অনু প্রভাকর (জন্ম ৯ নভেম্বর ১৯৮০), তিনি তাঁর বিবাহের পরের নাম অনু প্রভাকর মুখার্জি নামেও পরিচিত, তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, তিনি মূলত কন্নড় ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং তিনি ম্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জীবন
অনু ভারত হেভী ইলেকট্রিক্যালসের কর্মচারী এম. ভি. প্রভাকর এবং ডাবিং শিল্পী ও অভিনেত্রী গায়ত্রী প্রভাকরের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার এক বড়ো ভাই আছে, নাম তার বিক্রম। অণু বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরম শহরতলিতে বেড়ে ওঠেন এবং সেখানে নির্মলা রানী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এই সময়ে তিনি কন্নড় চলচ্চিত্র চপলা চেন্নিগারাইয়া (১৯৯০), শান্তি ক্রান্তি (১৯৯১) এবং ইংরেজি চলচ্চিত্র মিস্ট্রিজ অব দ্য ডার্ক জাঙ্গল (১৯৯০) এ শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেন। যখন তিনি নায়িকা হিসাবে তার কর্ম জীবন শুরু করেন তখন তিনি কলেজ এর পড়াশোনা বাদ দেন,[১] পরে তিনি দূর শিক্ষণের মাধ্যমে কর্ণাটক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][২]
কর্মজীবন
অনু ১৯৯৯ সালে শিব রাজকুমারের বিপরীতে হৃদয়ে হৃদয়ে ছবি দিয়ে নায়িকা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং শীঘ্রই কন্নড় চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়িকা হয়ে উঠেন। তিনি সুপারস্টার বিষ্ণুবর্ধনের সাথে সুরাপ্পা, জামিন্দারু, হৃদয়াবান্তা, সাহুকারা এবং বর্ষার মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে গিয়েছিলেন।
দ্বাদশ শতাব্দীর কন্নড় কবি আক্কা মহাদেবীর জীবন অবলম্বনে তার আসন্ন ২০২০ সালে নির্মিতব্য ছবিতে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন; একজন কবি এবং অন্যটি জ্যোতির ভূমিকায়, ছবিতে জ্যোতি কবির উপর পিএইচডি করছেন।[৩]
পুরস্কার
অনু প্রভাকর বিভিন্ন ছবিতে অভিনয়ের জন্য 'অভিনেত্রী সরস্বতী' উপাধিতে বেঙ্গালুরুর কোলদা মঠ অণু প্রভাকরকে সম্মানিত করে। তিনি অন্যান্য পুরস্কার যেমন 'কন্নড় রাজ্য সরকারের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ২০০০-০১' এবং 'সিনেমা এক্সপ্রেস শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী' পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
২০০৯ সালে তিনি অলাভজনক সংস্থা টিচএইডস-এর দ্বারা নির্মিত এইচআইভি/এইডস এর উপর তৈরী শিক্ষামূলক অ্যানিমেটেড সফ্টওয়্যার টিউটোরিয়ালে তার কন্ঠ দেন।[৪]
অনু ২০০২ সালের মার্চ মাসে অভিনেত্রী জয়ন্তীর পুত্র কৃষ্ণ কুমারকে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে মত পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তিনি মডেল থেকে অভিনেতায় পরিনত হওয়া রঘু মুখার্জিকে বিয়ে করেন।[৫] তাদের একটি মেয়ে রয়েছে যার নাম নন্দনা।