কাল্পনিক মহাদেশ ওয়েস্টরস ও এসস-এর পটভূমিতে আবর্তিত গল্পে গেম অব থ্রোনস-এর কয়েকটি কাহিনিসূত্র ও বিশাল সংখ্যক কুশীলব রয়েছে, তবে এতে তিনটি প্রধান গল্প আবর্তিত হয়েছে। প্রথমটি সাত রাজ্যের লৌহ সিংহাসন, যেখানে রয়েছে দখল বা এর থেকে স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে কয়েকটি অভিজাত রাজ্যবংশের মধ্যে মৈত্রী ও দ্বন্দ্বের গল্প। দ্বিতীয় গল্পটি সর্বশেষ শাসনকারী রাজবংশের শেষ উত্তরসূরিকে কেন্দ্র করে, যাকে নির্বাসিত করা হয় এবং সে সিংহাসন দখল করতে বদ্ধপরিকর। তৃতীয় গল্পে রয়েছে নাইট্স ওয়াচ, একটি দীর্ঘকালস্থায়ী ভ্রাতৃত্ব যারা দেয়ালের উত্তরের বন্য মানুষ ও কিংবদন্তি প্রাচীন জীবদের হুমকির হাত থেকে এই রাজসিংহাসনকে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত।
গেম অব থ্রোনসএইচবিও চ্যানেলে রেকর্ড সংখ্যক দর্শককে আকৃষ্ট করতে পেরেছে এবং এর বিস্তৃত, সক্রিয় ও আন্তর্জাতিক ভক্তকুল রয়েছে। সমালোচকগণ এর প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে এর অভিনয়, জটিল চরিত্রাবলি, গল্প, ব্যপ্তি ও নির্মাণ গুণের জন্য, যদিও এর প্রায়ই নগ্নতা ও সহিংসতার (যৌন সহিংসতা-সহ) জন্য এটি সমালোচিত হয়েছে। ধারাবাহিকটি ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি সেরা নাট্যধর্মী ধারাবাহিক বিভাগে পুরস্কারসহ ৪৭টি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার লাভ করে, যা প্রাইম টাইমে (রাতে) প্রচারিত অন্য যে কোন টেলিভিশন ধারাবাহিকের চেয়ে বেশি। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ নাট্যধর্মী উপস্থাপনার জন্য ২০১২ থেকে ২০১৪ সালে তিনটি হ্যুগো পুরস্কার, ২০১১ সালে একটি পিবডি পুরস্কার। এছাড়া ২০১২ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে ধারাবাহিকটি চারবার শ্রেষ্ঠ নাট্য টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।
গেম অব থ্রোনস ধারাবাহিকটি আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার অবলম্বনে নির্মিত।[৪][৫] কাল্পনিক ওয়েস্টেরস মহাদেশের সাত রাজ্যে এবং এসোস মহাদেশে এর ঘটনাবলি সংগঠিত হয়। ধারাবাহিকটিতে কয়েকটি অভিজাত পরিবারের মধ্যে লৌহ সিংহাসন দখলের ও অন্যান্য পরিবারসমূহের এই সিংহাসনের প্রভাব থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য লড়াই দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে আরেকটি বড় ধরনের হুমকি হল বরফাচ্ছন্ন উত্তরাংশ ও পূর্বে এসোস মহাদেশ।[৬]
ধারাবাহিকটির নির্মাতাদের একজন ডেভিড বেনিওফ জাদু ও ড্রাগন সংবলিত কল্পনাধর্মী পটভূমিতে এর দৃশ্যপট ও গম্ভীর বর্ণনার জন্য কৌতুক করে গেম অব থ্রোনস''-এর ট্যাগলাইন "মধ্য-পৃথিবীর দ্য সোপরানোস" বলে উল্লেখ করেন।[৭] ২০১২ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ৪০টি সাম্প্রতিক টিভি অনুষ্ঠানের মধ্যে গড়ে ১৪টি মৃত্যু নিয়ে গেম অব থ্রোনস প্রতি পর্বে মৃত্যুর দিক থেকে র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয়।[৮]
বিষয়বস্তু
