নির্মলজীবন হুগলির ধামসিন এর বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতার নাম যামিনীজীবন ঘোষ। মেদিনীপুর কলেজের আই.এ. ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি গোপন বিপ্লবী বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগ দেন।[৩] অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে গুলি করার ব্যাপারে জড়িত ছিলেন। এই ষড়যন্ত্র ও হত্যার অভিযোগে বিচারে তার প্রাণদণ্ড হয়। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনি ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।[১]
বার্জ হত্যাকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।[৪] নির্মলজীবনের ভাই নবজীবন ঘোষও জেলের ভেতর পুলিশি অত্যাচারে প্রাণ দেন।
তথ্যসূত্র
↑ কখসুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৬৫, আইএসবিএন৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