২০১৩ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট এ ক্রিকেট খেলছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উপর্যুপরি ২৫০ ও ২৮২ রান করেন। এছাড়াও, নিজস্ব ১০ম খেলায় সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান তোলেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনটি দ্বি-শতক রান করেছেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট
২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ২০১৩-১৪ মৌসুমে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুইবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এপ্রিল, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারদিনের দুইখেলার সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম খেলায় ১০৭ ও দ্বিতীয় খেলায় ৭৪ করেন। এর অব্যবহিত পরই পাঁচ খেলার সীমিত ওভারে দুইশতাধিক রান তোলেন। তন্মধ্যে, তৃতীয় খেলায় ৯৮ তোলে বাংলাদেশকে এক উইকেটের নাটকীয় বিজয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।[১] ঐ বছরে ইংল্যান্ডেও তিনি চমকপ্রদ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী অব্যাহত রাখেন।[২]ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে ১১৩ বলে অপরাজিত ১১০* ও ১০ ওভারে ৩/৩৮ লাভ করে ৩৮ রানের বিজয় এনে দেন।[৩]
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেয়ার জন্য ১৩-সদস্যের তালিকা ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে প্রকাশ করা হয়। এতে ক্যাপবিহীন অবস্থায় তাকেও অন্যতম সদস্য মনোনীত করা হয়।[৬] ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশের ১১৯তম ওডিআই ক্রিকেটার হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাছ থেকে ক্যাপ গ্রহণ করেন ও ঐদিনই আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের ২য় ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার।[৭] প্রথম ইনিংসে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ বলের মোকাবেলায় মহামূল্যবান ও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান তোলেন। এরপর বোলিংয়ে নেমে প্রথম বলেইহাশমতউল্লাহ শহীদিরউইকেট তুলে নেন।[৮] নির্ধারিত ১০ ওভারে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ২/৩১। এছাড়াও একটি ক্যাচ নেন তিনি। এ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ দল ২ উইকেটে পরাজিত হয়।