ধারাবাহিকটি মূলত এতে প্রদর্শিত মধ্যযুগীয় বাস্তবতার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।[৯][১০]জর্জ আর. আর. মার্টিন গল্পটিতে জাদু ও জাদুকর সংবলিত সমকালীন কল্পনাধর্মী গল্পের চেয়ে যুদ্ধ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও চরিত্র সংবলিত ঐতিহাসিক কল্পকাহিনি হিসেবে রূপ দান করেন। তিনি মনে করেন মহাকাব্যিক কল্পনাধর্মী ধারায় জাদুর পরিমিত ব্যবহার থাকা উচিত।[১১][১২][১৩] মার্টিন বলেন "মানব সভ্যতার ইতিহাসে সত্যিকারের ভয়ের কারণ ওর্ক বা অন্ধকার নয়, বরং আমরা নিজেরাই।"[১৪]
কল্পনাধর্মী ধারার একটি সাধারণ বিষয়বস্তু হল ভালো ও মন্দের দ্বন্দ্ব। মার্টিন বলেন এটা বাস্তব জীবনের অবস্থা তুলে ধরে না।[১৫] বাস্তব জীবনের ব্যক্তি-বিশেষের ভালো ও মন্দের সামর্থের সাথে মিল রেখে মার্টিন এ থেকে মুক্তির পথ খুঁজেছেন এবং চরিত্রের পরিবর্তন এনেছেন।[১৬] এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের বিভিন্ন চরিত্রাবলি তাদের নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দিয়েছে এবং যাদের খল চরিত্রে ভাবা হচ্ছে তাদেরকেও তার দিক স্পষ্ট করার সুযোগ দিয়েছে।[১৩][১৭] নির্মাতা বেনিওফ বলেন, "জর্জ এতে তিক্ত বাস্তবতা থেকে শুরু করে উচ্চমাত্রার কল্পনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি সাদাকালো পৃথিবীতে ধূসর সুরের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।[১৩]
প্রথমদিকের মৌসুমগুলোতের আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার বই হতে অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েকটি মূল চরিত্রকে নিয়মিতভাবে মেরে ফেলা হত, এবং একে দর্শকের মাঝে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করা হয়।[১৮] পরের মৌসুমগুলোতে সমালোচকগণ দেখেন যে নির্দিষ্ট কিছু চরিত্র "প্লট আর্মার" সৃষ্টি করেছে, যা এই ধারাবাহিকটিকে প্রচলিত অন্যান্য ধারাবাহিক থেকে বেশি কিছু করে তুলেছে।[১৮] এছাড়া ধারাবাহিকটিতে যুদ্ধে প্রচুর পরিমাণ মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।[১৯][২০]
অনুপ্রেরণা ও পরিবর্তন
প্রথম মৌসুমটি প্রথম উপন্যাসের ঘটনাবলি অনুসারে নির্মিত হলেও পরের মৌসুমগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ডেভিড বেনিওফের মতে, এই ধারাবাহিকটি হল মূল সম্পূর্ণ উপন্যাস ধারাবাহিকের উপযোগকরণ এবং জর্জ আমাদের জন্য যে মানচিত্র তৈরি করে দিয়েছে তার অনুসরণ এবং প্রধানতম মাইলফলকগুলো ছোঁয়া; কিন্তু যাত্রাপথের সকল যাত্রাবিরতিতে থামা নয়।"[২১]
উপন্যাসগুলো ও তাদের উপযোগকরণে ইউরোপীয় ইতিহাসের দৃশ্যপট, চরিত্র ও ঘটনার দৃশ্যাবলিকে মূলভিত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে।[২২] ওয়েস্টরসের বেশিরভাগ অংশই হল মধ্যযুগীয় ইউরোপের ধ্বংসাবশেষ, ভূমি ও সংস্কৃতি[২৩] থেকে শুরু করে রাজপ্রাসাদ-অভ্যন্তরের ষড়যন্ত্র, সামন্তবাদ, দুর্গ, ও নাইটদের টুর্নামেন্ট। উপন্যাসগুলোর প্রধান অনুপ্রেরণা হল ল্যাঙ্কেস্টার ও ইয়র্ক পরিবারের মধ্যে ওয়ার অব দ্য রোজেস খ্যাত গৃহযুদ্ধসমূহ (১৪৫৫-৮৫),[২৪] যা মার্টিনের উপন্যাসে ল্যানিস্টার ও স্টার্ক পরিবার হিসেবে দেখানো হয়েছে। সার্সি ল্যানিস্টার "ফ্রান্সের শি-উল্ফ" খ্যাত ইজাবেলার (১২৯৫-১৩৫৮) সাথে তুলনীয়;[২২] এছাড়া ফরাসি ঔপন্যাসিক মরিস দ্র্যুওঁর ঐতিহাসিক উপন্যাস ধারাবাহিক দি অ্যাকার্সড কিংস-এ উল্লেখিত ইজাবেলা ও তার পরিবার মার্টিনের প্রধান অনুপ্রেরণা।[২৫]
অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাবলির মধ্যে রয়েছে হাদ্রিয়ানের দেয়াল (যা মার্টিনের দেয়াল), রোমান সাম্রাজ্য, আটলান্টিসের কিংবদন্তি (প্রাচীন ভ্যালিরিয়া), বাইজেন্টাইন গ্রিক অগ্নিকাণ্ড (বন্যআগুন), ভাইকিং যুগে আইসল্যান্ডীয় বীরদের বীরত্বগাথা (আয়রনবর্ন), মোঙ্গল উপদল (ডথোরাকি), শতবর্ষের যুদ্ধ, এবং ইতালীয় রেনেসাঁস।[২২] এই সকল উপাদানকে বিপরীত ইতিহাসের একটি নিখাদ ও বিশ্বাসযোগ্য সংস্করণ নির্মাণে মার্টিনের দক্ষতা ফলেই এই ধারাবাহিকটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২২]
গেম অব থ্রোনস ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রসমূহ হল টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রধান চরিত্র।[২৬] ২০১৪ সালে কয়েকজন অভিনয়শিল্পীর চুক্তি সপ্তম মৌসুম পর্যন্ত পুনঃনবায়ন করা হয়।[২৭] শেষ মৌসুমে প্রধান অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে পাঁচজন প্রতি পর্বে $১ মিলিয়ন করে পারিশ্রমিক নেন, যার ফলে তারা সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা টেলিভিশন অভিনয়শিল্পী হয়ে ওঠেন।[২৮][২৯]
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ডেভিড বেনিওফজর্জ আর. আর. মার্টিনের সাহিত্য প্রতিনিধির সাথে তার প্রতিনিধিত্ব করা বই সম্পর্কে ফোনে কথা বলেন এবং আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার ধারাবাহিক নিয়ে আগ্রহ প্রদর্শন করেন। যদিও কৈশোরে তিনি কল্পকাহিনির ভক্ত ছিলেন, তিনি তখনো বইটি পড়েননি। সাহিত্য প্রতিনিধি তাকে এই ধারাবাহিকের প্রথম চারটি বই প্রেরণ করেন।[৩১] বেনিওফ প্রথম উপন্যাস আ গেম অব থ্রোনস-এর কয়েকশ পাতা পড়ে ডি. ডব্লিউ. ওয়েসের সাথে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন এবং মার্টিনের এই উপন্যাসগুলো নিয়ে একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মাণের কথা বলেন। ওয়েস প্রথম উপন্যাসটি "সম্ভবত ৩৬ ঘণ্টা" সময়ে শেষ করেন।[৩২] তারা মার্টিনের সাথে সান্তা মনিকার বুলেভারে এক রেস্তোরাঁয় বসে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনার পর এইচবিওর কাছে একটি ধারাবাহিক নির্মাণের চিত্রনাট্য উপস্থাপন করে। বেনিওফের মনে করেন, "জন স্নোর মা কে?" এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারায় তারা মার্টিনের নিকট থেকে ইতিবাচক সাড়া পান।[৩৩]
অভিনয়শিল্পী নির্বাচন
