সাসানীয় সাম্রাজ্য
|
---|
|
৬১০ সালে সসনিয়ন সাম্রাজ্য, যা ছিল এর সর্বোচ্চ বিস্তার। হালকা রঙে চিহ্নিত এলাকাটি (ফ্রিগিয়া/লিডিয়া) সসনিয়ন সামরিক শক্তির অধীন ছিল। |
রাজধানী | আর্দাশির-খোয়ার্রহ (প্রাচীন) তিসফুন |
---|
প্রচলিত ভাষা | মধ্য ফার্সি |
---|
ধর্ম | জরাথুস্ট্রবাদ (রাষ্ট্রীয় ধর্ম)। এছাড়া ইহুদী ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম। |
---|
সরকার | Monarchy |
---|
শাহানশাহ | |
---|
|
• ২২৬-২৪১ | ১ম আর্দাশির |
---|
• ৬৩২-৬৫১ | ৩য় ইয়াজদেগের্দ |
---|
|
ইতিহাস | |
---|
|
• প্রতিষ্ঠা | ২২৬ |
---|
• ইসলামের বিজয়ের সময় আরব আক্রমণে | ৬৫১ |
---|
|
|
৫৫০ | ৩৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৪,০০,০০০ বর্গমাইল) |
---|
|
সাসানীয় সাম্রাজ্য বা সসনিয়ন সাম্রাজ্য (ফার্সি: ساسانیان; আ-ধ্ব-ব: [sɒsɒnijɒn]) ইরানে ইসলামের আগমনের পূর্বে সেখানকার সর্বশেষ সাম্রাজ্য। প্রায় ৪০০ বছর ধরে এটি পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপের দুইটি প্রধান শক্তির একটি ছিল।[২] প্রথম অর্ধশির পার্থীয় রাজা আর্দাভনকে পরাজিত করে সসনিয়ন রাজবংশের পত্তন করেন। ইসলামের আরব খলিফাদের কাছে শেষ সসনিয়ান রাজা শাহানশাহ ৩য় ইয়াজদেগের্দের পরাজয়ের মাধ্যমে সসনিয়ন সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটে। সসনিয়ন সাম্রাজ্যের অধীনস্থ এলাকার মধ্যে ছিল বর্তমান ইরান, ইরাক, আর্মেনিয়া, দক্ষিণ ককেসাস, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্য এশিয়া, পশ্চিম আফগানিস্তান, তুরস্কের ও সিরিয়ার অংশবিশেষ, পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ এবং আরব উপদ্বীপের কিছু উপকূলীয় এলাকা। সসনিয়নরা তাদের সাম্রাজ্যকে "এরানশাহ্র" অর্থাৎ "ইরানীয় সাম্রাজ্য" বলে ডাকত। [৩].
সসনিয়নদের সাংস্কৃতিক প্রভাব সাম্রাজ্যের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে চতুর্দিকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে ইসলামের ইরান বিজয়ের পর সসনিয়নদের সময়ে প্রচলিত সংস্কৃতি, স্থাপত্য, লিখনপদ্ধতি, ইত্যাদি পরে ইসলামী সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও লিখনপদ্ধতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ Khaleghi-Motlagh, Derafš-e Kāvīān ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে
- ↑ ""Sasanian Dynasty" Encyclopedia Iranica"। ৯ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ "See"। ১১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৯।