^ ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯২৫ থেকে ১৯৩৫ পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বে এটি দাপ্তরিকভাবে রাজতন্ত্রী পারস্য রাষ্ট্র নামে পরিচিত ছিল।
পহলভি ইরান বা দাপ্তরিকভাবে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্রী পারস্য ও তারপরে রাজতন্ত্রী ইরান[৪] ১৯২৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পহলভি রাজবংশের শাসনাধীন ইরানীয় রাষ্ট্র ছিল।
কাজার রাজবংশের হয়ে ইরানের শেষ শাসক আহমদ শাহ কাজার যুক্তরাজ্য ও সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর সীমাবদ্ধতা বন্ধ করতে অক্ষম প্রমাণিত হওয়ার পর পহলভিরা ক্ষমতায় আসে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে ও ফ্রান্সে থাকাকালীন সংসদে ক্ষমতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অপসারণ করা হয়। ইরানের মজলিশ ১২ ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে একটি গণপরিষদ হিসেবে অধিবেশন আহবান করে যুবক আহমদ শাহ কাজারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রেজা শাহকে পারস্য সাম্রাজ্যের নতুন শাহ হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯৩৫ সালে রেজা শাহ বিদেশী প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রে দেশটিকে সম্বোধন করার সময় পারস্য নামটির পরিবর্তে ইরান নাম ব্যবহার করতে বলেন।
১৯৫৩ সালে সংঘটিত যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইরানি অভ্যুত্থানের পরে মোহাম্মদ রেজা পহলভির শাসন আরও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে ও স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমা ব্লকের সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হয়। বৈদেশিক নীতির এই পুনর্বিন্যাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে দেশটি সোভিয়েত মতাদর্শগত সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে একটি বাঁধা হিসেবে কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়ে ওঠে, এটি শাহকে এযাবৎকালের নজিরবিহীন আর্থ-সামাজিক কর্মসূচী কার্যকর করার জন্য রাজনৈতিক রসদ দেয় যা শ্বেত বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের জীবনের সব দিক থেকে পরিবর্তন আনে। ফলস্বরূপ, স্বাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান সহ সমস্ত সূচকে ইরান অসাধারণ সাফল্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে। যাইহোক, ১৯৭৮ সালের মধ্যে শাহ ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের সম্মুখীন হন যেটি ধর্মীয় নেতা রুহুল্লাহ খোমেইনীর নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ জনপ্রিয় বিপ্লবী আন্দোলনে পরিণত হয়। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে মোহাম্মদ রেজা পহলভি তার নিজ পরিবারের সাথে নির্বাসনে চলে যাওয়ার ঘটনা এমন একটি ধারাবাহিক ঘটনার জন্ম দেয় যা দ্রুত রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায় ও ৩১ মার্চ ১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮০ সালে মোহাম্মদ রেজা পহলভির মৃত্যুর পর তার পুত্র রেজা পহলভি এখন নির্বাসিত পরিবারের সিংহাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।[৬]