নিনা গোল্ড ও রবার্ট স্টার্ন এই ধারাবাহিকের প্রাথমিক অভিনয়শিল্পী নির্বাচনকারী।[৩৪] অডিশন ও পঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূল অভিনয়শিল্পীদের নির্বাচন করা হয়। ব্যতিক্রম ছিলেন পিটার ডিংকলেজ ও শন বিন, লেখক নিজেই শুরু থেকে তাদের চেয়েছিলেন; ২০০৯ সালে এই প্রকল্পে তাদের যোগদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।[৩৫][৩৬] এই প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষরকারী অন্য অভিনয়শিল্পীগণ ছিলেন জন স্নো চরিত্রে কিট হ্যারিংটন, জফ্রি ব্যারাথিয়ন চরিত্রে জ্যাক গ্লিসন, ভিসেরিস টার্গেরিয়ান চরিত্রে হ্যারি লয়েড এবং রবার্ট ব্যারাথিয়ন চরিত্রে মার্ক অ্যাডি।[৩৬][৩৭] নির্মাতাদ্বয় বেনিওফ ও ওয়েসের মতে এই ধারাবাহিকের জন্য নির্বাচিত প্রথম অভিনয়শিল্পী ছিলেন অ্যাডি, তার অডিশন তারা যেমন চেয়েছিলেন তেমনই হয়েছিল।[৩৮] প্রথম মৌসুমে কয়েকটি চরিত্রের জন্য পুনরায় নতুন অভিনয়শিল্পী নেওয়া হয়। শুরুতে ক্যাটলিন স্টার্ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জেনিফার এল, কিন্তু পরে মিশেল ফেয়ারলিকে এই চরিত্রের জন্য নেওয়া হয়।[৩৯]ড্যানেরিস টার্গেরিয়ান চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ট্যামজিন মার্চেন্ট, পরে এমিলিয়া ক্লার্ক এই চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪০][৪১] প্রথম মৌসুমের বাকি অভিনয়শিল্পীদের ২০০৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নির্বাচন করা হয়।[৪২]
লেখনী
গেম অব থ্রোনস-এ ছয়টি মৌসুমে সাতজন লেখক কাজ করেছেন। ধারাবাহিকটির নির্মাতা ডেভিড বেনিওফ ও ডি. বি. ওয়েস প্রতি মৌসুমের বেশিরভাগ পর্বের চিত্রনাট্য লিখেছেন।[৪৩]আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার-এর লেখক জর্জ আর. আর. মার্টিন প্রথম চার মৌসুমের প্রতি মৌসুমে একটি পর্বের চিত্রনাট্য লিখেছেন। মার্টিন পরবর্তী মৌসুমগুলোর চিত্রনাট্য রচনা করেননি, বরং তিনি এই ধারাবাহিকের ষষ্ঠ উপন্যাস (দ্য উইন্ডস অব উইন্টার) রচনা সম্পন্ন করায় মনোযোগ দেন।[৪৪] জেন এস্পেনসন ফ্রিল্যান্স লেখক হিসেবে যৌথভাবে প্রথম মৌসুমের একটি পর্বের চিত্রনাট্য লিখেছেন।[৪৫]
ব্রায়ান কগম্যান শুরুতে এই ধারাবাহিকে পাণ্ডুলিপির সমন্বয়ক ছিলেন[৪৫] এবং পঞ্চম মৌসুমে প্রযোজক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। কগম্যান প্রথম পাঁচটি মৌসুমে একটি করে পর্বের চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং তিনি বেনিওফ ও ওয়েসের সাথে লেখকদের কক্ষের একমাত্র ব্যক্তি। প্রযোজক হওয়ার পূর্বে ভানেসা টেলর, যিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় মৌসুমে লেখক ছিলেন, বেনিওফ ও ওয়েসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। ডেভ হিল বেনিওফ ও ওয়েসের সহকারী হিসেবে কাজ করার পর পঞ্চম মৌসুম থেকে লেখক দলের সাথে যোগ দেন।[৪৬] যদিও মার্টিন লেখকদের কক্ষে ছিলেন না, তবে তিনি চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি পড়তেন এবং তাতে মন্তব্য করতেন।[৪৩]
উপযোগকরণ সময়সূচি
