক্রমে লাক্ষা হারিয়ে যায় বিনোদপুর থেকে। হারিয়ে যায় লাক্ষার সোনালি দিন।
১৯৭১ এ বিনোদপুরের রয়েছে এক স্বর্ণজ্জল ইতিহাস। এই এলাকার অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাগণ যেভাবে পাক হানাদার দের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন জাতি তা মনে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমজাদ হোসেন (বিডিয়ার) ও লালূ মহাম্মদ এর মুক্তিযুদ্ধে অসীম সহসিকতার কাহিনী গুলো আজও মানুষের মুখে মুখে কিংবদন্তির মত ছড়িয়ে রয়েছে।