শ্রুতি (জন্ম: প্রিয়দর্শিনী, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫)[১][২] হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ। তিনি কন্নড় ও মালয়ালম চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। তিনি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্ণাটক আসনের মহিলা শাখার প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শ্রুতি ২০০৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি কর্ণাটক মহিলা ও শিশু উন্নয়ন কর্পোরেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তিনি কর্ণাটক জনতা পক্ষে যোগ দেন এবং পরের বছর এই দলটি বিজেপির সাথে একত্রিত হলেও তিনি পুনরায় বিজেপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন
শ্রুতি ১৯৭৫ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর কর্ণাটক রাজ্যে এক কন্নড় ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম প্রিয়দর্শিনী। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আসেগোব্বা মিসেগোব্ব চলচ্চিত্রে তার এই নাম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরে অভিনেতা-পরিচালক দ্বারকিশ তাকে ১৯৯০ শ্রুতি চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় তার নাম পরিবর্তন করে শ্রুতি রাখেন।
শ্রুতির শৈশব কাটে পুত্তুরে। তার ভাই শরণ একজন অভিনেতা।
কর্মজীবন
শ্রুতির চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু হয় মালয়ালম চলচ্চিত্র স্বন্তম এন্নু কারুতি দিয়ে। এরপর তিনি কন্নড় ভাষার আসেগোব্বা মিসেগোব্বা চলচ্চিত্রে শিবরাজকুমারের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্বরাকিশের পরিচালিত শ্রুতি চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসা সফল হয় এবং ২৫ সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়। এরপর তার অভিনীত কন্নড় ভাষার গৌরী গনেশ (১৯৯১), মুদ্দিনা মাব (১৯৯৩) ও মিদিদা হৃদয়গলু (১৯৯৩) চলচ্চিত্রগুলি সফলতা লাভ করে। তিনি ১৯৯৫ সালে সুরেশ হেবলিকরের অগাতা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কর্ণাটক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ কন্নড় অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন। পরের বছর তিনি কে. বালাচন্দর পরিচালিত তামিল ভাষার কল্কি (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেন।[৪]
টেলিভিশন পর্দায় শ্রুতি অভিষেক হয় মালয়ালম ধারাবাহিক শ্রীদবম দিয়ে, যা ২০০৫ সালে সূর্য টিভিতে প্রচারিত হত। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে জুলাই থেকে সান টিভিতে প্রচারিত তামিল দৈনিক ধারাবাহিক কার্তিগই পেঙ্গল-এ অভিনয় করেন।
শ্রুতি বিগ বস কন্নড় ৩ টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী ছিলেন, এবং ২০১৬ সালে জানুয়ারিতে তিনি এই অনুষ্ঠানের বিজয়ী হয়।[৫] ২০১৭ সালে তিনি হাস্যরসাত্মক টেলিভিশন ধারাবাহিক মজা ভারত-এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।[৬]
ব্যক্তিগত জীবন
শ্রুতি ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক এস. মহেন্দরকে বিয়ে করেন। ২০০৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[৭] বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি সাংবাদিক-পরিচালক চক্রবর্তী চন্দ্রচূড়ের সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িত হন এবং ২০১৩ সালের জুনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরের বছরেই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[৮]
তথ্যসূত্র
↑"Shruthi Biography"। ফিল্মিবিট। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০।