প্রথম তিনটি মৌসুমে মার্টিনের আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার ধারাবাহিকের প্রায় ১,৯৮০ পৃষ্ঠা ধারাবাহিকে উপযোগ করা হয়, ফলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ৪৮ সেকেন্ড পর্দা সময় বরাদ্দ ছিল।[৪৭] যখন গেম অব থ্রোনস ষষ্ঠ মৌসুমের পর প্রকাশিত উপন্যাসগুলোকে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে ধারাবাহিকটি মার্টিন কর্তৃক রচিত ভবিষ্যৎ উপন্যাসগুলোর গল্পের রূপরেখা[৪৮] ও মূল বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে নির্মিত হয়ে থাকে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাতাগণ ষষ্ঠ মৌসুমের পর আরও ১৩টি পর্বের চিত্রায়ন করার পরিকল্পনা করেন, তন্মধ্যে সপ্তম মৌসুমের সাতটি পর্ব ও অষ্টম মৌসুমের আটটি পর্ব থাকবে।[৪৯] এই মাসের শেষের দিকে ধারাবাহিকটির সাত-পর্ব বিশিষ্ট সপ্তম মৌসুমের কাজ শুরু হয়।[৫০][৫১] অষ্টম মৌসুমের চিত্রায়ন হয়।
গেম অব থ্রোনস-এর প্রতি দশ পর্বের মৌসুমে চার থেকে ছয়জন পরিচালক ছিলেন, যারা পরপর একাধিক পর্ব পরিচালনা করেছেন। অ্যালান টেলর সর্বাধিক সাতটি পর্ব পরিচালনা করেছেন। আলেক্স গ্রেভস, ডেভিড নাটার, মার্ক মাইলড, ও জেরেমি পোডেসওয়া ছয়টি করে পর্ব পরিচালনা করেছেন। ড্যানিয়েল মিনাহান পাঁচটি এবং মিশেল ম্যাকলারেন, আলিক সাখারভ, ও মিগেল সাপোচনিক চারটি করে পর্ব পরিচালনা করেছেন। ব্রায়ান কার্ক প্রথম মৌসুমের তিনটি পর্ব পরিচালনা করেছেন এবং টিম ভ্যান প্যাটেন এই ধারাবাহিকের প্রথম দুটি পর্ব পরিচালনা করেছেন। নিল মার্শাল দুটি যুদ্ধের পর্ব, ব্ল্যাকওয়াটার ও দ্য ওয়াচারস অন দ্য ওয়াল পরিচালনা করেছেন। অন্য পরিচালকগণ হলেন জ্যাক বেন্ডার, ডেভিড পেট্রারচা, ড্যানিয়েল স্যাকেইম, মাইকেল স্লোভিস, ও ম্যাট শ্যাকম্যান।[৭৪] ডেভিড বেনিওফ ও ডি. বি. ওয়েস যৌথভাবে দুটি পর্ব পরিচালনা করেছেন, কিন্তু টসের ভিত্তিতে দুটি পর্বে আলাদা ভাবে একজনের নাম দেখানো হয়েছে।[৩০][৪৬]
প্রযুক্তিগত বিষয়াদি
আলিক শাখারভ এই ধারাবাহিকটির চিত্রগ্রাহক। এছাড়া আরও কয়েকজন চিত্রগ্রাহক ছিলেন[৭৫] এবং একক-ক্যামেরা ধারাবাহিকের জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক বিভাগে সাতটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন।[৭৬]
ওরাল নোরি ওটি, ফ্রান্সেস পার্কার, মার্টিন নিকোলসন, ক্রিস্পিন গ্রিন, টিম পোর্টার ও ক্যাটি ওয়েল্যান্ড এই ধারাবাহিকটির বিভিন্ন পর্ব সম্পাদনা করেন। ওয়েল্যান্ড ২০১৫ সালে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা একক-ক্যামেরা চিত্রসম্পাদনা বিভাগে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার লাভ করেন।[৭৬]
পোশাক-পরিচ্ছদ
গেম অব থ্রোনস-এর প্রথম পাঁচ মৌসুমের পোশাক পরিকল্পনাকারী ছিলেন মিশেল ক্ল্যাপটন। পরে এপ্রিল ফেরি তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৭৭] ক্ল্যাপটন সপ্তম মৌসুমে পুনরায় পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে ফিরে আসেন।[৭৮]
এই ধারাবাহিকে ব্যবহৃত পোশাকগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে অনুপ্রাণিত, যেমন জাপানি ও পার্সি বর্ম। ডথরাকিদের পোশাকগুলো বেদুইনদের পোশাকের মত দেখতে এবং ওয়াইল্ডলিংরা ইনুইতদের মত পশুর চামড়া পড়ে।[৭৯] ওয়াইল্ডলিংদের হাড়ের বর্মগুলো আসল হাড়ের ছাঁচে নির্মিত এবং স্ট্রিং ও রবারের নির্যাসের মত তারযুক্ত।[৮০] যদিও ওয়াইল্ডলিং ও নাইট্স ওয়াচের অতিরিক্ত শিল্পীদের টুপি (হ্যাট) পড়তে দেখা গেছে, মূল অভিনয়শিল্পীরা তা পড়েননি। বিয়োর্কের আলেকজান্ডার ম্যাকুইনের উচ্চ-গলার পোশাকগুলো থেকে মার্জারি টাইরেলের গলাওয়ালা পোশাকগুলো অনুপ্রাণিত এবং যৌনকর্মীদের পোশাকগুলো সহজে খোলা যায় এমনভাবে নকশা করা হয়েছে।[৭৯] সকল পোশাকই দুই সপ্তাহ পড়ার পর ব্যবহৃত হয়েছে, যেন তা উচ্চ-ডেফিনিশন টেলিভিশনে অকৃত্তিম দেখায়।[৮০]
অভিনেত্রীদের জন্য প্রায় দুই ডজন পরচুলা ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষের চুল দিয়ে তৈরি ও প্রায় দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা প্রতিটি পরচুলাগুলোতে ব্যয় হয় ৭,০০০ মার্কিন ডলার এবং তা আসল ধৌত করা ও সজ্জিত করা হয়। এই পরচুলাগুলো ব্যবহারও সময় সাপেক্ষ ছিল; এমিলিয়া ক্লার্কের প্লাটিনাম-ব্লন্ডি পরচুলা ও বিনুনিযুক্ত ব্রুনেত্তে চুল সাজাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগত। অন্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে জ্যাক গ্লিসন ও সোফি টার্নারকে প্রায়ই চুলে রং করাতে হত। ড্যানেরিস ও তার ডথরাকি দলের চরিত্রগুলোর পরচুলা ও পোশাকগুলো এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হত যেন মনে হয় সেগুলো সপ্তাহ যাবত ধোয়া হয়নি।[৭৯]
রূপসজ্জা
প্রথম তিন মৌসুমে পল ইঙ্গেলেন গেম অব থ্রোনস-এর প্রধান রূপসজ্জা পরিকল্পনাকারী ও রূপসজ্জাকর ছিলেন। তার সহকর্মী ছিলেন মেলিস ল্যাকারস্টিন, কনর ওসুলিভার ও রব ট্রেনটন। চতুর্থ মৌসুমের শুরুতে ইঙ্গেলেনের দলের স্থলাভিষিক্ত হন জেন ওয়াকার ও তার দল। তার দলে রয়েছেন অ্যান ম্যাকইউয়ান, এবং ব্যারি ও সারাহ গোয়ার।[৮১]
শব্দ
একটি শব্দ পরিকল্পনাকারী দল পূর্ণ একটি মৌসুমের দায়িত্ব পেতেন এবং দশ ঘণ্টার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মত তা নিয়ে কাজ করতেন, যা কোন টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য অস্বাভাবিক। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় মৌসুমে দুটি ভিন্ন শব্দ পরিকল্পনাকারী দল ছিল, তখন থেকে একটি দলই শব্দ পরিকল্পনার দায়িত্বে রত।[৮২] ধারাবাহিকটির রক্তপাতের শব্দের জন্য দলটি প্রায়ই চামোইস ব্যবহার করে থাকে। ড্রাগনদের চিৎকারের জন্য কচ্ছপ, ডলফিন, সিল, সিং ও পাখির মিলনরত অবস্থার শব্দ ব্যবহার করা হয়।[৮৩]
শিরোনাম পর্যায়ক্রম
এইচবিও'র জন্য এই ধারাবাহিকটির শিরোনামের পর্যায়ক্রম নকশা করেছে প্রযোজনা স্টুডিও ইলাস্টিক। সৃজনশীল পরিচালক অ্যাঙ্গাস ওয়াল ও তার সহকর্মীরা ২০১১ সালে মূল শিরোনাম নকশার জন্য প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৮৪] শিরোনামের পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকটির কাল্পনিক জগতের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র দেখানো হয়। একটি গোলকের মধ্যে মানচিত্রটি দেখানো হয় যার কেন্দ্রে ছোট একটি আলোকোজ্জ্বল সূর্য দেখা যায়।[৮৫] মানচিত্রের চতুর্পার্শ্বে ক্যামেরার নড়াচড়ার সাথে প্রতিটি পর্বের ঘটনাবলির স্থান, ঘড়ির কার্যকর অংশসমূহের একত্রে পাকিয়ে যাওয়া, এবং মানচিত্র থেকে দালান ও অন্যান্য স্থাপনাগুলো দেখতে পাওয়া যায়। শীর্ষ সঙ্গীতের সাথে প্রধান কুশীলব ও সৃজনশীল কলাকুশলীদের নাম দেখানো হয়। শিরোনাম ফলক ও সংক্ষিপ্তভাবে পর্বের লেখক ও পরিচালকদের নাম দেখানোর এই দৃশ্যক্রম সমাপ্ত হতে সময় নেয় ৯০ সেকেন্ড। নতুন পর্বের গল্প অগ্রগতির মধ্য দিয়ে এই ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমের পরিবর্তন হয় এবং অনুল্লেখ্য বা একেবারেই উল্লেখযোগ্য নয় এমন স্থানের স্থলে নতুন স্থান দেখানো হয়।[৮৫][৮৬]এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি এই শিরোনামের পর্যায়ক্রমকে টেলিভিশনের অন্যতম সেরা বলে অভিহিত করে লিখে, "এটি ওয়েস্টরসের সবর্ব্যাপী প্রমোদভ্রমণ।"[৮৭]
সঙ্গীত
ধারাবাহিকটির সঙ্গীতের সুর করেছেন রামিন জাওয়াদি। প্রথম মৌসুমের সঙ্গীত রচিত হয় টেলিভিশনে প্রথম প্রদর্শনের প্রায় দশ সপ্তাহ আগে,[৮৮] এবং ভ্যারেস সারাবান্দে ২০১১ সালের জুনে তা প্রকাশ করে।[৮৯] পরবর্তী মৌসুমগুলোর সঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশ করে ন্যাশনাল, হোল্ড স্টিডি, ও সিগুর রস।[৯০] জাওয়াদি সকল বড় পরিবারগুলোর এবং কয়েকটি মূল চরিত্রেরও আবহ সঙ্গীতের সুরারোপ করেন।[৯১] আবহ সঙ্গীতগুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে, যেমন ড্যানেরিস টার্গেরিয়ানের আবহ সঙ্গীত শুরুতে অল্প ছিল এবং প্রতি মৌসুমে তার আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। শুরুতে তার আবহ সঙ্গীতগুলো একক বাদ্যযন্ত্র দিয়ে শুরু হত এবং পরে জাওয়াদি এতে আরও বাদ্যযন্ত্র যোগ করেন।[৯১]
ভাষা
গেম অব থ্রোনস-এর ওয়েস্টরসি চরিত্রগুলো ব্রিটিশ ইংরেজি বাচনভঙ্গিতে কথা বলে, এবং চরিত্রগুলোর ওয়েস্টরসি অঞ্চল অনুযায়ী ইংরেজ বিভিন্ন অঞ্চলের বাচনভঙ্গিতে কথা বলতে দেখা যায়। উত্তরাংশের এডার্ড স্টার্ক চরিত্রে অভিনয় করা শন বিন তার নিজের উত্তরের বাচনভঙ্গিতে কথা বলেন, এবং দক্ষিণাংশের টাইউইন ল্যানিস্টার দক্ষিণের বাচনভঙ্গিতে কথা বলেন, অন্যদিকে ডর্নের চরিত্রগুলো স্পেনীয় ভঙ্গিতে ইংরেজি বলে থাকেন।[৯২][৯৩] ওয়েস্টরসের বাইরের চরিত্রগুলো অ-ব্রিটিশ বাচনভঙ্গিতে কথা বলে থাকে।[৯৪]
যদিও ওয়েস্টরসের সাধারণ ভাষা ইংরেজি হিসেবে দেখানো হয়েছে, প্রযোজক উপন্যাসগুলোর কয়েকটি শব্দের ভিত্তিতে ডথরাকি ও ভ্যালেরীয় ভাষা তৈরির জন্য ভাষাবিদ ডেভিড জে. পিটারসনকে নিয়োগ দেন।[৯৫] ডথরাকি ও ভ্যালেরীয় সংলাপগুলোতে প্রায়ই ইংরেজি আন্তঃভাষ্য দেখা যায়।[৯৬]
মূল্যায়ন
গেম অব থ্রোনস শুরুর পূর্বে থেকেই ভক্তমহলের মধ্যে প্রত্যাশিত একটি ধারাবাহিক ছিল,[৯৭][৯৮] এবং প্রচারের পরে ইতিবাচক সমালোচনা লাভ করেছে ও ব্যবসাসফল হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান অনুসারে, ২০১৪ সালে এটি ছিল টেলিভিশনে "সর্ববৃহৎ নাটক" এবং "সর্বাধিক আলোচিত অনুষ্ঠান"।[৯]
গেম অব থ্রোনস সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছে, যদিও এই ধারাবাহিকে প্রদর্শিত নগ্নতা ও খুনাখুনির দৃশ্যসমূহ সমালোচিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন মৌসুমসমূহ বিভিন্ন প্রকাশনার বার্ষিক "সেরা" তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট (২০১১), টাইম (২০১১ ও ২০১২) এবং দ্য হলিউড রিপোর্টার (২০১২)।[১১৫][১১৬][১১৭]
গেম অব থ্রোনস ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৭টি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার, ৫টি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, এবং একটি পিবডি পুরস্কার লাভ করে।[১২৩] এটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য সর্বোচ্চ এমি পুরস্কার অর্জনের রেকর্ড গড়ে, যা ফ্রেজিয়ার (৩৭টি পুরস্কার অর্জন করে) থেকে এগিয়ে।[১২৪] ২০১৩ সালে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকাগেম অব থ্রোনস-কে টেলিভিশনের ইতিহাসে "রচিত সেরা ধারাবাহিক" তালিকায় ৪০তম স্থান প্রদান করে।[১২৫] ২০১৫ সালে দ্য হলিউড রিপোর্টার তাদের "সর্বকালের সেরা টিভি অনুষ্ঠান" তালিকায় এই ধারাবাহিকটিকে চতুর্থ স্থান প্রদান করে।[১২৬] ২০১৬ সালে প্রকাশিত এম্পায়ার-এর "সর্বকালের সেরা ৫০ টিভি অনুষ্ঠান" তালিকায় এটি সপ্তম স্থান অধিকার করে;[১২৭] এবং রোলিং স্টোন-এর "সর্বকালের সেরা টিভি অনুষ্ঠান" তালিকায় এটি ১২তম স্থান অধিকার করে।[১২৮]
↑মার্টিন, জর্জ আর. আর. (১৬ জুলাই ২০১০)। "From HBO" (ইংরেজি ভাষায়)। নট আ ব্লগ। মার্চ ৭, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
↑মার্টিন, জর্জ আর. আর. (১৯ জুলাই ২০০৯)। "A Casting We Will Go"। নট আ ব্লগ (ইংরেজি ভাষায়)। লাইভ জার্নাল। আগস্ট ২১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
↑মার্টিন, জর্জ আর. আর. (২১ মে ২০১০)। "A New Daenerys"। নট আ ব্লগ (ইংরেজি ভাষায়)। লাইভ জার্নাল। ২১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
↑ কখপার্কিন্স, উইল (১১ মে ২০১১)। "Game of Thrones (2011)" (ইংরেজি ভাষায়)। আর্ট অব দ্য টাইটেল। আগস্ট ২১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৯।
↑"Game of Thrones Soundtrack Details" (ইংরেজি ভাষায়)। ফিল্ম মিউজিক রিপোর্টার। ৩১ মে ২০১১। জুলাই ২৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৯।
↑Martin, George R. R. (ডিসেম্বর ২১, ২০১১)। "Plaudits for GAME OF THRONES" (ইংরেজি ভাষায়)। Not A Blog। আগস্ট ২১, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৩, ২০১১।
↑"Game of Thrones: The best of 2012" (ইংরেজি ভাষায়)। WinterIsComing.net। ডিসেম্বর ২৭, ২০১২। এপ্রিল ১১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭।